এইচএসসি আইসিটি ঢাকা বোর্ড-২০১৯ সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর-HSC ICT Dhaka board 2019 question and answer
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (একাদশ – দ্বাদশ শ্রেণী)
ঢাকা বোর্ড–২০১৯ সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর।
১ নং প্রশ্নঃ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও (ঢাকা বোর্ড–২০১৯ প্রশ্ন)
মি. মোকলেছ সাহেব পেশায় মৎসবিদ। দেশে মাছের ঘাটতি পূরণের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নতুন নতুন প্রজাতির মাছ উৎপাদন করেন। তার অফিসে প্রবেশের জন্য দরজার সামনে রাখা একটি মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ দিলে দরজা খুলে যায়। অতঃপর তার কক্ষে প্রবেশের জন্য দরজার সামনে রাখা একটি মেশিনের দিকে তাকালে দরজা খুলে যায়।
ক, রোবটিক্স কি?
খ, প্রযুক্তির ব্যবহারে মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সম্ভব-কথাটি ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের আলোকে মাছ উৎপাদনের প্রযুক্তিটি বর্ণনা কর।
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে অফিসে প্রবেশ ও কক্ষে প্রবেশের জন্য কৌশল দুটির মধ্যে কোনটি বেশি সুবিধাজনক? বিশ্লেষণ কর।
১নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর।
ক. রোবটিক্স কী?
রোবটিক্স হলো প্রযুক্তির একটি শাখা যেটি রোবট সমূহের ডিজাইন, নির্মাণ, কার্যক্রম ও প্রয়োগ নিয়ে কাজ করে।
খ. প্রযুক্তি ব্যবহার করে মটর ড্রাইভিং শেখা সম্ভব– কথাটি ব্যাখ্যা কর।
উদ্দীপকে প্রযুক্তি বলতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কী বোঝানো হয়েছে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তিতে কম্পিউটার ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সাহায্যে হুবহু গাড়ি চালানোর সময় চারপাশে থাকা শহরের পরিবেশ বা ব্যস্ত সড়কের একটি কৃত্রিম দৃশ্য তৈরি করা হয়। রাস্তার ড্রাইভিং শেখার ক্ষেত্রে যেমন- নানা রকম দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে, এক্ষেত্রে তার কোন বালাই নেই। কেননা ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী ভার্চুয়াল রিয়েলিটির যে পরিবেশে গাড়ি ড্রাইভিং শিখছেন সেটা মোটেই কোন বাস্তব পরিবেশ নয়। তাই এখানে দুর্ঘটনার কোন ঝুঁকি নেই। সুতরাং নিশ্চিতভাবেই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে মটর ড্রাইভিং শেখা সম্ভব।
গ. উদ্দীপকের আলোকে মাছ উৎপাদনের প্রযুক্তিটি বর্ণনা কর।
উদ্দীপকে মাছ উৎপাদনের প্রযুক্তি হল জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং মূলত উন্নত বৈশিষ্ট্যধারী উদ্ভিদের বীজ এবং প্রাণী সৃষ্টিতে কাজ করে। সব জীবের বিকাশের মূলে নিহিত রয়েছে এর ডিএনএ-(এর জেনেটিক কোড)। রিকম্বিনেন্ট DNA প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নত জাতের বিভিন্ন উদ্ভিদ জন্মাতে প্রয়োজনীয় বীজ কিংবা উন্নত বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন কোন প্রাণী উদ্ভাবন করা সম্ভব। উদ্দীপকের মৎসবিদ মি: মোকলেছ দেশে মাছের ঘাটতি পূরণের জন্য। প্রযুক্তি ব্যবহার করে নতুন নতুন প্রজাতির মাছ উৎপাদন করেন। এর অর্থ হলো দেশে পূর্বে যে প্রজাতির মাছ চাষ হতো, উন্নত প্রজাতি ব্যবহার করার ফলে এ ধরনের মাছ পূর্বের চেয়ে অধিক উৎপাদনশীল বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়েছে। কোন প্রজাতিতে এ ধরনের পরিবর্তন আনার জন্য অবশ্যই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং দ্বারা তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যকে পরিবর্তন বা উন্নতি করতে হবে।
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে অফিসে প্রবেশ ও কক্ষে প্রবেশের জন্য কৌশল দুটির মধ্যে কোনটি বেশি সুবিধাজনক? বিশ্লেষণ কর।
উদ্দীপকে অফিসে প্রবেশ ও কক্ষে প্রবেশ উভয় ক্ষেত্রেই বায়োমেট্রিক্স প্রযুক্তি ব্যবহৃত হলেও এদের মধ্যে পদ্ধতিগত ও আচরণিক বৈশিষ্ট্য শনাক্তকরণে পার্থক্য রয়েছে। উদ্দীপকে দেখা যায়, মোঃ মোখলেছ তার অফিসে প্রবেশের জন্য দরজার সামনে রাখা একটি মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ দিলে দরজা, খুলে যায় এবং তার কক্ষে প্রবেশের জন্য দরজার সামনে রাখা একটি মেশিনের দিকে তাকালে দরজা খুলে যায়। এক্ষেত্রে আঙুলের ছাপ ও তাকিয়ে থাকা তথা চোখের আইরিশ ও রেটিনা বায়োমেট্রিক্স অন্যতম দুটি উপাদান। ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং আইরিশ ও রেটিনা স্ক্যান বায়োমেট্রিক সিস্টেম কোন ব্যক্তির সংরক্ষিত নির্দিষ্ট ডেটার সাথে তাৎক্ষণিক ইনপুটকৃত একই বায়োমেট্রিক ডেটা (ঐ ব্যক্তির আঙুলের ছাপ এবং চোখের আইরিশ ও রেটিনা) মেলানোর মাধ্যমে ব্যক্তিকে শনাক্ত করা যায়। সুতরাং মিঃ মোকলেছ অফিসের দরজার বায়োমেট্রিক প্রযুক্তিতে ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে এবং তার কক্ষের দরজায় আইরিশ ও রেটিনা স্ক্যান এর মাধ্যমে প্রবেশ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে থাকে। তবে উভয়ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক্স ডেটা গ্রহণকারী ডিভাইসদ্বয়ের মধ্যে প্রথমটির দাম সস্তা, সহজলভ্য ও ব্যবহার সহজ। এছাড়াও ফিঙ্গারপ্রিন্ট বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিটি প্রায় সকল ক্ষেত্রেই ব্যক্তি শনাক্তকরণে সহজ ও দ্রুততার সাথে শতভাগ সফলতা প্রদান করতে সক্ষম। আবার এ পদ্ধতিতে শারীরিক কোন ঝুঁকি নেই। অন্যদিকে আইরিশ ও রেটিনা স্ক্যান বায়ােমট্রিক্স পদ্ধতিটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং এতে প্রচুর মেমরি ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া এটি চোখের জন্য খানিকটা ক্ষতিকরও বটে। উপরিউক্ত বিশ্লেষণে বলা যায় এ দুই বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতির মধ্যে আঙুলের ছাপ বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতিটিই নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অধিকতর কার্যকর ও বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি।
২ নং প্রশ্নঃ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও (ঢাকা বোর্ড–২০১৯ প্রশ্ন)
X কলেজ ঢাকা শহরের একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দেশের বিভিন্ন জেলায় তাদের আরো পাঁচটি শাখা আছে। অধ্যক্ষ সাহেব মূল প্রতিষ্ঠানে বসেই সবগুলো শাখা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য একটি নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন। পরবর্তীতে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের অনুরোধে ইন্টারনেট ব্যবহার করে স্বল্প খরচে উন্নত সেবা এবং যতটুকু ব্যবহার ততটুকু বিল প্রদান এমন একটি পরিসেবার কথা ভাবছিলেন।
ক. ব্লুটুথ কী? ১
খ. ডেটা ট্রান্সমিশনে সিনক্রোনাস সুবিধাজনক- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের আলোকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও তার শাখাগুলোকে পরিচালনার জন্য কোন ধরনের নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছিল? তার বর্ণনা দাও। ৩
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে অধ্যক্ষ সাহেব যে নতুন পরিসেবার কথা ভাবছিলেন তা বাস্তবায়ন সম্ভব কি-না? বিশ্লেষণপূর্বক মতামত দাও। ৪
২নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ব্লুটুথ কী?
ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিং জগতে ব্লুটুথ হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি, যা স্বল্প দূরত্বের মধ্যে তারবিহীনভাবে দুটি ডিভাইসের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান করে থাকে।
খ. ডেটা ট্রান্সমিশনে সিনক্রোনাস সুবিধাজনক– ব্যাখ্যা কর।
(যে ডেটা ট্রান্সমিশন ব্যবস্থায় প্রেরক স্টেশনে প্রথমে ডেটাকে কোনো প্রাথমিক স্টোরেজ ডিভাইস সংরক্ষণ করা হয়, অতঃপর ডেটার ক্যারেক্টারসমূহকে ব্লক আকারে ভাগ করে প্রতিবারে একটি করে ব্লক ট্রান্সমিট করা হয় তাকে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে ।)
ডেটা ট্রান্সমিশনে সিনক্রোনাস সুবিধাজনক, কারণ—
১। ডেটা ট্রান্সমিশনের গতি অনেক দ্রুত হয়।
২। এই ট্রান্সমিশনের দক্ষতা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি ।
৩। এ পদ্ধতিতে বিরতিহীনভাবে প্রেরক যন্ত্র থেকে গ্রাহক যন্ত্রে ডেটা পাঠানো যায় ।
৪। ডেটার আকার ছোট এবং ডেটা-রেট বেশি বলে ট্রান্সমিশনে সময় কম লাগে।
গ. উদ্দীপকের আলোকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও তার শাখাগুলোকে পরিচালনার জন্য কোন ধরনের নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছিল? তার বর্ণনা দাও।
উদ্দীপকের আলোকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও তার শাখাগুলোকে পরিচালনার জন্য স্থাপনকৃত নেটওয়ার্ক হলো WAN । একটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ এক শহরের সাথে অন্য শহর, এক দেশের সাথে অন্য দেশ, এক মহাদেশের সাথে অন্য মহাদেশের মধ্যে কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থাকে WAN বলে । ভৌগোলিক এলাকায় অবস্থিত একাধিক LAN, ও MAN কে নিয়ে WAN নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে। বিস্তৃত এলাকা নিয়ে গড়ে ওঠে বলে LAN ও MAN-কে সংযুক্ত করার জন্য বিশেষ ডিভাইস ও টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়।
এ ধরনের নেটওয়ার্কের জন্য মাধ্যম হিসেবে টেলিফোন লাইন, অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল, মডেম, রেডিও ওয়েভ, মাইক্রোওয়েভ, স্যাটেলাইট ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় । এক্ষেত্রে ঢাকা শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সাথে দেশের বিভিন্ন জেলার পাঁচটি শাখার মধ্যে নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়, ফলে মুহূর্তের মধ্যে মূল শাখার সাথে অন্য শাখাগুলো শিক্ষা কার্যক্রম ভাগাভাগি করতে পারে । মেমোরি ব্যবহারের মাধ্যমে ডেটা সংরক্ষণ ও প্রয়োজনে শিক্ষার্থীর সাথে অল্প সময়ের মধ্যে তথ্য পাঠানো যায় । এ নেটওয়ার্কে শিক্ষার্থীরা এক কলেজের শাখায় বসে অন্য শাখার শ্রেণি কক্ষের ক্লাসেও অংশগ্রহণ করতে পারে। তাছাড়া কলেজে না গিয়েও শিক্ষার্থীরা ক্লাসে অংশ নিতে পারবে। শিক্ষককে প্রশ্ন করতে ও উত্তর জানতে পারবে।
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে অধ্যক্ষ সাহেব যে নতুন পরিসেবার কথা ভাবছিলেন তা বাস্তবায়ন সম্ভব কি–না? বিশ্লেষণপূর্বক মতামত দাও।
উদ্দীপকের আলোকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও তার শাখাগুলোকে পরিচালনার জন্য নতুন পরিসেবা হলো ক্লাউড কম্পিউটিং । বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার রিসোর্স যেমন- নেটওয়ার্ক, সার্ভার, স্টোরেজ, সফটওয়্যার ও সার্ভিস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ক্রেতার সুবিধা অনুসারে, চাহিবামাত্র ও চাহিদা অনুসারে সহজে ব্যবহার করার সুযোগ প্রদান ও ভাড়া দেওয়ার সিস্টেম হলো ক্লাউড কম্পিউটিং। এটি অবকাঠামোগত, প্লাটফর্ম ও সফটওয়্যার সেবা প্রদান করে থাকে।
ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে কোন ধরনের সফটওয়্যার বসানো হবে, কীভাবে কাজ চালানো হবে, কম্পিউটারগুলো কীভাবে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করবে, সবকিছু ব্যবহারকারী নিজের ইচ্ছেমতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারে । এ পরিসেবায় ইন্টারনেট ও ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করে Google docs দিয়ে মাইক্রোসফট অফিসের প্রায় সব কাজ করা যায়।
এ ব্যবস্থায় ব্যবহারকারীর যত সুবিধা প্রয়োজন হয় সেবাদাতা তত পরিমাণ সেবা দিতে পারে, এতে ক্রেতার আগে থেকেই কোনো সেবা সংরক্ষণ করতে হয় না । ক্রেতা যতটুকু ব্যবহার করবে, শুধুমাত্র ততটুকু মূল্য পরিশোধ করবে । এছাড়া এটি সবসময় ব্যবহার করা যায়। এটি মূলত একটি ব্যবসায়িক মডেল, যার দ্বারা ব্যবহারকারী ও সার্ভিস প্রদানকারী উভয়েই উপকৃত হন । ফলে অধ্যক্ষ সাহেব সহজেই নতুন পরিসেবাটি অর্থাৎ ক্লাউড কম্পিউটিং বাস্তবায়ন করতে পারবে ।
৩ নং প্রশ্নঃ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও (ঢাকা বোর্ড–২০১৯ প্রশ্ন)
তাসকিন স্যার শ্রেণিকক্ষে ICT বিষয়ের সংখ্যা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করছিলেন। ক্লাসের এক পর্যায়ে স্যার সোহেল ও রোহানকে জিজ্ঞেস করলেন তোমরা ১ম সাময়িক পরীক্ষায় ICT বিষয়ে কত নম্বর পেয়েছিলে? সোহেল বলল (105)8 এবং রোহান বলল (4F)16 পিছনে বসে থাকা মিতা বলল স্যার আমিতো (100111)2 নম্বর পেয়েছি।
ক. বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি কী?
খ. 6+5+3 = 1110 হতে পারে- ব্যাখ্যা কর।
গ. মিতার প্রাপ্ত নম্বরটি দশমিকে রূপান্তর কর।
ঘ, সোহেল ও রোহান এর প্রাপ্ত নম্বরের মধ্যে পার্থক্য যোগের মাধ্যমে নির্ণয় করা যায় কি-না? বিশ্লেষণপূর্বক মতামত দাও।
৩ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি কী?
0 এবং 1 এ দুটি চিহ্ন ব্যবহার করে গড়ে ওঠা সংখ্যা পদ্ধতিই বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি।
খ. 6+5+3 = 1110 হতে পারে– ব্যাখ্যা কর।
6+5+3 =1110, এখানে 6+5+3 = 14 যা একটি দশমিক, সংখ্যার যোগ। দশমিক সংখ্যা 14 এর বাইনারি 1110 হতে পারে। নিচে তা দেখানো হলো:
গ. মিতার প্রাপ্ত নম্বরটি দশমিকে রূপান্তর কর।
ঘ, সোহেল ও রোহান এর প্রাপ্ত নম্বরের মধ্যে পার্থক্য যোগের মাধ্যমে নির্ণয় করা যায় কি–না? বিশ্লেষণপূর্বক মতামত দাও।
সোহেল ও রোহান এর প্রাপ্ত নম্বরের মধ্যে পার্থক্য যোগের মাধ্যমে নির্ণয় করা যায়।
সোহেল (105)8 এবং রোহান (4F)16 নম্বর পেয়েছে। অর্থাৎ রোহান এর নম্বর বেশি হওয়ায় (4F)16 থেকে (105)8 নম্বরের পার্থক্য নির্ণয় করতে 2 এর পরিপূরক পদ্ধতিতে যোগ করতে হবে।
(4F)16 – (105)8 = (4F)16 + (-105)8 কে 2 এর পরিপূরক পদ্ধতিতে যোগের মাধ্যমে পার্থক্য নির্ণয় করতে হবে।
(4F)16 = (01001111)2
(105)8 = (001000101)2
(105)8 এর ৮বিট মান= (01000101)2
1এর পরিপূরক= 10111010
2 এর পরিপূরক= ( 10111010+1) 2 = 10111011 2
অতএব (-105)8 = 10111011 2
এখন, (4F)16 + (-105)8 = (01001111)2 + 10111011 2 = 100001010 (এখানে বামের অতিরিক্ত 1 বিবেচনায় আনা যাবেনা। কারণ ৮বিট রেজিষ্ট্রার দিয়ে ৯ বিট সংরক্ষণ করা যায়না।
সোহেল ও রোহান এর প্রাপ্ত নম্বরের মধ্যে পার্থক্য =( 00001010)2
৪। উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও: (ঢাকা বোর্ড–২০১৯ প্রশ্ন)
ক. এনকোডার কী? ১
খ. ইউনিকোড “বাংলা” ভাষা বুঝতে পারে- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. চিত্র-১ কোন গেইটের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? তার বর্ণনা দাও। ৩
ঘ. উদ্দীপকের চিত্র-৩ এর গেইট দিয়ে চিত্র-২ এর গেইটকে বাস্তবায়ন করা সম্ভব কি-না? বিশ্লেষণপূর্বক মতামত দাও। ৪
৪ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. এনকোডার কী?
এনকোডার হচ্ছে একটি রূপান্তরকরণ লজিক সার্কিট যা মানুষের ভাষাকে কম্পিউটারের বোধগম্য অর্থাৎ যান্ত্রিক ভাষায় রূপান্তর করে।
খ. ইউনিকোড “বাংলা” ভাষা বুঝতে পারে– ব্যাখ্যা কর।
ইউনিকোড বা Unicode এর পূর্ণরূপ হলো Universal Code যা মূলত ২ বাইট বা ১৬ বিটের কোড।
এই কোডের সাহায্যে ২১৬ বা ৬৫,৫৩৬ টি অদ্বিতীয় চিহ্ন কম্পিউটারকে অদ্বিতীয়ভাবে বুঝানো যায়। ফলে বিশ্বের সকল ভাষার সকল বর্ণ বা চিহ্নকে কম্পিউটারে নির্দিষ্ট করা যায়। সুতরাং বাংলা ভাষার বর্ণগুলোও এই কোডের অন্তর্ভুক্ত। তাই ইউনিকোড বাংলা ভাষা বুঝতে পারে।
গ. চিত্র–১ কোন গেইটের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? তার বর্ণনা দাও।
চিত্র-১ AND গেইটের সাথে সাদৃশ্য পূর্ণ। AND গেইট হচ্ছে যৌক্তিক গুণের গেইট। অর্থাৎ বুলিয়ান অ্যালজেবরায় যৌক্তিক গুণের কাজ সম্পাদনের জন্য যে গেইট ব্যবহার করা হয়, তাকে AND গেইট বলা হয়। AND গেইটের ক্ষেত্রে দুই বা ততোধিক ইনপুট লাইন থাকে এবং একটি মাত্র আউটপুট লাইন থাকে। যেহেতু AND গেইট যৌক্তিক গুণের গেইট তাই এটি যৌক্তিক গুণের নিয়ম মেনে চলে। অর্থাৎ এই গেইটের ক্ষেত্রে যেকোনো একটি ইনপুটের মান ০ হলে আউটপুট ০ হয়, অন্যথায় ১ হয়।
৫। উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও: (ঢাকা বোর্ড–২০১৯ প্রশ্ন)
www.board.edu.bd ওয়েব সাইটের মাধ্যমে ICT নম্বর দেখতে হলে “borad” এর উপর ক্লিক করতে হবে।
ক. FTP কী? ১
খ. ওয়েবসাইট ও ওয়েবপেইজ এক নয়- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. চিত্র-১ এ কোন ধরনের ওয়েবসাইট স্ট্রাকচার ব্যবহার করা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. চিত্র-২ ওয়েব ব্রাউজারে প্রদর্শনের জন্য html কোড লিখ। ৪
৫ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. FTP কী?
ফাইল ট্রান্সফার প্রোটোকল (File Transfer Protocol) একটি স্ট্যান্ডার্ড যোগাযোগ প্রোটোকল যা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে একটি সার্ভার থেকে ক্লায়েন্ট কম্পিউটারে ফাইল স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত হয়।
খ. ওয়েবসাইট ও ওয়েবপেইজ এক নয়– ব্যাখ্যা কর।
ওয়েবপেজ হলো HTML দ্বারা তৈরি ডকুমেন্ট যার মাধ্যমে টেক্সট, ছবি, ফাইল, অডিও, ভিডিও, এনিমেশন, হাইপারলিংক ইত্যাদি ইন্টারনেটে প্রদর্শন ও কমিউনিকেশন করা হয়। অপরদিকে, একই ডোমেইনের অধীনে সার্ভারে রাখা পরস্পর সংযুক্ত এক বা একধিক ওয়েবপেজের সমষ্টিকে ওয়েবসাইট বলে।
অর্থাৎ একটি ওয়েবসাইটে একাধিক ওয়েবপেজ পরস্পর সংযুক্ত থাকে। তাই বলা যায়, ওয়েবসাইট ও ওয়েবপেজ এক নয়।
গ. চিত্র–১ এ কোন ধরনের ওয়েবসাইট স্ট্রাকচার ব্যবহার করা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
চিত্র-১ এ হায়ারার্কিক্যাল বা ট্রি স্ট্রাকচার ওয়েবসাইট স্ট্রাকচার ব্যবহার করা হয়েছে, এই কাঠামোতে ব্যবহারকারী প্রথমে হোম পেইজে প্রবেশ করে এবং অন্যান্য পেইজ গুলো হোম পেইজের সাথে যুক্ত থাকে, এদেরকে সাব-পেইজ বলে। সাব-পেইজ গুলোর সাথে আরও অন্যান্য পেইজ যুক্ত থাকে। কাঠামোটি দেখতে ট্রি এর মত বলে এই কাঠামোকে ট্রি কাঠামো বলে। ওয়েবসাইট কাঠামোগুলোর মধ্যে ট্রি কাঠামো সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয়।
ঘ. চিত্র–২ ওয়েব ব্রাউজারে প্রদর্শনের জন্য html কোড লিখ।
৬। উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও: (ঢাকা বোর্ড–২০১৯ প্রশ্ন)
একটি ঝুড়িতে ২০টি আপেল আছে। এর মধ্যে আমরা ৩টি আপেলের ওজন মেপে পেলাম যথাক্রমে ১৫০ গ্রাম, ১৭৫ গ্রাম, ২১০ গ্রাম।
ক. চলক কী? ১
খ. ইন্টারপ্রেটারের তুলনায় কম্পাইলার সুবিধাজনক- কথাটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের আলোকে আপেল ৩টির গড় ওজন নির্ণয়ের জন্য ফ্লোচার্ট অঙ্কন কর। ৩
ঘ. গড় ওজনের ভিত্তিতে ২০টি আপেলের মোট ওজন নির্ণয়ের জন্য C ভাষায় একটি প্রোগ্রাম লিখ। ৪
৬ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. চলক কী?
সি প্রোগ্রামে মেমরি অ্যাড্রেস সরাসরি ব্যবহার না করে যে নামের অধীনে ডেটা রাখা হয়। সে নামটিই হলো ভেরিয়েবল বা চলক।
খ. ইন্টারপ্রেটারের তুলনায় কম্পাইলার সুবিধাজনক– কথাটি ব্যাখ্যা কর।
ইন্টারপ্রেটার কোন প্রোগ্রামকে অনুবাদ করার সময় এক লাইন এক লাইন করে অনুবাদ করে। তাই প্রোগ্রাম নির্বাহে সময় তুলনামূলক বেশি লাগে। কিন্তু কম্পাইলার সম্পূর্ণ প্রোগ্রামটি একবারে অনুবাদ করে এতে তুলনামূলক সময় কম লাগে এজন্য ইন্টারপ্রেটারের তুলনায় কম্পাইলার বেশি সুবিধাজনক।
গ. উদ্দীপকের আলোকে আপেল ৩টির গড় ওজন নির্ণয়ের জন্য ফ্লোচার্ট অঙ্কন কর।
ঘ. গড় ওজনের ভিত্তিতে ২০টি আপেলের মোট ওজন নির্ণয়ের জন্য C ভাষায় একটি প্রোগ্রাম লিখ।
note: sum=a1+a2+a3
৭। উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও: (ঢাকা বোর্ড–২০১৯ প্রশ্ন)
# includc<conio.h>
main ( )
{
int a, s = 0, n;
printf (“value of n:”);
scanf (“%d”, & n);
for (a = 1; a <=n; a++)
{
s = s + a * a;
}
printf (“sum : %d”, s);
}
ক. 4 GL কী? ১
খ. C-একটি কেস সেনসেটিভ ভাষা- কথাটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের ধারাটির যোগফল নির্ণয়ের জন্য অ্যালগরিদম লিখ। ৩
ঘ. উদ্দীপকে for লুপের পরিবর্তে Do….while লুপ ব্যবহার করলে প্রোগ্রামটিতে কি পরিবর্তন করতে হবে- বিশ্লেষণ কর। ৪
৭ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. 4 GL কী?
4GL বলতে 4th Generation Language বা চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা বুঝায়, এই প্রোগ্রামিং ভাষাগুলো মানুষের ভাষার কিছুটা কাছাকাছি ।
খ. C-একটি কেস সেনসেটিভ ভাষা– কথাটি ব্যাখ্যা কর।
সি একটি কেস সেনসেটিভ ভাষা। এর অর্থ হলো এতে ব্যবহত কীওয়ার্ডগুলোকে অবশ্যই ছোট হাতের অক্ষরে লিখতে হয়। এমনকি ফাংশনের নাম অন্যান্য যে কোনো কীওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সেটি বড় হাতের হলে অবশ্যই বড় হাতের এবং ছোট হাতের হলে অবশ্যই ছোট হাতের অক্ষরে লিখতে হবে।
গ. উদ্দীপকের ধারাটির যোগফল নির্ণয়ের জন্য অ্যালগরিদম লিখ।
উদ্দীপকের ধারাটির যোগফল নির্ণয়ের অ্যালগরিদম:
ধাপ- ১: শুরু করি।
ধাপ-২: n এর মান ইনপুট করি।
ধাপ- ৩ : যোগফলের জন্য s = 0 এবং চলক i= 1 ব্যবহার করা হয়েছে।
ধাপ- ৪ : যদি a <= n হয় তাহলে ৫নং ধাপে গমন করি; অন্যথায় ৭নং ধাপে গমন করি ।
ধাপ-৫: s= s+a*a
ধাপ- ৬ : a = a + 1 (a এর মান বৃদ্ধি করি) এবং পুনরায় ৪নং ধাপে যাই।
ধাপ- ৭ : যোগফল প্রিন্ট করি।
ধাপ- ৮ : শেষ করি।
ঘ. উদ্দীপকে for লুপের পরিবর্তে Do….while লুপ ব্যবহার করলে প্রোগ্রামটিতে কি পরিবর্তন করতে হবে– বিশ্লেষণ কর।
#include<stdio.h>
#include<conio.h>
main()
{ int a, s, n;
s=0;
a = 1;
printf(“Value of n:”);
scanf(“%d”, &n);
do
{
s=s+a*a;
a= a+1;
}
while (a<=n);
printf(“Sum: %d”, s);
getch();
}
৮। উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও: (ঢাকা বোর্ড–২০১৯ প্রশ্ন)
Roll | Name | Date of Birth | Class | Group |
101 | Aman | 02/02/03 | Eleven | Hum. |
102 | Rana | 05/04/02 | Eleven | Hum. |
103 | Rupa | 12/02/04 | Eleven | Hum. |
104 | Mina | 14/03/04 | Eleven | Hum. |
105 | Himu | 05/02/03 | Eleven | Hum. |
Table-1
Roll | F. Name | Address | GPA |
101 | Asad | DHAKA | 4.5 |
102 | Rafiq | KHULNA | 4.6 |
103 | Hafiz | KUSHTIA | 5.0 |
104 | Hasan | DHAKA | 4.8 |
105 | Sakib | DHAKA | 4.9 |
Table-2
ক. কম্পোজিট প্রাইমারি কী বলতে কি বুঝ? ১
খ. ডেটার নিরাপত্তায় এনক্রিপশন কার্যকরী পদ্ধতি- কথাটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের আলোকে টেবিল-১ এর ফিল্ডগুলোর ডেটাটাইপ বর্ণনা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের টেবিল দুটির মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন সম্ভব কি-না- বিশ্লেষণপূর্বক মতামত দাও। ৪
৮ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. কম্পোজিট প্রাইমারি কী বলতে কি বুঝ?
একাধিক ফিল্ডের সমন্বয়ে যে প্রাইমারি কি গঠন করা হয় তাকে কম্পোজিট প্রাইমারি কি বলে।
খ. ডেটার নিরাপত্তায় এনক্রিপশন কার্যকরী পদ্ধতি- কথাটি ব্যাখ্যা কর।
ডেটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যে বিশেষ পদ্ধতিতে ডেটার মূল ফরম্যাট (যা মানুষের বোধগম্যরূপ থাকে) থেকে অন্য ফরম্যাটে (যা মানুষের বোধগম্য রূপে থাকে না) রূপান্তর করার প্রক্রিয়াকে এনক্রিপশন বলে। আর এইজন্য ডেটাকে উৎস হতে গন্তব্যে প্রেরণের পূর্বে ডেটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ডেটাকে এনক্রিপ্ট করা হয়। ফলে ঐ এনক্রিপ্টকৃত ডেটা অন্য কোনো অনির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ব্যবহৃত হতে পারে না। এইজন্য ডেটার নিরাপত্তায় এনক্রিপশন কার্যকরী পদ্ধতি।
গ. উদ্দীপকের আলোকে টেবিল-১ এর ফিল্ডগুলোর ডেটাটাইপ বর্ণনা নিচে দেওয়া হলো:
ফিল্ড | বর্ণ | বর্ণনা |
ROLL | Number | বর্ণনা নাম্বার/নিউমেরিক ফিল্ডে যোগ বা বিয়োগ চিহ্ন সহ/ছাড়া পূর্ণসংখ্যা ও ভগ্নাংশ মিলিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যা ব্যবহার করা যায়। এ ফিল্ডের ডেটার ওপর গাণিতিক অপারেশন (যোগ, বিয়োগ, গুণ ও ভাগ) করা যায় । |
Name Class Group |
Text | টেক্সট/ক্যারেক্টার ফিল্ডে অক্ষর, সংখ্যা, চিহ্ন ইত্যাদি ব্যবহার করা যায়। সাধারণত এ ফিল্ডে সর্বোচ্চ ২৫৫টি বর্ণ/অঙ্ক/চিহ্ন এককভাবে বা সম্মিলিতভাবে ব্যবহার করা যায়। তবে এ ডেটা নিয়ে কোনো গাণিতিক অপারেশনের কাজ করা যায় না। |
Date of Birth |
Date/Time | এ ফিল্ডটি শুধুমাত্র তারিখ ও সময়ের জন্য তবে বিভিন্ন ফরম্যাটে উপস্থাপন করা যায়। এ ফিল্ডের জন্য মেমোরিতে ৮ বাইট জায়গা প্রয়োজন। |
ঘ. উদ্দীপকের টেবিল দুটির মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন সম্ভব কি–না– বিশ্লেষণপূর্বক মতামত দাও।
দুটি ডেটাবেজের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করতে নিচের শর্তগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে।
১. রিলেশনাল ডেটা টেবিলগুলোর মধ্যে কমপক্ষে একটি কমন ফিল্ড থাকবে। কমন ফিল্ডের ডেটা টাইপ, ফিল্ড সাইজ এবং ফরম্যাট ইত্যাদি একই হতে হবে।
২. রিলেশনাল টেবিলগুলোর মধ্যে অন্তত একটি টেবিলে অবশ্যই প্রাইমারি কি ফিল্ড থাকতে হবে।
উদ্দীপকের টেবিলে-১ এ Roll Name, Date Of Birth, Class, Group ফিল্ডগুলো বিদ্যমান আছে। আবার টেবিল-২ এ Roll, F.Name, Address, GPA ইত্যাদি ফিল্ড গুলো আছে। ফলে দুইটি টেবিলের মধ্যে Roll একটি কমন ফিল্ড এবং এদের ডেটা টাইপও একই রকম। সুতরাং ডেটাবেজ রিলেশনের ১ম শর্ত এখানে বিদ্যমান।
আবার, রিলেশনের জন্য রিলেশনাল টেবিলগুলোর মধ্যে অন্তত একটি টেবিলে অবশ্যই প্রাইমারি কি ফিল্ড থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রথম টেবিলের Roll ফিল্ডকে প্রাইমারি কি ধরা যায়। সুতরাং টেবিল দুটির মধ্যে সম্পর্ক তৈরির সমস্ত শর্ত বিদ্যমান।
সুতরাং, উদ্দীপকের টেবিল দুটিতে রিলেশন বা সম্পর্ক তৈরি করা সম্ভব।