Course Content
১ম অধ্যায়: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি: বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত
বিশ্বগ্রামের ধারণা: যোগাযোগ, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, গবেষণা, অফিস, বাসস্থান, ব্যবসা-বাণিজ্য, সংবাদ, বিনোদন ও সামাজিক যোগাযোগ, সাংস্কৃতিক বিনিময়। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি: প্রাত্যহিক জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রভাব। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাম্প্রতিক প্রবণতা: আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স, রোবটিকস, ক্রায়োসার্জারি, মহাকাশ অভিযান, আইসিটি নির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থা, প্রতিরক্ষা, বায়োমেট্রিক্স, বায়োইনফরম্যাট্রিক্স, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ন্যানো টেকনোলজি,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারে ক্সনতিকতা,সমাজজীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রভাব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং অর্থ‣নতিক উন্নয়ন।
0/5
২য় অধ্যায়: কমিউনিকেশন সিস্টেমস ও নেটওয়ার্কিং
৩য় অধ্যায়: সংখ্যা পদ্ধতি ও ডিজিটাল ডিভাইস
৪র্থ অধ্যায়: ওয়েব ডিজাইন পরিচিতি এবং HTML
৫ম অধ্যায়: প্রোগ্রামিং ভাষা
৬ষ্ঠ অধ্যায়: ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (এইচ. এস. সি) – Information and Communication Technology (HSC)
About Lesson

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

ইনফরমেশন বা তথ্যঃ তথ্য হলো কোন প্রেক্ষিতে সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো ডেটা যা অর্থবহ এবং ব্যবহারযোগ্য। অন্যভাবে বলা যায়- ডেটা প্রক্রিয়াকরণ পরবর্তী অর্থপূর্ণ রূপ হলো ইনফরমেশন বা তথ্য। তথ্য দ্বারা কোন ব্যক্তি বা বস্তু সম্পর্কে পুর্নাঙ্গ ধারণা পাওয়া যায়। মানুষ বিভিন্ন কাজে ইনফরমেশন বা তথ্য ব্যবহার করে।

ডেটা বা উপাত্তঃ সুনির্দিষ্ট ফলাফল বা আউটপুট পাওয়ার জন্য প্রসেসিংয়ে ব্যবহৃত কাঁচামাল সমুহকে ডেটা বা উপাত্ত বলে। অন্যভাবে বলা যায়- তথ্যের ক্ষুদ্রতম একককে বলা হয় উপাত্ত। Data এর অর্থ ফ্যাক্ট(Fact) যার একবচন হলো Datum। ডেটা এক বা একাধিক বর্ণ , চিহ্ন বা সংখ্যা হতে পারে।

উপাত্ত  তথ্যের উদাহরণঃ 

কোন ছাত্রের প্রতিটি বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বর হল ডেটা বা উপাত্ত। কিন্তু সকল বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বর হিসাব করে তৈরি করা ফলাফল অর্থাৎ GPA বা রিপোর্ট হলো ঐ ছাত্রের জন্য তথ্য। আবার কলেজ কর্তৃপক্ষ যখন সকল শিক্ষার্থীর ফলাফল নিয়ে একটি রিপোর্ট  তৈরি করবে তখন প্রতিটি ছাত্রের রিপোর্ট উপাত্ত হিসেবে বিবেচিত হবে। অর্থাৎ একটি সিস্টেমের তথ্য অন্য একটি সিস্টেমের উপাত্ত হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

উপাত্ত তথ্যের মধ্যে সম্পর্কঃ উপাত্ত প্রক্রিয়া করার পর তথ্য পাওয়া যায়।

উপাত্ত  তথ্যের মধ্যে পার্থক্যঃ 

উপাত্ত

তথ্য

সুনির্দিষ্ট ফলাফল বা আউটপুট পাওয়ার জন্য প্রসেসিংয়ে ব্যবহৃত কাঁচামাল সমুহকে  উপাত্ত বলে।

তথ্য হল কোন প্রেক্ষিতে সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো ডেটা যা অর্থবহ এবং ব্যবহারযোগ্য।

তথ্যের ক্ষুদ্রতম একককে বলা হয় উপাত্ত।

ডেটাকে প্রসেস করে তথ্য পাওয়া যায়।

উপাত্ত কোন বিষয় সম্পর্কে পরিপূর্ণ  ধারণা প্রকাশ করে না।

তথ্য কোন বিষয় সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা প্রকাশ করে।

উপাত্ত তথ্যের উপর নির্ভর করে না।

তথ্য উপাত্তের উপর নির্ভর করে।

উপাত্ত তথ্য তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়।

তথ্য সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে  ব্যবহৃত হয়।

যোগাযোগঃ কোন যন্ত্রের মাধ্যমে নির্ভরযোগ্যভাবে তথ্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে আদান-প্রদান করাকে বলা হয় যোগাযোগ। যেমনঃ মোবাইল ফোনে কথা বলা, ইমেইল করা ইত্যাদি।

প্রযুক্তিঃ বিজ্ঞানের বিভিন্ন সূত্র প্রয়োগ করে যখন কোন কিছু উদ্ভাবন করা হয়, তখন সেই উদ্ভাবনকে বলা হয় প্রযুক্তি। যেমন- মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ইত্যাদি হল বিভিন্ন প্রযুক্তি। অন্যভাবে বলা যায়, প্রযুক্তি হলো জ্ঞানের এমন একটি শাখা যেখানে প্রকৌশল এবং ব্যবহারিক বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করা হয়।

তথ্য প্রযুক্তিঃ তথ্য সংগ্রহ, এর সত্যতা ও বৈধতা যাচাই, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, আধুনিকরন, পরিবহন, বিতরন ও ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিকে বলা হয় তথ্য প্রযুক্তি।

যোগাযোগ প্রযুক্তিঃ একস্থান থেকে অন্য স্থানে নির্ভরযোগ্য ভাবে তথ্য আদান প্রদানে ব্যবহৃত প্রযুক্তিই হচ্ছে যোগাযোগ প্রযুক্তি । অন্যভাবে বলা যায়, ডেটা কমিউনিকেশন ব্যবস্থার সাথে  সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিকে যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে। যেমনঃ টেলিফোন, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদি।