Course Content
প্রথম অধ্যায়ঃ কম্পিউটার ও অপারেটিং সিস্টেম
• কম্পিউটার • কম্পিউটারের কর্ম প্রক্রিয়া • কম্পিউটারের ইতিহাস, কম্পিউটারের প্রজন্ম • কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ • কম্পিউটার হার্ডওয়ার • কম্পিউটার সফটওয়ার • বিভিন্ন ধরনের স্মৃতি • অপারেটিং সিস্টেম • কম্পিউটার সিকিওরিটি, ভাইরাস-এন্টিভাইরাস • উইনডো পরিচিতি, কাম্পউটার চালু করা বন্ধ করা, ফোল্ডার তৈরি, কাট-কপি-পেস্ট, উইনডো পরিচিতি, সময় পরিবর্তন, থিম পরিবর্তন, আইকোন পরিবর্তন • কয়েকজন উদ্ভাবকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
0/12
দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ ওয়ার্ড প্রসেসিং
• ওয়ার্ড কি, ব্যবহার, বিভিন্ন মেনুবার ও টুল এর কাজ, ব্যবহারিক অংশ • Ms-word ওপেন করা • এমএস ওয়ার্ড সেভ করা • পেজ সেটআপ করা • মার্জিন দেয়া • কাট কপি পেস্ট • ফাইন্ড রিপ্লেস গো টু • ফন্ট চেঞ্জ করা • হেডার এবং ফুটার দেওয়া • লাইন স্পেসিং দেয়া • বুলেট এবং নাম্বারিং • পিকচার ইনসার্ট, ক্লিপ আর্ট, সেপ ,সিম্বল, ইকুয়েশন • বাংলা ও ইংরেজী টাইপিং • বিজয় কিবোর্ড পরিচিতি
0/2
তৃতীয় অধ্যায়ঃ স্পেডশিট এনালাইসিস প্রোগ্রাম
• এক্সেল কি, ব্যবহার, বিভিন্ন মেনুবার ও টুল এর কাজ, ব্যবহারিক অংশ • এমএস এক্সেল • ওয়ার্কবুক, ওয়ার্কশীট, কলাম, রো • এম এস এক্সেল ওপেন, সেভ • রো ইনসার্ট করা, কলাম ইনসার্ট করা, হাইট বারানো- কমানো, উইড বাড়ানো বা কমানো • পেজ সেটআপ • ক্যালকুলেশনঃ যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ, ম্যাক্সিমাম, মিনিমাম, এভারেজ, ইত্যাদি • ডাটা সাজানো • সেলারি শীট তৈরি করা • বিদ্যুৎ বিলের হিসাব বের করা • রেজাল্ট শীট বা টেবুলেশন শীট এর হিসাব বের করা • ডায়াগ্রাম তৈরি করাঃ কলাম, বার, পাই, লাইন
চতুর্থ অধ্যায়ঃ প্রেজেন্টেশন ডিজাইন ও ডেলিভারি
• পাওয়ার পয়েন্ট কি, ব্যবহার, বিভিন্ন মেনুবার ও টুল এর কাজ, ব্যবহারিক অংশ • Ms-powerpoint ওপেন করা, সেভ করা • স্লাইড ডিজাইন • ফন্ট সাইজ অ্যারেঞ্জমেন্ট • স্লাইড ট্রানজিশন • অবজেক্ট এনিমেশন • পাঁচটি স্লাইড নিয়ে বাংলাদেশ বিষয়ে একটি পাওয়ারপয়েন্ট স্লাইড তৈরি করো
পঞ্চম অধ্যায়ঃ ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট
• ডাটাবেজ কি, বিট, বাইট, ফিল্ড, রেকর্ড, ফাইল • ডাটাবেজে বিভিন্ন ধরনের কিঃ প্রাইমারি কি, কম্পোজিট কি, ফরেন কি • ms-access ওপেন, সেভ, টেবিল তৈরি, ডাটা ইনপুট • কুয়েরি ডিজাইন • ফর্ম ডিজাইন • রিপোর্ট ডিজাইন • ডাটাবেজের মধ্যে রিলেশন তৈরি করা • ডেটা টাইপ
ষষ্ঠ অধ্যায়ঃ সংখ্যা পদ্ধতি
• সংখ্যা পদ্ধতি কি • দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি • অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি • বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি • হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি
সপ্তম অধ্যায়ঃ ইমেল ও ইন্টারনেট
ইন্টারনেট কি, ইমেল কি, একাউন্ট তৈরি করা, ব্যবহার, গুগলে কোন কিছু সার্চ করার নিয়ম, বিভিন্ন জব সাইটে একাউন্ট খোলা, জবে এপ্লাই করা
অষ্টম অধ্যায়ঃ গুগল জি-সুট
গুগল ডক কি, গুগল সিট কি, গুগল স্লাইড কি, গুগল ড্রাইভ, গুগল ফটো, ব্যবহার, ব্যবহারিক অংশ
নবম অধ্যায়ঃ ইংরেজি
ট্রান্সলেশন ইংরেজি থেকে বাংলা, বাংলা থেকে ইংরেজি, শূন্যস্থান পূরণ
দশম অধ্যায়ঃ ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে সাধারণ ধারনা
• আউটসোর্সিং কি, ফ্রিল্যান্সিং কি • অনলাইন থেকে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় • ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি দক্ষতার প্রয়োজন হয় • ফ্রিল্যান্সিং করতে কোন কোন ডিভাইস প্রয়োজন হয়
কম্পিউটার অফিস এপ্লিকেশন বই – Computer Office Application Book
About Lesson

কম্পিউটারের কেসিং বক্স এর বাহিরে যে সকল হার্ডওয়্যার থাকে সেগুলোকে এক্সটারনাল হার্ডওয়্যার বলে।

২.১. ইনপুট ডিভাইসঃ যে যন্ত্র বা যন্ত্রাংশের সাহায্যে কম্পিউটারকে উপাও বা নির্দেশ প্রদান করা হয় তাকে গ্রহন মুখ যন্ত্র বা ইনপুট ডিভাইস বলে।

ক)কীবোর্ড (Key Board)

খ)মাউস (Mouse)

গ)স্ক্যানার (Scanner)

ঘ)লাইট পেন (Light pen)

ঙ)মাইক্রোফোন (Micro phone)

চ)ওএমআর (OMR)

ছ)ওসিআর (OCR)

জ) এমআইসিআর(MICR)

ঝ)ডিজিটাইজার (Digitizer)

ঞ)ডিজিটাল ক্যামেরা (Digital Camera)

ট)টাচ প্যাড (Touch Pad)

ঠ)জয়স্টিক (Joystick)

 

ক) কী-বোর্ড (Key Board)

কম্পিউটারকে উপাও বা নির্দেশ প্রদান করার অন্যতম প্রধান মাধ্যম হচ্ছে কী-বোর্ড। লেখা-লেখিসহ নির্দেশ বা কমান্ড প্রদানের জন্য কী-বোর্ড ব্যবহার করা হয়। কী-বোর্ডে প্রতিটি কী একটি করে সুইচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।প্রতিটি সুইচের সাথে একটি করে এনকোডার লাগানো থাকে।যা এনালগ সংকেতকে ডিজিটাল সংকেতে রুপান্তরিত করে। একটি কী-বোর্ডে ১০৪টি থেকে ১২৫ টি কী থাকে। ভিন্ন ভিন্ন ধরনের কাজে ব্যবহৃত হয়।কাজের ধরণ অনুসারে কী-বোর্ডের কী সমহকে ৬(ছয়)ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।

নিম্নে কী সমহের বর্ণনা করা হল।

  • ফাংশন কী (F1-F12)
  • ক্যারেক্টার কী (A,B,C,D..Z)
  • নিউমেরিক কী (0,1,2,3..9,+,-)
  • কমান্ড কী (Ctrl, Alt, Enter, Shift)
  • স্পেশালাইড কী (Del, End, PageUp, PagDn)
  • এরো কী (Up arrow, Right arrow, Left arror, Down arrow key)

খ) মাউস (Mouse)

মাউস কম্পিউটারের একটি ইনপুট ডিভাইস। মাউস পয়েন্টার সাধাণত তীর চিহ্নের মত হয়ে থাকে। কম্পিউটারকে বিভিন্ন নির্দেশ বা কমান্ড প্রদান করার জন্য মাউস ব্যবহৃত হয়। বাগারে তারযুক্ত  ও তার বিহীন

 

গ) স্ক্যানার (Scaner)

স্ক্যানার একটি ইনপুট ডিভাইস। কোন ছবি, লেখা, গ্রাফ বা চিএ হুবহু কম্পিউটারে ইনপুট করার জন্য স্ক্যানার ব্যবহার করা হয়। স্ক্যানারের মাধ্যমে গ্রহণকৃত লেখা ,ছবি বা চিএ কম্পিউটারে ছোট-বড় করা, সংশোধন, সংযোজন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন এবং রংয়ের পরিবর্তন করা যায়। স্ক্যানার তিন ধরনের হতে পারে-

  • হ্যান্ড হেন স্ক্যানার
  • ফ্লাডবেড অপটিক্যাল স্ক্যানার
  • ড্রাম স্ক্যানার

ঘ) লাইট পেন ( Light Pen)

লাইট পেন ইনপুট ডিভাইসটি দেখতে কলমের মত। লাইট পেনের এক মাথায় সেন্সর লাগানো থাকে যার মাধ্যমে আলো অনুভব করতে পারে এবং অন্য মাথায় একটি তার লাগানো যা কম্পিউটারের সঙ্গে সংযোগ দিতে হয়। লাইট পেনের মাথা কম্পিউটার স্কিনের উপর ম্পর্শ করলে কোন বিন্দুতে কি আছে তা সিপিইউ বুঝতে পারে।

ঙ) মাইক্রোফোন (Microphone)

মাইক্রোফোন এমন একটি ইনপুট ডিজিটাল ডিভাইস যা শব্দ বা অডিওকে ইলেক্ট্রিক্যাল শক্তিতে রুপান্তর করে। মাইক্রোফোনের গঠনশৈলির উপর ভিত্তি করে একে তিনভাগে ভাগ করা যায়।

  • কনডেন্সার মাইক্রোফোন
  • ডইনামিক মাইক্রোফোন
  • ক্রিষ্টাল মাইক্রোফোন

চ) ওএমআর (OMR)

OMR এর পূর্ণ অর্থ Optical Mark Reader. কাগজের উপর কালির বা পেন্সিলের দাগ বা চিহ্ন পঠনের জন্য যে ইনপুট ডিভাইস ব্যবহৃত হয় তাকে ওএমআর (OMR) বলে। প্রতিফলিত আলোক রশ্মির সাহায্যে কালির দাগ সমুহের উপর তড়িৎ প্রবাহের মাধ্যমে কম্পিউটার কালির দাগ সমুহ বুঝতে পারে। কম্পিউটারের সাথে OMR মেশিন কালেকশন দিয়ে বহুনির্বাচনী প্রশ্নের উওর বা ফলাফল নির্ণয় করা যায়।

ছ) ওছিআর (OCR)

ওসিআর (OCR)-এর পূর্ণরূপ অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিডার (Optical Character Reader)।  অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিডার শুধু দাগই বোঝে না, বিভিন্ন বর্ণের পার্থক্যও বুঝতে পারে। ওসিআর কোন বর্ণ পড়ার সময় সেই বর্ণের গঠন অনুযায়ী কতকগুলো বৈদ্যুতিক সংকেত সৃষ্টি করে। ওসিআরে আগে থেকেই প্রত্যেক বর্ণের বৈদ্যুতিক সংকেত কম্পিউটারে জমা থাকে- এর সাথে মিলিয়ে কোন বর্ণ পড়া হচ্ছে ওসিআর তা বুঝতে এবং কম্পিউটারে জমা রাখতে পারে। চিঠির পিন কোড, ইলেকট্রিক বিল, জীবন বীমার প্রিমিয়াম, নোটিশ ইত্যাদি পড়ার জন্য OCR ব্যবহৃত হয়।

জ) এমআইসিআর (MICR)   

MICR এর পূর্ণ অর্থ হচ্ছে- Magnetic Ink Character Reader. চুম্বকীয় কালি দিয়ে লেখা পাঠ করার জন্য যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় তাকে ম্যাগনেটিক ইস্ক ক্যারেক্টার রিডার (MICR) বলে। ইহা একটি বিশেষ ধরনের কালি। এই কালি আয়রণ কণা ও ফেরোসোবিক অক্সাইড দিয়ে তৈরী হয়। ব্যাংকে চেক লিখতে ও পড়তে MICR বেশি ব্যবহৃত হয়।

ঝ) ডিজিটাইজার (Digitizer)

বিভিন্ন ধরনের গ্রাফ, ম্যাপ, ছবি, বাড়ির নক্সা ইত্যাদি কম্পিউটারে প্রবেশ করার জন্য ডিজিটাইজার ব্যবহার করা হয়। এটি দেখতে একটি ব্লাক বোর্ডের মতো মনে হয়। এর আকার ও আয়তন ৯*১২ ইঞ্চি থেকে ৪৮*৭২ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর বোর্ডে যা লেখা বা আঁকা হয় তা কম্পিউটারের মেমরিতে চলে যায়। কাগজে কোন ছবি, গ্রাফ বা নক্সা অংকন করে ডিজিটাইজার বোর্ডে স্থাপন করে স্টাইলস কলম দিয়ে চিএের উপর হাত বুলিয়ে দিয়ে তা কম্পিউটারে সংরক্ষণ করা যায়।

ঞ) ডিজিটাল ক্যামেরা (Digital Camera)

স্থির কিংবা চলন্ত ছবি তুলে কম্পিউটারে দেয়ার জন্য ডিজিটাল ক্যামেরা ইনপুট ডিভাইস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডিজিটাল ক্যামেরায় আলাদা কোন ফিল্মেও প্রয়োজন হয় না। ক্যামেরার নিজস্ব মেমরিতে ছবি সংরক্ষিত থাকে। কম্পিউটারের সঙ্গে ক্যাবলের সাহায্যে ক্যামেরার সংযোগ দিয়ে ক্যামেরার ছবি বা ভিডিও কম্পিউটারে নেওয়া যায়।

ট) টাচ প্যাড বা সেন্সর

সেন্সর এমন একটি ইনপুট ডিভাইস যা কোন সংকেতকে চিহ্নিত বা সনাক্ত করতে পারে। তথ্য প্রযুক্তির যুগে সেন্সর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমা, স্কুল-কলেজ ইত্যাদি ক্ষেত্রে সেন্সর মেশিন হিসেবে ফিংগার প্রিন্ট রিডার অত্যন্ত জনপ্রিয় ডিভাইস। বায়োমেটিক্স পদ্ধতি ব্যবহার করে বর্তমানে হাজিরার কাজ সম্পাদন করা হচ্ছে।

ঠ) জয়স্টিক (Joystick)

জয়স্টিক এমন একটি ইনপুট ডিভাইস যার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের খেলা-ধুলার কার্যক্রম সম্পাদন করা হয়। ইহা কম্পিউটারের সিপিইউ এর সাথে সরাসরি সংযুক্ত থাকে। জয়স্টিকের সাহায্যে কম্পিউটারের কার্সর ইচ্ছেমত সরিয়ে কম্পিউটারে গেম খেলা হয়।

২.২. আউটপুট ডিভাইসঃ

কম্পিউটারে ইনপুটকৃত ডেটা সমুহ সিপিইউ এর মাধ্যমে প্রসেসিং করে আউটপুট যন্ত্রের মাধ্যমে ফলাফল প্রদর্শন করে। অর্থাৎ যে যন্ত্রের মাধ্যমে কম্পিউটারের ফলাফল প্রদর্শন করা হয় তাকে আউটপুট ডিভাইস বলে।

নিম্নে কয়েকটি আউটপুট ডিভাসের নাম প্রদান করা হল।

ক) মনিটর (Monitor)

খ) প্রিন্টার (Priner)

গ) প্লটার (Plotter)

ঘ) স্পিকার (Speaker)

ঙ) হেড ফোন (Head Phone)

চ) প্রজেক্টর (Projector)

ক) মনিটর (Monitor)

কম্পিউটারের আউটপুট ডিভাইসের মধ্যে অন্যতম প্রধান হচ্ছে মনিটর। কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত টিভির মতো দেখতে যন্ত্রকে মনিটর বলে। মনিটর বিভিন্ন আকৃতির হয়ে থাকে। সাধারণত ১২ ইঞ্চি থেকে ২১ ইঞ্চি মনিটর বেশি ব্যবহৃত হয়।

মনিটর প্রধানত: চার প্রকার

১) সিআরটি মনিটর (Cathode Ray Tube – CRT)

২) এলসিডি মনিটর (Liquid Cristal Display- LCD)

৩) এলইডি মনিটর (Light Emitting Diod- LED)

৪) প্লাজমা মনিটর (Plasma Monitor)

খ) প্রিন্টার (Printer)

প্রিন্টার একটি আউটপুট ডিভাইস। যে যন্ত্রের সাহায্যে প্রক্রিয়াকরণকৃত ফলাফলকে হাড পেপার বা কাগজে লিখিত আকারে পাওয়া যায় তাকে প্রিন্টার বলে।

প্রিন্টার প্রধানত: দুই প্রকার-

  • ধাক্কা প্রিন্টার (Impact Printer)
  • অধাক্কা প্রিন্টার (Non-Impact Printer)

 

ধাক্কা প্রিন্টার (Impact Printer)

ধাক্কা প্রিন্টার কিছুটা টাইপ রাইটিং মেশিনের মত। প্রিন্টারের হেড বা পিন রিবনের উপর আঘাত করে প্রিন্ট করে। রিবনের পিছনে কাগজ থাকে, প্রিন্টারের হেড বা প্রিন্ট ধাক্কা খেয়ে রিবনের কালি কাগজের উপর পড়ে ছাপার কাজ সম্পন্ন করে। এই প্রিন্টার দিয়ে প্রিন্ট করার সময় শব্দ হয় এবং বেশি সময় লাগে। ধাক্কা প্রিন্টারের দাম একটু কম। ধাক্কা প্রিন্টার চার প্রকার:

  • চেইন প্রিন্টার (Chain Printer)
  • ড্রাম প্রিন্টার (Drum Printer)
  • ডেইজি হুইল প্রিন্টার (Daisy Wheel Printer)
  • ডট ম্যাট্রিক্স প্রিন্টার (Dot Matrix Printer)

অধাক্ক প্রিন্টার (Non-Impact Printer)

অধাক্ক প্রিন্টার দিয়ে কাগজ ছাপানোর সময় তাপ ও বৈদ্যুতিক আলো দিয়ে লেখা ফুটিয়ে তোলো হয়। ফলশ্রুতিতে অতি অল্প সময়ে দ্রুতগতিতে নিঃশব্দে ছাপানোর কাজ করা যায়। অধাক্কা প্রিন্টারের দাম ধাক্কা প্রিন্টারের চেয়ে অনেক বেশি।

  • লেজার প্রিন্টার (Laser Printer)
  • ইস্কজেট প্রিন্টার (Ink-Jet Printer)
  • থার্মাল প্রিন্টার (Thermal Printer)
  • স্থিতি-ইলেক্ট্রনিক প্রিন্টার (Electrostatics Printer)

গ) প্লটার (Plotter)

প্লটার একটি বিশেষ ধরনের আউটপুট ডিভাইস যার মাধ্যমে ছবি, মানচিএ, আর্কিটাকচার ডিজাইন ইত্যাদি ছাপানো হয়। পিন্টারের সাহায্যে বড় ধরনের ইমেজ বা ছবি বা চিএ ছাপানো কষ্টকর সে ক্ষেত্রে প্লটার ব্যবহৃত হয়। প্লটার দুই ধরনের

ঘ) স্পিকার (Speaker)

স্পিকার একটি আউটপুট ডিভাইস। স্পিকারের মাধ্যমে শব্দ বা অডিও বা গান শোনা যায়।

ঙ) হেড ফোন (Head Phone/Earphone)

হেডফোন/এয়ারফোন বহুল ব্যবহৃত আউটপুট ডিভাইস। সাধারণত মাথায় দিয়ে কানে দুইটি ট্রান্সডুসার দিয়ে অডিও বা বৈদ্যুতিক তরঙ্গকে একক ভাবে শ্রবন করা হয়। হেডফোন গুলো মোবাইল বা কম্পিউটারের সাথে তার দিয়ে যুক্ত করে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে কিছু তার বিহীন ডিভাইস ব্যবহৃত হচ্ছে,যেমন- ব্লুটুথ হেড ফোন

চ) প্রজেক্টর (Projector)

প্রজেক্টর একটি আউটপুট ডিভাইস। স্কুল-কলেজের ক্লাস, সভা, সেমিনার বা বিপুল সংখ্যক দর্শক শ্রোতার উদ্দেশে কোন তথ্য, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি প্রদর্শন করার জন্য প্রজেক্টর ব্যবহৃত হয়।

২.৩. ইনপুট / আউটপুট ডিভাইস

কিছু ডিভাইস আছে যারা একসাথে ইনপুটের কাজও করে এবং আউটপুটের কাজও করে ।

ক) মডেম (MODEM- Modulator and Demodulator)

খ) রাউটার (Router)

গ) পেনড্রাইভ (Pendrive)

ঘ) মেমোরী কার্ড (Memory Card)

ঙ) টাচস্কীন মনিটর (Touch screen monitor)

চ) টাচস্কীন মোবাইল ফোন (Touch screen mobilephone)

ক) মডেম (MODEM- Modulator and Demodulator)

মডেম একটি ইনপুট/আউটপুট (I/O) ডিভাইস। মডেম হলো এমন একটি ডিভাইস যেটি কম্পিউটার এবং টেলিফোন লাইনের মধ্যে লাগানো হয় ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য। কম্পিউটারের ডাটা ডিজিটাল ফরম্যাটে এবং টেলিফোন লাইনের বা মোবাইল নেটওয়ার্কের ডাটা এনালগ ফরম্যাটে এ অবস্থান করে। মডেম কম্পিউটারের ডিজিটাল সিগনাল কে এনালগ সিগনালে কনভার্ট করে, টেলিফোন লাইনের মধ্য দিয়ে প্রবাহ করতে সাহায্য করে। অনুরুপ ভাবে টেলিফোনের বা মোবাইল নেটওয়ার্কের এনালগ সিগনালকে কনভার্ট করে ডিডিটাল ফরমেটে আমাদের কাছে উপস্থাপন করে

মডেম ৪ প্রকার

১. ডায়াল-আপ মডেম (Dial-up Modem)

২. ক্যাবল মডেম (Cable Modem)

৩. ইন্টারনাল মডেম (Internal Modem)

৪. এক্সটার্নাল মডেম (External Modem)

খ) রাউটার (Router)

রাউটার একটি ইনপুট/আউটপুট (I/O) ডিভাইস। রাউটার হলো এক ধরনের নেটওয়ার্ক ডিভাইস। যেটি, একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে অন্য কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মধ্যে কানেক্ট করার জন্য ব্যবহার করা হয়। রাউটার ওয়ারলেস বা ওয়্যার যুক্ত দুই ধরনের হতে পারে।

রাউটার সাধারণত ৩ ধরনের

১. তারযুক্ত রাউটার (Wired Router)

২. তার বিহীন রাউটার (Wireless Router)

৩. কোর রাউটার (Core Router)

পেন ড্রাইভ (Pen Drive):

বর্তমান সময় তথ্য সংরক্ষন ও পরিবহনে বহুল ব্যবহৃত মাধাম হচ্ছে পেন ড্রাইভ। কম্পিউটারের মাদারবোর্ডের ইউএসবি পোর্টের সাথে লাগিয়ে তথ্য সংরক্ষণ, পরিবহন করার কাজে যে ডিস্ক ব্যবহার করা হয় তাকে পেন ড্রাইভ বলে।পেন ড্রাইভের মাধ্যমে অতি সহজে এবং অল্প সময়ে তথ্য,ছবি বা চিএ,প্রোগ্রাম এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে স্থানান্তর করা যায়। পেন ড্রাইভের আকার আকৃতি ছোট ফলে সহজে বহনযোগ্য এবং স্থায়ী ভাবে তথ্য সরংক্ষণে নির্ভরযোগ্য। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির পেন ড্রাইভ পাওয়া যায় এদের ধারন ক্ষমতা ৮ জিবি হতে ১টেরা বাইট  পর্যন্ত।