‘প্রগতিবাদ’ আমাদের মারাত্মক শক্র

‘প্রগতিবাদ’ আমাদের মারাত্মক শক্র

ধর্মীয় মতবাদকে কোন কিছু জিজ্ঞাসা না করেই ‘প্রগতির’ দর্শনের কাছে তাকে সমর্পণ করা হয়েছে এবং ‘প্রগতির’ দর্শনই সার্বজনীনভাবে গৃহীত হয়েছে। এই মতবাদের প্রবক্তাদের ধারণা হচ্ছে বিবর্তনবাদ ইতিহাসের অপরিবর্তনীয় আইন। এই কারণে মানব জাতির অব্যাহত অগ্রগতিকে সামগ্রিক বস্তুগত সাফল্যের বিচারে শুধুমাত্র প্রশংসনীয় নয় বরং অনিবার্য হিসেবে ধরে নেয়অ হয়। OHIO-র হিব্রু ইউনিয়ন কলেজের ইহুদী ইতিহাসের অধ্যাপক Ellis Rivkin বলেন: ইহুদীবাদের অগ্রগতি একটি সাধারণ ধারণাই বদ্ধমূল করে যে, কোন মতবাদ তা যতই ঐশী বলে দাবী করা হকো পরিবর্তিত, উন্নয়নশীল ও অভিনব বিশ্বে যথাযথ থাকতে পারে না। আমাদের আধুনিকতাবাদীরা সর্বান্তকরণে ইসলামের বেলায়ও তা সত্য মনে করেন।

‘প্রগতিবাদের’ দর্শন নিম্নোক্ত অনুমানের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে-

১। চার্লস ডারউইনের মতবাদ কোন প্রকার প্রশ্র ব্যতিরেকে গ্রহণ। নিম্নশ্রেণীর খুবই ক্ষুদ্র কীট থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে মানুষ জন্মলাভ করেছে এই ধারণা বদ্ধমূল করে নেয়ার পর মানব দেহের ক্রমবিবর্তনেও বিশ্বাস স্থাপন করতে হয়,

২। ডারউইনের জীবতাত্মিক মতবাদ মানব সমাজের বেলায়ও গ্রহণ করা হয়েছে,

৩। অতএব আধুনিক পশ্চিমা সংস্কৃতিকে অগ্রাহ্য করা বিবর্তনের আইনকে অস্বীকার করার সামিল। প্রগতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ প্রকৃতিক আইনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বলে ধরে নেয়া হয়েছে। নিম্ন ও আদিম সংস্কৃতি থেকে অত্যাধুনিক সংস্কৃতিতে উত্তরণ শুধুমাত্র আকাঙ্খিত নয় বরং প্রকৃতির অপরিবর্তনীয় আইন। সকল পরিবর্তন যখন প্রগতির একধাপ অগ্রগতি সুতরাং নতুনটাই ভাল এবং পুরাতনটা সমর্থন করার মানে আদিমতায় ফিরে যাওয়া,

৪। আধুনিক বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ঐশীভিত্তিক সকল ধর্মকে বাতিল করেছে এবং অতীন্দ্রিয় মূল্যবোধকে সেকেলে আখ্যায়িত করেছে। যে সমাজ সকল সময় তাদের যাবতীয় কাজকে ঐশী আইনের দ্বারা পরিচালিত করে সে সমাজের সাংস্কৃতিক বন্ধ্যাত্ব অনিবার্য, কারণ পরিবর্তন চাড়া প্রগতি অসম্ভব।

প্রগতিবাদ অপশ্চিমী জাতিসমূহকে হতাশ করার জন্যে একটি মনস্তাত্বিক হাতিয়ার দ্বারা এই প্রচারণাকেই বদ্ধমূল করেছে যে, পশ্চিমা সাংস্কৃতিরই ভবিষ্যৎ রয়েছে এবং একে প্রতিহত করার সকল প্রচেষ্টা দুরাশা মাত্র।

প্রগতিবাদ যখন পরিবর্তনকে পূজা করার আহ্বান জানিয়ে থাকে তার অর্থ হচ্ছে কোন কিছুই স্থানীয় নয় সেটা চারিত্রিক, নৈতিক বা সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ যা-ই হোক না কেন, কোন পদ্ধতি যদি ঐশী ভিত্তিক হওয়ার কারণে স্থায়িত্ব বা অবিনম্বরতা দাবী করে থাকে তবে তা তার অভ্যুদয়ের একটা নির্দিষ্ট সময় বা কালের জন্যে। পরবর্তীকালে তা সেকেলে হয়ে যাবে। এই দৃষ্টিভঙ্গীতে ইসলামের ইতিহাসের বিকৃতির চেষ্টা করা হয়েছে। বলা হয়েছেঠ মুহাম্মদ (স)-এর আগমনী বার্তা ইতিহাসে আশার সঞ্চার করেছে। কিন্তু তাঁর আগমনের সঙ্গে সঙ্গে তা শেষ হয়ে গেছে, কারণ মুহাম্মদ (স) শেষ নবী, তার পর আর কোন পরিপূর্ণতা আশা করা যায় না। অতএব ইতিহাসকে হয় মুহাম্মদকে অতিক্রম করতে হবে নতুবা তার বক্তব্য অনুসারে চলতে হবে। ইসলামী মতে অতীতের মধ্যে পরিপূর্ণতা চাইতে হবে, এখনকার সকল কাজ অতীতের আলোকে বিচার করতে হবে। (Ibid p-16) প্রগতিবাদীরা বলে থাকেন বর্তমান সমাজ নবীর সময়ের সঙ্গে কোনদিক থেকে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। অতএব ইসলাম যুগের অনুপযোগী। আমাদের শরিয়তের বিধান আধুনিক জীবনের সঙ্গে সঙ্গতিহীন, ফলে আজকের সমস্যার কোন সমাধান তাতে পাওয়া যাবে না। প্রগতিবাদী মূল্যবোধের পরিণতি হচ্ছে- স্থিতিশীল বিশ্বে একজনের পরিবেশও স্থিতিশীল থাকে। কিন্তু আজকের পৃথিবীতে পরিবেশ এবং বন্ধুর সীমাহীন ব্যত্যয় ঘটে। এসব পরিবর্তনের মুখে পুরুষ বা নারীরও পরিবর্তন ঘটতে বাধ্য। তাদের মনোভাব এবং ইচ্ছা প্রতিনিয়তই পরিবর্তিত হচ্ছে। এ বছরের গভীর বিশ্বাস আগামী বচর তামাসায় পরিণত হয়। যার প্রতি আজ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা রয়েছে তা কাল পদদলিত হয়।[A Study of Modern American Suberb, Richard E. Gordon, Katherin K. Gordon and Man Gunther Dell Publishing Company. New York. 1960 P-114]

অধ্যাপক Wilfred Cantwell Smith- এর মতে একজন ‘প্রগতিবাদী’ সামাজিক পরিবর্তনের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং তা করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেন অপরদিকে একনজ ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ ‘প্রগতি’কে পরিহার করার জন্যে শুধু এর বিরোধিতাই করে না উপরন্তু পরিবর্তনকে ঠেকানোর জন্যে পূর্বেকার সামাজিক বিধানকে সংস্কারের প্রচেষ্টা চালায়। নতুন সমাজে প্রবেম না করে আদিম সমাজকে আঁকড়ে থাকার চেষ্টা করে। এ মতানুসারে যারা ইসলামী সমাজকে আঁকড়ে থাকতে চায় তারা ‘প্রতিক্রিয়াশীল’।

আমরা যারা ইসলামকে চাই, বিরোধীদের দ্বারা প্রতিক্রিয়াশীল আখ্যায়িত হওয়ায় তাদের ভীত হওয়া উচিঃ নয়। একথা আমাদের বোঝা উচিৎ এই আখ্যা আমাদের কোন ক্ষতি করবে না বরং ইসলামকে ‘যৌক্তিক’ ‘আধুনিক’ ‘বৈজ্ঞানিক’ ‘গতিশীল’ উদার’ ও ‘প্রগতিশীল’ করে অমুসলিমদের তুষ্ট করার চেষ্টাই আমাদের জন্যে ক্ষতিকর। বস্তুবাদী আদর্শের ছত্রছায়ায় ইসলামকে বর্তমান যুগের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর প্রচেষ্টা আত্মঘাতী। কোরআনও সুন্নার প্রতি আমাদের নিষ্ঠার ব্যাপারে প্রশ্ন তোলা হলে আমাদেরও পাল্টা প্রম্ন রাখা উচিৎ যে, সেখানে অন্যায় কোথায়?

আধুনিকতা সমাজের জন্যে ও ব্যক্তি মানুষের জন্যে অকল্যাণকর এই কথা বলার সৎসাহস আমাদের অর্জন করতে হবে। ইসলাম অতীতের, বর্তমানের বা ভবিষ্যতের নয় বরং সকল যুগের। খারাপ বা ভাল সময়, স্থান ও পরিবেশের উপর নির্ভরশীল নয়। খারাপ খারাপই এবং ভাল ভালই। ইসলামের স্বাধীন, স্বতন্ত্র ও স্বয়ং সম্পূর্ণ জীবন পদ্ধতিতে আমরা সন্তুষ্ট। কোন মানব রচিত আদর্শের সঙ্গে তাকে তুলনা করার কোন প্রয়োজন নেই।

পাঠকদের কাছে এটা পরিষ্কার হয়ে যাওয়া উচিৎ যে, ইসলামের আত্মরক্ষামূলক ব্যাখ্যা কিভাবে আমাদের ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক ধ্বংস ডেকে আনছে। যতই আমরা এ পথে বাড়ব ততই আমরা দুর্বল হবো।

বলা হয়ে থাকে যে, একন ইসলামের সামাজিক আইনের পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু যতদিন আমরা ইসলামের নৈতিক ও ধর্মীয় আইন কড়াকড়িভাবে অনুসরণ করব না, ততদিন ইসলামের সামাজিক আইনের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আশা করা যায় না। অতএব, আমরা বিচার করারও ক্ষমতা রাখি না যে, ইসলামের সামাজিক আইন কিবাবে পরিবর্তন করতে হবে বা আদৌ পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে কিনা। আমাদের ইজতেহাদের আকাঙ্খা ইসলামের প্রতি ভালবাসা প্রসুত নয়। এটা তার প্রতি বদ্ধমূল ঘৃণা এবং অন্য আদর্শের প্রতি ভালবাসার ফল। এর লক্ষ্য ইসলামের সত্যিকার ভিত্তি আবিষ্কার বা ব্যাখ্যা নয় বরং ইসলামকে অন্য আদর্শের কাছাকাছি আনার জন্যে এবং সেসব আদর্শের অনুরাগীদের সন্তুষ্টির জন্যে। এটা সত্যিকার ইজতিাদ নয়, শরীয়ত থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবেও এর প্রকাশ ঘটেনি বরং অন্যান্য আদর্শ থেকে যত বেশী সম্ভব ইসলামের বিকল্প খোঁজ করাই এর লক্ষ্য।

পশ্চিমা সভ্যতা এবং তার সকল উপায়-উপকরণের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের সাহস না থাকলে আমাদের পক্ষে ইসলামী পুনর্জাগরণ অসম্ভব। কোন মানুষই যেমন এক সঙ্গে দুই প্রভুর গোলামী করতে পারে না, ঠিক তেমনি একই সঙ্গে সম্পূর্ণ বিরোধী দুটি আদর্শের অনুসরণ একজন ব্যক্তির পক্সে অসম্ভব। তাকে দুটির যে কোন একটি বাছাই করতে হবে। পশ্চিমা সভ্যতার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ দৈহিক বিচ্ছিন্নতা নয় বরং পূর্ণ নৈতিক ও বুদ্ধিভিত্তিক স্বাধীনতা। ইসলামকে বিদেশী মাপকাঠিতে ব্যাখ্যাদান চিরদিনের জন্যে বন্ধ করে আমাদেরকে এই স্বাধীনতা প্রদর্শন করতে হবে। কোন অমুসলমানের পছন্দ বা অপছন্দের তোয়াক্কা না করে আমাদেরকে নির্ভেজাল ইসলামের হেফাজতের জন্যে সংকল্পবদ্ধ হতে হবে।

আমাদেরকে এটা অনুধাবন করতে হবে যে, কোন অমুসলমানদের দেয়া ইসলাম সম্পর্কিত ব্যাখ্যা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্র নয়। কারণ যে মূল্যবোধের মাপকাঠিতে সে বিচার করতে পারে, বৌদ্ধ বৌদ্ধ মন, ইহুদী ইহুদী মন, খ্রীষ্টান খ্রীষ্টান মন, অজ্ঞেয় মানবতাবাদী উদার সমাজতন্ত্র এবং কম্যুনিষ্ট দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের দর্শন দিয়ে ইসলামকে বিচার করতে পারে। নৈতিক মূল্যবোধের ব্যাপারে নিরপেক্ষ হওয়া মনস্তিাত্বিকভাবে অসম্ভব। প্রত্যেকেই তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে অন্যকে বিচার করে থাকে। ইসলামের নির্ভরযোগ্য ব্যাখ্যার সূত্র কোনটি?

সমসাময়িক কালের সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ মুহাম্মদ বিন আবদুল ওহাব (১৭০০-১৭৮৭) বিশ্বব্যাপী যে ইসলামী রেনেসাঁর ভিত্তি স্থাপন করেছেন তাই প্রকৃত ভিত্তি। নির্ভেজাল ইসলামের বাস্তবায়নের জন্যে তিনি আত্মোৎসর্গ করেছেন। ওহাবী আন্দোলনের নাম শোনার সঙ্গে সঙ্গে যাঁরা প্রতিক্রিয়াশীল ধর্মোন্মাদ বলে চীৎকার করে থাকেন তাঁদের পূর্বসূরী ও উত্তরসূরীদের বোঝা উচিৎ যে, তাঁরা ডারউইনের বিবর্তনবাদের উপর ভিত্তিকৃত পশ্চিমী বস্তুবাদী চশমা দিয়ে ইতিহাসকে দেখছেন।

ইসলাম পার্থিব প্রগতি এবং পশ্চাৎগতি দিয়ে ইতিহাসের বিচার করে না বরং অতীন্দ্রিয় ভাল এবং মন্দের আলোকে বিচার করে। সত্য অবিনশ্বর, ঐশী এবং চিরন্তন, বিবর্তনবাদী বা মানবরচিত নয়, সময় স্থান বা পরিস্থিতিতে সীমাবদ্ধও নয়। ইতিহাসের কোরআন ভিত্তিক ধারণায় আদম (আ)-ই প্রথম মানুষ এবং সত্যিকার আল্লাহর নবী, নির্ভেজাল একাত্মবাদী মুসলমান। ডারউইনের ব্যাখ্যাকৃত ইতিহাস অনুসারে আদম (আ) ছিলেন আধা-বান, গুহায় বসবাসকারী পশুর মত নগ্ন, অসভ্য প্রাণী। বৈপরিত্য এতই সুস্পষ্ট যে এর কোন ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই।

আধুনিক পশ্চিমী সভ্যতা কেন বিশ্বজয় করলো? আমরা মুসলমানরা ধরে নিয়েছি যে, পরাজিত হওয়ার কারণে আমরা সবক্ষেত্রেই নিকৃষ্টতর। যদিও এই মনস্তাত্বিক প্রতিক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বাভাবিক এবং বোধগম্য কিন্তু এর সঙ্গে সত্যের কোন সম্পর্ক নেই। আধুনিক পশ্চিমা সভ্যতা যে পার্থিব সাফল্য অর্জন করেছে এতে তার সাংস্কৃতিক মুল্যবোধের কোন প্রেরণা নেই, কিন্তু সম্ভব সংক্ষিপ্ত সময়ে সর্বোচ্চ ক্ষমাত, সম্পদ, আরাম-আয়েশ ও আনন্দ লাভের অদম্য সংকল্পই তাকে এ সাফল্য দিয়েছে। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্যে বাকী সবকিছুই বিসর্জন দেয়া হয়েছে। অপর কথায় পশ্চিমা জগত কি চায় তা জানতো এবং তা অর্জনের জন্যে কোন প্রচেষ্টাই তারা বাকী রাখেনি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভবিষ্যৎ জয়ের আত্মবিশ্বাস। আমরা মুসলমানরা যদি ইসলামী আদর্শের শ্রেষ্ঠত্বে আত্মবিশ্বাসী হই তা বাস্তবায়নের জন্যে এক মন এক ধ্যানে আত্মনিয়োগ করি, কোন কিছুই আমাদের ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। ইসলাম নয়, আমাদেরকেই পরিবর্তন সাধন করতে হবে। সাবান যেমন কাপড় পরিষ্কার করে আমরা তেমনি অপবিত্র অবস্থায় ইসলামে প্রবেশ করি এবং সুশৃংখল ও পরিষ্কার হয়ে তার থেকে বের হই।

মরিয়ম জামিলা।

লেখিকা একজন ধর্মান্তরিত মুসলমান। তার পূর্ব নাম ছিলো মার্গারেট মারকিউস। ইসলামের শ্বাশত আবেদনে মুগ্ধ হয়ে তিনি তাঁর নিজ ইহুদী ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেন। দশ বচর বয়স থেকেই ইসলামের প্রতি তাঁর অনুরাগ জন্মে। তখন তিনি ইহুদীদের রবিবাসরীয় স্কুলের ছাত্রী। বয়সন্ধিকাল পর্যন্ত তিনি মানবতাবাদী দর্শনে প্রভাবিত ছিলেন। বুদ্ধি পরিপক্ক হওয়ার র তিনি আর নাস্তিক্যবাদী আদর্শে বিশ্বাস রাখতে না পেরে ইসলামী আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। প্রথমে বাহাইদের সাথে কাজ শুরু করেন। তারপর পর্যায়ক্রমে তিনি আলজেরিয়ার মরহুম শেখ ইবরাহীম, ওয়াশিংটনের ডঃ মাহমুদ এফ হোবাল্লা, প্যারিসের ডঃ হামিদুল্লাহ, জেনেবার ডঃ সৈয়দ রমজান এবং পাকিস্তানের মাওলানা সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদীর সাথে যোগাযোগ করেন।

অতপর ১৯৬১ সালে ইসলামের সুমহান আদর্শ গ্রহণ করে মুসলমান হয়ে মরিয়ম জামিলা নাম ধারণ করেন। মরিয়ম জামিলা তাঁর জীবনের মিশন হিসেবে ইসলামকে গ্রহণ করেন। এ জন্যে তাঁর জন্মভূমি আমেরিকা ত্যাগ করে পাকিস্তান চলে যান ১৯৬১ সালে। ঐ বছরই লাহোরের একজন মুসলমানকে বিয়ে করেন এবং স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।

ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করার মানসে নিরলসভাবে কাজ করার ইচ্ছা এবং কাজের সাথে জীবনের সমন্বয় থাকায় মরিয়ম জামিলার বইয়ের আবেদন হৃদয়স্পর্শীী লেখিকার মূল বক্তব্য Either accept Islam in to to or keep it aside, Islam admits no compromise.
এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই তিনি বারত উপমহাদেশ, তুরস্ক ও আরব জগতের মুসলিম নেতা ও পণ্ডিতদের কাজের চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন এ গ্রন্হে।

সমাপ্ত

InfotakeBD

View posts by InfotakeBD
InfotakeBD is a information sharing blog, We share information for you. Please visit us and if you want to contribute for this blog please email us infotakebd@gmail.com. Thank you
Scroll to top
error: Content is protected !!