বিশ্বের গেরিলা সংগঠন ও অন্যান্য (Guerrilla organizations)
ইসলামিক কোর্টস অব মিলিশিয়াঃ সোমালিয়ায় যুদ্ধরত ইসলামিক গেরিলা গ্রম্নপ। সমপ্রতি ইথিওপিয়ার সেনাবাহিনী সহায়তায় সোমালিয়ার সেনাবাহিনী তাদেরকে পরাস্ত করতে সক্ষম হয়।
উলফাঃ ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের গেরিলা সংগঠন। এর প্রধান পরেশ বড়ুয়া। উলফা নেতা অনুপচেটিয়া বাংলাদেশের কারাগারে বন্দী আছে।
হামাসঃ প্যালেস্টাইনের গেরিলা সংগঠন। প্রতিষ্ঠাতা শেখ ইয়াছিন ইসরাইলী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মারা যান। বর্তমানে ইসমাইল হানিয়া এর রাজনৈতিক প্রধান এবং খালেদ মিশেল সামরিক প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে।
LTTE (Liberation Tigers of Tamil Eelam): ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত শ্রীলংকার তামিলদের জন্য স্বাধীন আবাস ভূমির জন্য যুদ্ধরত গেরিলা সংগঠন। বিশ্বের ভয়াংকর গেরিলা বলে পরিচিতি প্রম্নপটির নেতা ছিলেন ভেলু পিল্লাই প্রভাকরন। বর্তমানে তামিলরা সরকারি বাহিনীর কাছে পরাজিত হয়েছে এবং তাদের নেতা ভেলু পিল্লাই প্রভাকরন নিহত হয়েছে। বর্তমানে এর প্রধান সেল ভারাসা পাথমনোথন।
হিজবুল্লাহঃ হিজবুল্লাহ শব্দের অর্থ ‘আল্লাহর দল’। এটি লেবাননের শিয়া মুসলিমদের গেরিলা সংগঠন। ১৯৮২ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। দক্ষিণ লেবাননে এর সদর দফতর। ইরান, সিরিয়া ও লেবানন গ্রট্টপটিকে সমর্থন দেয়। সমপ্রতি ইসরাইল কর্তৃক লেবাননে ব্যাপক আক্রমণে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
গড্স আর্মিঃ এটি মায়ানমারের কারেন জনগোষ্ঠীর একটি সংগঠন। এর প্রধান লুথার হটো ওজনি মায়ানমার ও থাইল্যান্ড সীমান্তে এদের ঘাঁটি। এদের কার্যক্রম অনেকটা রহস্যময়।
টুপাক আমারুঃ ল্যাটিন আমেরিকা দেশ পেরুর একটি মার্কসবাদী- লেনিন বাদী গেরিলা গোষ্ঠী। ১৯৮৩ সালে এটি গঠিত হয়। বর্তমানে এর কার্যক্রম নেই বললেই চলে।
সুদান পিপলস্ লিবারেশন অর্গানাইজেশন (SPLO)ঃ সুদানের খ্রিস্টান আধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলের স্বাধীনতার জন্য ১৯৮৩ সাল থেকে গ্রটপটি সশস্ত্র সংগ্রা করছে। দারফুর সংকটের জন্য এরা অনেকটা দায়ী।
জানজাবিদ মিলোশিয়াঃ সুদানের দারফুরে লড়াইতে গেরিলা গ্রট্টপ। হত্যা, লুটতরাজ ইত্যাদির জন্য জাতিসংঘের কালো তালিকা ভুক্ত এই সংগঠনটি সুদানে আর গোষ্ঠির একটি সংগঠন।
আবু সায়াফঃ ১৯৯১ সালে গ্রটপট্টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ফিলিপাইনের মিন্দানাও অঞ্চলের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করে যাচ্ছে। মিন্দানাওয়েব বাসিলানে এদের ঘাঁটি।
আলআকসা মার্টায়ার্সঃ ফিলিস্তিন স্বাধীনকামী গ্রট্টপটি ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ২০০০ সালে এর মার্টাস শব্দটি সংযোজন করে। ১৯৯৩ সালে অসলো
চুক্তির বিরোধীতাকারী ‘ফাতাহ’ সদস্যরা এটি প্রতিষ্ঠা করে।
নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)ঃ ১৯৯৬ সালের ১৩ ফ্রেব্রুয়ারী রাজতন্ত্র বাতিলের দাবিতে গৃহযুদ্ধ শুরু করে। এর শিশু যোদ্ধাদের Red Devil নামে ডাকা হয়। এর প্রধান পুষ্প কমল দহল, ডাকনাম প্রচন্ড। বর্তমানে (২১ নভেম্বর ২০০৬) এক শান্তি চুক্তির ফলে মাওয়াদী গ্রট্টপটি তাদের কর্মকান্ড স্থগিত করেছে।
জইশ-ই- মেহাম্মাদঃ কাশ্মীরে লড়াইরত গেরিলা গ্রট্টপ। এর শাব্দিক অর্থ “মোহাম্মাদের সৈন্য” এর প্রধন ওমর সাঈদ শেখ
JKLF (জন্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট)ঃ কাশ্মীরে স্বাধীনতার জন্য আন্দোলনরত গেরিলা গ্রট্টপ। মকবুল বাট এর প্রতিষ্ঠাতা।
আল কায়েদাঃ বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জঙ্গীবাদী গোষ্ঠী আল কায়েদা গ্রট্টপ। এর প্রধান নেতা ওসামা বিন লাদেন ও আয়মান আল জাওয়াহারী।
১৯৮৯ সালে ওসামা বিন লাদেনের নেতৃত্বে আফগানিস্তান সংগঠনটির জন্ম। ২০০১ সালে ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হামলার জন্য এই সংগঠনটিকে দায়ী করা হয়। এর দ্বিতীয় নেতা মোল্লা ওমর।
পিপলস লিবারেশন আর্মিঃ ভারতের মনিপুর রাজ্যে এ গেরিলা দলটি স্ব শাসনের জন্য ভারতীয় সৈন্যদের সঙ্গে তিন দশক ধরে গেরিলা যুদ্ধ করে আসছে।
আরও কয়েকটি সংগঠন /গেরিলা গোষ্ঠি
সংগঠনের নাম-দেশের নাম
ব্লাক ক্যাট-ভারতের কমান্ডো বাহিনী
রেড আর্মি-জাপানের সন্ত্রাসবাদী দল
গুর্খা-নেপালের সৈন্য বাহিনী
ভাইকিং- স্কেন্ডিনোভিয়ান অঞ্চলের জলদস্যু
গেস্টাপো-হিটলারের গোপন পুলিম বাহিনী
এম-১৯-কলম্বিয়ারগেরিলা সংগঠন
RUF -সিয়েরা লিয়নের গেরিলা গ্রুপ
MNLF -ফিলিপাইনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন