Course Content
প্রথম অধ্যায়ঃ কম্পিউটার ও অপারেটিং সিস্টেম
• কম্পিউটার • কম্পিউটারের কর্ম প্রক্রিয়া • কম্পিউটারের ইতিহাস, কম্পিউটারের প্রজন্ম • কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ • কম্পিউটার হার্ডওয়ার • কম্পিউটার সফটওয়ার • বিভিন্ন ধরনের স্মৃতি • অপারেটিং সিস্টেম • কম্পিউটার সিকিওরিটি, ভাইরাস-এন্টিভাইরাস • উইনডো পরিচিতি, কাম্পউটার চালু করা বন্ধ করা, ফোল্ডার তৈরি, কাট-কপি-পেস্ট, উইনডো পরিচিতি, সময় পরিবর্তন, থিম পরিবর্তন, আইকোন পরিবর্তন • কয়েকজন উদ্ভাবকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
0/12
দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ ওয়ার্ড প্রসেসিং
• ওয়ার্ড কি, ব্যবহার, বিভিন্ন মেনুবার ও টুল এর কাজ, ব্যবহারিক অংশ • Ms-word ওপেন করা • এমএস ওয়ার্ড সেভ করা • পেজ সেটআপ করা • মার্জিন দেয়া • কাট কপি পেস্ট • ফাইন্ড রিপ্লেস গো টু • ফন্ট চেঞ্জ করা • হেডার এবং ফুটার দেওয়া • লাইন স্পেসিং দেয়া • বুলেট এবং নাম্বারিং • পিকচার ইনসার্ট, ক্লিপ আর্ট, সেপ ,সিম্বল, ইকুয়েশন • বাংলা ও ইংরেজী টাইপিং • বিজয় কিবোর্ড পরিচিতি
তৃতীয় অধ্যায়ঃ স্পেডশিট এনালাইসিস প্রোগ্রাম
• এক্সেল কি, ব্যবহার, বিভিন্ন মেনুবার ও টুল এর কাজ, ব্যবহারিক অংশ • এমএস এক্সেল • ওয়ার্কবুক, ওয়ার্কশীট, কলাম, রো • এম এস এক্সেল ওপেন, সেভ • রো ইনসার্ট করা, কলাম ইনসার্ট করা, হাইট বারানো- কমানো, উইড বাড়ানো বা কমানো • পেজ সেটআপ • ক্যালকুলেশনঃ যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ, ম্যাক্সিমাম, মিনিমাম, এভারেজ, ইত্যাদি • ডাটা সাজানো • সেলারি শীট তৈরি করা • বিদ্যুৎ বিলের হিসাব বের করা • রেজাল্ট শীট বা টেবুলেশন শীট এর হিসাব বের করা • ডায়াগ্রাম তৈরি করাঃ কলাম, বার, পাই, লাইন
চতুর্থ অধ্যায়ঃ প্রেজেন্টেশন ডিজাইন ও ডেলিভারি
• পাওয়ার পয়েন্ট কি, ব্যবহার, বিভিন্ন মেনুবার ও টুল এর কাজ, ব্যবহারিক অংশ • Ms-powerpoint ওপেন করা, সেভ করা • স্লাইড ডিজাইন • ফন্ট সাইজ অ্যারেঞ্জমেন্ট • স্লাইড ট্রানজিশন • অবজেক্ট এনিমেশন • পাঁচটি স্লাইড নিয়ে বাংলাদেশ বিষয়ে একটি পাওয়ারপয়েন্ট স্লাইড তৈরি করো
পঞ্চম অধ্যায়ঃ ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট
• ডাটাবেজ কি, বিট, বাইট, ফিল্ড, রেকর্ড, ফাইল • ডাটাবেজে বিভিন্ন ধরনের কিঃ প্রাইমারি কি, কম্পোজিট কি, ফরেন কি • ms-access ওপেন, সেভ, টেবিল তৈরি, ডাটা ইনপুট • কুয়েরি ডিজাইন • ফর্ম ডিজাইন • রিপোর্ট ডিজাইন • ডাটাবেজের মধ্যে রিলেশন তৈরি করা • ডেটা টাইপ
ষষ্ঠ অধ্যায়ঃ সংখ্যা পদ্ধতি
• সংখ্যা পদ্ধতি কি • দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি • অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি • বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি • হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি
সপ্তম অধ্যায়ঃ ইমেল ও ইন্টারনেট
ইন্টারনেট কি, ইমেল কি, একাউন্ট তৈরি করা, ব্যবহার, গুগলে কোন কিছু সার্চ করার নিয়ম, বিভিন্ন জব সাইটে একাউন্ট খোলা, জবে এপ্লাই করা
অষ্টম অধ্যায়ঃ গুগল জি-সুট
গুগল ডক কি, গুগল সিট কি, গুগল স্লাইড কি, গুগল ড্রাইভ, গুগল ফটো, ব্যবহার, ব্যবহারিক অংশ
নবম অধ্যায়ঃ ইংরেজি
ট্রান্সলেশন ইংরেজি থেকে বাংলা, বাংলা থেকে ইংরেজি, শূন্যস্থান পূরণ
দশম অধ্যায়ঃ ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে সাধারণ ধারনা
• আউটসোর্সিং কি, ফ্রিল্যান্সিং কি • অনলাইন থেকে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় • ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি দক্ষতার প্রয়োজন হয় • ফ্রিল্যান্সিং করতে কোন কোন ডিভাইস প্রয়োজন হয়
কম্পিউটার অফিস এপ্লিকেশন বই – Computer Office Application Book
About Lesson

প্রাচীন কালে মানুষ একসময় সংখ্যা বুঝানোর জন্য ঝিনুক, নুড়ি, দড়ির গিট ইত্যাদি ব্যবহার করত। পরবর্তীতে গণনার কাজে বিভিন্ন কৌশল ও যন্ত্র ব্যবহার করে থাকলেও অ্যাবাকাস (Abacus) নামক একটি প্রাচীন গণনা যন্ত্রকেই কম্পিউটারের ইতিহাসে প্রথম যন্ত্র হিসেবে ধরা হয়। এটি আবিষ্কৃত হয় খ্রিষ্টপূর্ব ২৪০০ সালে ব্যাবিলনে। অ্যাবাকাস ফ্রেমে সাজানো গুটির স্থান পরিবর্তন করে গণনা করার যন্ত্র। খ্রিস্টপূর্ব ৪৫০/৫০০ অব্দে মিশরে বা চীনে গণনা যন্ত্র হিসেবে অ্যাবাকাস তৈরি হয়।

১৬৪২ সালে ১৯ বছর বয়স্ক ফরাসি বিজ্ঞানী ব্লেইজ প্যাসকেল সর্বপ্রথম যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর আবিষ্কার করেন। তিনি দাঁতযুক্ত চাকা বা গিয়ারের সাহায্যে যোগ বিয়োগ করার পদ্ধতি চালু করেন। উনিশ শতকের শুরুর দিকে আধুনিক একটি যন্ত্রের নির্মাণ ও ব্যবহারের ধারণা দেন চার্লস ব্যাবেজ। তিনি এটির নাম দেন ডিফারেন্স ইঞ্জিন (Difference Engine)। এই ডিফারেন্স ইঞ্জিন নিয়ে কাজ করার সময় (১৮৩৩ সালে) তিনি অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন নামে আরও উন্নত ও সর্বজনীন একটি যন্ত্রে ধারণা লাভ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টেল কর্পোরেশন ১৯৭১ সালে মাইক্রোপ্রসেসর উদ্ভাবন করার পর, মাইক্রোকম্পিউটারের দ্রুত বিকাশ ঘটতে থাকে। বাজারে প্রচলিত হয় বিভিন্ন প্রকৃতি ও আকারের কম মূল্যের অনেক রকম পার্সোনাল কম্পিউটার (Personal Computer) বা পিসি (PC)। সে সঙ্গে উদ্ভাবিত হয়েছে অনেক রকম অপারেটিং সিস্টেম, প্রোগ্রামের ভাষা, অগণিত ব্যবহারিক প্যাকেজ প্রোগ্রাম। এরসাথে ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের এবং সংশ্লিষ্ট সেবা ও পরিসেবার। কম্পিউটার শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত ও সম্প্রসারিত হয়েছে অসংখ্য প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক কম্পিউটার শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। সাম্প্রতিক কালে কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি (Information Technology) বা আইটি (IT) ব্যবসা-বাণিজ্যের বিরাট অংশ দখল করেছে এবং কর্মসংস্থান হয়ে পড়েছে অনেকাংশেই কম্পিউটার নির্ভর। ১৯৮১ সালে বাজারে আসে আই.বি.এম কোম্পানির পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি। (Apple Computer Inc) তাদের উদ্ভাবিত অ্যাপল-ম্যাকিনটোশ (Apple-Macintosh) কম্পিউটার বাজারে ছাড়ে। এর পর একের পর এক উদ্ভাবিত হতে থাকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মাইক্রোপ্রসেসর এবং তৈরি হতে থাকে শক্তিশালী পিসি।