দাঁত থাকতে দাঁতের গুরুত্ব আমরা অনেকেই বুঝি না। দাঁতের যত্ন নিতে তাই আমরা সবাই কমবেশি অবহেলা করে থাকি। অযত্ন-অবহেলায় অনেক সময় দাঁত ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে। সামান্য কারনে এসব দাঁত ভেঙ্গে যেতে পারে। এছাড়া আঘাতের কারনেও দাঁত ভেঙ্গে যেতে পারে। আমাদের দেশে আঘাতজনিত দাঁত পড়ার কয়েকটি প্রচলিত কারন হচ্ছে- টিউবওয়েলের হাতল থেকে হাত পিছলে পড়ে যাওয়া, দৌড়াতে গিয়ে মাটিতে পড়ে যাওয়া, ব্যাট বা বলের আঘাত কিংবা সড়ক দুর্ঘটনা। কারো মুখের (উপরের বা নিচের চোয়ালের) সামনের দাঁত পড়ে বিচলিত হওয়া যাবে না। এ সময়ের করনীয়গুলো হচ্ছে-
১. পড়ে যাওয়া দাঁতটি খুঁজে বের করতে হবে।
২. খুঁজে পাবার পর দাঁতের শিকড়ের গায়ে হাত দেয়া যাবে না।
৩. দাঁতের উপরের অংশকে ক্রাউন বলে। এই অংশটা ধরতে হবে।
৪. দাঁতটিতে ময়লা লেগে গেলে তা ধোয়ার জন্য একটি বাটিতে নরমাল স্যালাইন অথবা দুধ নিতে হবে। এরপর তার মধ্যে দাঁতটি রেখে পরিস্কার করার চেস্টা করতে হবে।
৫. অন্য কিছু দিয়ে দাঁতের গায়ে লেগে থাকা ময়লা মোছা যাবে না।
৬. সাধারণ পানি দিয়েও পড়ে যাওয়া দাঁত ধোয়া যাবে না।
৭. পরিষ্কার করার পর দাঁতের ক্রাউন অংশটি ধরে মুখের মধ্যে চোয়ালের জায়গামত বসিয়ে দিতে হবে। অর্থাৎপূর্বে যেখানে ছিল সেখানে। এরপর কামড় দিয়ে আলতো চাপে তা ধরে রাখতে হবে।
৮. এই কাজটি নিজে না করতে পারলে কিংবা জটিলতা অনুভব করলে খুব দ্রুত দন্ত চিতিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এ সময় দাঁতটিকে রোগীর মুখের লালা, নরমাল স্যালাইন বা দুধের মধ্যে রেখে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
৯. মনে রাখতে হবে, পড়ে যাওয়া দাঁত যত বেশি সময় ধরে মুখের বাহিরে থাকবে ততই তার বেঁচে থাকার সম্ভবনা কমতে থাকবে। সাধারণত ১ ঘন্টার মধ্যেই যদি দাঁতটিকে তার পূর্বের যায়গায় বসিয়ে দেয়া যায় তবে ভালো ফল পাওয়া যায়।
১০. সর্বোপরি দাঁতের যত্ন নিন।
সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।