স্যার সৈয়দ আহমদ খান : মুসলিম বিশ্বের আধুনিকতার অগ্রদূত

স্যার সৈয়দ আহমদ খান : মুসলিম বিশ্বের আধুনিকতার অগ্রদূত

স্যার সৈয়দ আহমদ খান ১৮১৭ সালের ১৭ই অক্টোবর দিল্লীতে জন্ম গ্রহণ করেন এবং ধর্মীয় পরিবেশে গড়ে উঠেন। তিনি প্রাচীন ও চিরচরিত ব্যবস্থায় শিক্ষা লাভ করেন। তবে আরবী এবং ফার্সীর ব্যাপারে এতই অসহিষ্ণু ছিলেন যে, যখনই পেরেছেন তা পরিহার করেছেন। যৌবনকালে তিনি অবাধ জীবন যাপন রেছেন এবং নাচ গানের উৎসবে খুবই ঘনঘন যাতায়াত করতেন। ১৮৩৮ সালে তাঁর পিতার মৃত্যুর পর তিনি ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীতে চাকুরী নেন। যথা নিয়মে বিভিন্ন শহরে তিনি সাবজজ নিযুক্ত হন।

উনত্রিশ বছর বয়সে তিনি যৌবনের বেখেয়ালী অবস্থায় অর্জিত সামান্য ইসলামী জ্ঞানের পরিধি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন এবং তার সময়ের খ্যাতনামা পণ্ডিতদের কাছে অধ্যয়ন শুরু করেন। অবসর সময়ে নবীর জীবনীসহ কয়েকটি ধর্মীয় পুস্তিকা রচনা করেন। এগুলোতে ধর্মীয় গোঁড়ামী থাকলেও বিষয়বস্তু এবং সাহিত্যিক মানে ছিল খুবই সাধারণ।

১৮৪৭ সালে ‘দিল্লীর বিখ্যাত জনগণ ও স্মৃতিস্তম্ভে’র ইতিহাস Athar al sanadid প্রকাশ করে স্যার সৈয়দ আহমদ খান প্রথম খ্যাতি অর্জন করেন। এ ঐতিহাসিক কাজে পাণ্ডিত্য প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ধর্মীয় লেখায় তার পাণ্ডিত্যের দৈন্য খুবই সুস্পষ্ট হয়েছিল। এটি ১৮৫৪ সালে পুনঃমুদ্রিত হয় এবং বহুবছর পরে ফরাসী ভাষায় অনূদিত হয়। ১৮৬৩ সালে স্যার সৈয়দ আহমদ খান লণ্ডনের রয়েল এশিয়াটিক সোসাইটির অবৈতনিক সদস্যপদ লাভ করেন। এই বইয়ের সমালোচনা করতে গিয়ে উর্দু কবি গালিব মন্তব্য করেছেন যে, সৈয়দ আহমদ খানের উচিৎ ভারতে ইসলামী সভ্যতার স্বর্ণযুগের স্বপ্ন দেখে সময় নষ্ট করার পরিবর্তে ইংরেজী সংস্কৃতি অধ্যয়নে আত্ননিয়োগ করা। আমরা এখন দেখতে পাব কত আন্তরিকতার সঙ্গে তিনি এই উপদেশ গ্রহণ করেছিলেন।

১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ এবং পরবর্তীকালে ভারতে বৃটিশ রাজত্ব থেকে স্যার সৈয়দ আহমদ খান সিদ্ধান্তে পৌঁছলেন যে, ভারতের মুসলমানদের মুক্তির পথ হচ্ছে বৃটিশের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা এবং তাদের সংস্কৃতি গ্রহণ করা। তিনি নিজেকে স্বঘোষিত মধ্যস্থতাকারী করার সিদ্ধান্ত নিলেন। বললেন, ধর্মীয় কারণে মুসলমান এবং খৃস্টানদের শক্রতা ইসলাম নিষিদ্ধ করেছে। কারণ বিশ্বের সকল ধর্মের চাইতে খৃস্টান ধর্ম এবং তার প্রবর্তকের প্রতি মুসলমানদের সর্বাধিক শ্রদ্ধা রয়েছে। তিনি ইংরেজেদের আশ্বাস দিলেন যে, ইসলাম আমাদের শিক্ষা দিয়েছে, “আল্লাহর ইচ্ছায় যদি আমরা কোন জাতির অধীনস্থ হই এবং তারা যদি ভারতে বৃটিশের ন্যায় আমাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা দেয়, ন্যায়ের সঙ্গে শাসন করে, দেশে শান্তি বজায় রাকে এবং আমাদের ব্যক্তিসত্ত্বা ও সম্পত্তির প্রতি শ্রদ্ধা দেখায়, আমরা তাদের আনুগত্য করতে বাধ্য”।

ইসলামকে রাজণৈতিক গোলামীতে রাখার ব্যাপারে আপোষ করতে গিয়ে তিনি ঈসা (আ)-এর দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে বলেন, মিশরের ফেরাউন অমুসলিম হওয়া সত্ত্বেও তিনি তার আনুগত্য করেছেন। বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের স্বার্থ রক্ষার উৎসাহে তিনি বৃটিশ সরকারের অধীনস্ত মুসলিম কর্মচারীদের জন্যে সরকারী বিশেষ নির্দেশ প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেন। “আমি এতে সমদর্শী ও নিরপেক্ষ বৃটিশ সরকারের পুরস্কার ও অনুগ্রহের কথা উল্লেখ করব, যাতে ভারতের সকল মুসলমান এটা পড়ে আমাদের দয়ালু সরকারের আনুগত্য প্রকাশ করতে পারে”। [Reforms and religious ideas of Sir Sayyid Ahmed Khan J. M. S. Beljon, Nd. Ashraf. Lahore. P-2.]

মুসলমানদের ইংরেজী সংস্কৃতি প্রীতি বাড়ানোর জন্যে স্যার সৈয়দ আহমদ খান সামাজিক ব্যবধান দূর করার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেন। এই সময় তিনি খৃস্টানদের সঙ্গে একই টেবিলে মুসলমানদের খাওয়া আইনসঙ্গত ঘোষণা করে তার বিখ্যাত ফতোয়া জারী করেন। এই ধারনার প্রতি মুসলমানদের আকৃষ্ট করার জন্যে তিনি কোরআনের ঐ সব আয়াত উদ্ধৃত করেন যেখানে বলা হয়েছে আহলে কিতাবদের খাদ্য মুসলমানদের জন্যে জায়েয। কিন্তু ধর্মীয় আচার অনুসারে হারাম গোস্তের প্রশ্ন দেখা দিলে তিনি দারুণ অসুবিধায় পড়েন। তিনি সন্দিগ্ধ হাদীসের ব্যাখ্যা করে বোঝাতে চেষ্টা করেন যে, জবাই না করা জন্তুর গোস্তও মুসলমানেরা খেতে পারে।

১৮৬৯ সালে স্যার সৈয়দ আহমদ ইংল্যান্ড সফররের সিদ্ধান্ত নেন। তার উদ্দেশ্য ছিল বৃটিশ শক্তির উৎসের সন্ধান লাভ করে তার দেশবাসীকে একই পথে চলতে উদ্বুদ্ধ করা। তিনি ভারতের মুসলমানদের চাইতে ইংরেজদের শুধু শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিতে নয় বরং সামাজিক, নৈতিক ও আধ্যাত্মিক প্রাধান্য লক্ষ্য করে অভিভূত হয়ে পড়েন। ১৮৬৯ সালের ১৫ই আক্টোবর লণ্ডন থেকে বাড়ীতে লেখা এক চিঠিতে তিনি বলেন, ইংরেজদের চাটুকারীতা না করেও আমি বলতে পারি ভারতের বাসিন্দা উচ্চ কিংবা নীচ, ব্যবসায়ী কিংবা ছোট দোকানদার, শিক্ষিত বা অশিক্ষিত ইংরেজদের সঙ্গে শিক্ষা আচার ব্যবহার এবং সততার দিক থেকে তুলনায় সক্ষম সুন্দর মানুষের কাছে ক্লেদাক্ত জন্তুর মত। ভারতের অধিবাসীদের পুরুষত্বহীন নিবোর্ধ ভাবার ইংরেজদের যুক্তি আছে। আমি যা দেখেছি এবং প্রতিদিন যা দেখি কোন কোন ভারতীয়ের পক্ষে তা কল্পনা করাও অসম্ভব। ‘মোহাম্মদী’ সম্প্রদায়ের চতুর্দিকে আত্মপ্রসন্না স্বজাত্যের মারাত্মক আবরণ রয়েছে। তারা তাদের পূর্বপুরুষদের পুরনো কাহিনী স্মরণ করে এবং ভাবে যে, তাদের মত কেউই নেই। মিশর এবং তুরস্কের ‘মোহাম্মদী’রা দিন দিন সভ্য হচ্ছে। এখানকার মত আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষত করা না গেলে ভারতীয়দের পক্ষে সভ্য এবং সম্মানিত হওয়া অসম্ভব।

স্যার সৈয়দ আহমদ প্রমাণ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হলেন যে, আধুনিকতার পরিপন্হি প্রাচীন আচার-আচরণ পরিহার করা হলে মানবতা, সভ্যতা ও অগ্রগতির বাহনরূপী সত্যিকার ধর্মে ইসলামকে রূপান্তরিত করা সম্ভব।

মুসলমানদের মধ্যকার আধুনিকতাবাদীদের উন্নতির জন্যে স্যার সৈয়দ আহমদ খান ১৮৭৮ সালে আলিগড়ে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, আরবী ফার্সী, উর্দু অথবা যে কোন ভারতীয় ভাষার সীমাবদ্ধতার ব্যাপারে অসন্দিগ্ধ হয়ে তিনি ইংরেজীকেই শিক্ষার একক মাধ্যম করার ওপর জোর দেন। ১৯২০ সালে আলিগড় স্কুল বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে উন্নীত হয়।

স্যার সৈয়দ আহমদ খান আধুনিক আত্মপক্ষ সমর্থনকারীদের অগ্রদূত। আত্মপক্ষ সমর্থনকারী কিছু বক্তব্য নিম্নরূপঃ

১। বহু বিবাহ ইসলামের প্রকৃতি বিরুদ্ধ, বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া এর অনুমতি দেয়া উচিৎ নয়।

২। ইসলাম দাসপ্রথা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে এমন শরিয়তের অনুমোদন প্রাপ্ত যুদ্ধবন্দীদেরকে দাসত্ব করানো যাবে না।

৩। আধুনিক ব্যাংকিং, বাণিজ্যিক লেন দেন, কর্জ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রাভৃতিতে যে সুদের ব্যবস্থা আছে তা ঠিক রিবার (সুদের) ব্যাখ্যার আওতায় পড়ে না, অতএব তা কোরআনী আইনের বিরুদ্ধে নয়।

৪। কোরআন এবং সুন্নাহ চুরির জন্যে হাতকাটা, ভেজাল দেয়ার জন্যে পাথর নিক্ষেপ করে মেরে ফেলা এবং অবিবাহিত যুবক-যুবতীর যৌন সংসর্গের জন্যে যে একশ বেত্রাগাতের শাস্তি বিধান করেছে তা বর্ববতার পরিচায়ক এবং প্রাথমিক যুগে যখন জেল ছিল না কেবলমাত্র তখনকার জন্যে তা প্রযোজ্য ছিল।

৫। আত্মরক্ষার অন্তিম প্রয়োজন ছাড়া জেহাদ নিষিদ্ধ।

স্যার সৈয়দ আমহ খান ইসলামের একমাত্র সত্য জিনিস বিবেচনা করেছেন উনিশ সতকের বৈজ্ঞানিক প্রকৃতিবাদের সঙ্গে ইসলামের সামঞ্জস্য বিধান। তিনি যুক্তি দিয়েছেন যে, ধর্ম যদি মানব প্রকৃতি বা সাধারণ প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপুর্ণ হয় তবেই তা সত্য হতে পারে। ইসলাম বিজ্ঞান এবং যুক্তিভিত্তিক ধর্ম প্রমাণ করার জন্যে তিনি ভাগ্য, ফেরেশতা, জ্বিন, কুমারীর গর্ভে হযরত ঈসার (আ) জন্মকে অস্বীকার করেছেন, নবীর (সা) মিরাজে গমনকে একটা সাধারণ স্বপ্ন হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন এবং শেষ বিচারের দিনে স্বশরীরে উপস্থিতি, বেহেশত দোজখ প্রভৃতিকেও অস্বীকার করে বলেছেন এগুলো শাব্দি অর্তে গ্রহণ না করে প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করা উচিৎ। তিনি ওহি নাজিলের মত ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য বিষয়কেও মানসিক অসুস্থতাজনিত মতিভ্রমের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

স্যার সৈয়দ আহমদ খান অষ্টাদশ শতকের ফ্রান্সের ওহি বিহীন ঈশ্বরের ধারণা নিয়ে খোদাকে বিশ্বাস করেছেন। তার মতে খোদা নির্জন এবং সম্পূর্ণ বস্তুনিরপেক্ষ। প্রকৃতির বিদান অপরিবর্তনীয়। এমনকি খোদাও তা পরিবর্তন করতে পারেন না। সুতরাং তার কাছে প্রার্থনার কোন মানে নেই। এ ধরনের নিষ্প্রাণ ও নৈর্ব্যক্তিক দেবতার প্রতি আমাদের কোন আগ্রহই থাকতে পারে না।

স্যার সৈয়দ আহমদ খানের মতে কোরআন এবং সুন্নাহর কর্তৃত্ব সম্পূর্ণভাবে ধর্মীয় বিষয়ে সীমাবদ্ধ। কোরআন এবং হাদীসের যেসব আয়াতে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কথা-বার্তা বলা হয়েছে সেগুলো নবীল যুগের প্রাথমিক অবস্থার জন্যে প্রযোজ্য ছিল। আমাদের মত আলোকপ্রাপ্ত আধুনিক সভ্যতার জন্যে তা সম্পূর্ণ অনুপযোগী। অতএব মুসলমানরা যদি ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ জীবন পদ্ধতি হিসেবে অনুসরণ না করে তাহলে পশ্চিমা সংস্কৃতি গ্রহণে কোন বাধা নেই।

এটা সুস্পষ্ট যে, স্যার সৈয়দ আহমদ খানের ধর্মীয় পুনরুজ্জীবনে কোন আগ্রহ ছিল না। তার সম্পর্কে এতটুকু বলা যায় যে, তিনি ভারতের মুসলমানদের সামাজিক এবং আর্থিখ কল্যাণ চেয়েছিলেন। তার ধারণা ছিল পার্থিব অগ্রগতির মাধ্যমেই তারা উন্নতি করতে পারবে। এই কাজ করতে গিয়ে তিনি এ বিষয়ে দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন যে, ইতিহাসে কোন জাতিই এমনকি বস্তুগত দিক থেকেও বিদেশী শাসনাধীনে উন্নতি লঅভ করতে পারেনি। মীর্জা গোলাম আহমদ (১৮৩৯-১৯০৮) বিশ্বস্ততার সঙ্গে তার মনিবের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন, বৃটিশ শাসনের জন্যে এক ফোটারক্তদানকে খুবই অপরিহার্য ঘোষণা করে। অপরদিকে জেহাদকে একটি অপরাধ হিসেবে নিন্দা করে তিনি বস্তুত স্যার সৈয়দ আহমদের ধারণাই সমর্থন করেছেন।

ভারতে নির্বাসনকালে জামালুদ্দিন আফগানী (১৮৩৮-৯৭) স্যার সৈয়দ আহমদের সঙ্গে পরিচিত হন। তিনি তার Al- Urwah Al- Wuthqz গ্রন্হে লিখেছেন, “ইংরেজ কর্তৃপক্ষ মুসলমানদেরকে চরিত্রহীন করার জন্যে স্যার সৈয়দ আহমদ খানকে উপযুক্ত পাত্র হিসেবে দেখতে পেয়েছিলেন, এ জন্যে তারা তাকে প্রশংসা ও সম্মান করতে শুরু করলেন এবং আলীগড় কলেজ প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করলেন এবং এটাকে মুসলমানদের কলেজ আখ্যায়িত করলেন, যাতে ঈমানদারদের সন্তানদের আকৃষ্ট করে তাদের মধ্যে নাস্তিকতা প্রচার করা যায়। বস্তুবাদী স্যার সৈয়দ আমহদ খান ইউরোপের বস্তুবাদীদের চাইতেও জঘন্য, কারণ পশ্চিমা দেশে যারা ধর্ম ত্যাগ করে তারা দেশপ্রেম ত্যাগ করে না এবং পিতৃভূমিকে সমর্থন করার উৎসাহ হারায় না। অপরদিকে স্যার সৈয়দ আহমদ খান এবং তার বন্ধুরা বিদেশী স্বেচ্ছাচারী শাসনকর্তাকে গ্রহণযোগ্য মনে করেন”। [The refroms and religious Ideas of Sir Sayyid Ahmed Khan, op. cit, pp 117-119.]

স্যার সৈয়দ আহমদ খানের পরবর্তী পশ্চিমানুসারীদের ওপর তার প্রভাব অস্বাভাবিক নয়। তার আত্মপক্ষ সমর্থনকারী বক্তব্য আজও বিশ্বস্ততার সঙ্গে অনুসৃত হয়। আমীর আলী, চিরাগ আলী, খুদা বকশ, গোলাম আহমদ পারভেজ, খলিফা আবদুল হাকিম এবং কাদিয়ানী আন্দোলনের মাওলানা মোহাম্মদ আলী লাহোরী তার বক্তব্যই পুনরাবৃত্তি করেছেন। এখন পর্যন্ত তাদের নতুন কোন বক্তব্যই নেই।

InfotakeBD

View posts by InfotakeBD
InfotakeBD is a information sharing blog, We share information for you. Please visit us and if you want to contribute for this blog please email us infotakebd@gmail.com. Thank you
Scroll to top
error: Content is protected !!