Course Content
১ম অধ্যায়: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি: বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত
বিশ্বগ্রামের ধারণা: যোগাযোগ, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, গবেষণা, অফিস, বাসস্থান, ব্যবসা-বাণিজ্য, সংবাদ, বিনোদন ও সামাজিক যোগাযোগ, সাংস্কৃতিক বিনিময়। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি: প্রাত্যহিক জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রভাব। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাম্প্রতিক প্রবণতা: আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স, রোবটিকস, ক্রায়োসার্জারি, মহাকাশ অভিযান, আইসিটি নির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থা, প্রতিরক্ষা, বায়োমেট্রিক্স, বায়োইনফরম্যাট্রিক্স, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ন্যানো টেকনোলজি,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারে ক্সনতিকতা,সমাজজীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রভাব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং অর্থ‣নতিক উন্নয়ন।
0/5
২য় অধ্যায়: কমিউনিকেশন সিস্টেমস ও নেটওয়ার্কিং
৩য় অধ্যায়: সংখ্যা পদ্ধতি ও ডিজিটাল ডিভাইস
৪র্থ অধ্যায়: ওয়েব ডিজাইন পরিচিতি এবং HTML
৫ম অধ্যায়: প্রোগ্রামিং ভাষা
৬ষ্ঠ অধ্যায়: ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (এইচ. এস. সি) – Information and Communication Technology (HSC)
About Lesson

কর্মসংস্থান

তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারে কর্মসংস্থানের বিশাল বাজার উন্মুক্ত হয়েছে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রগুলো-

ক) ‍ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং

খ) উদ্যোক্তা উন্নয়ন

গ) আনলালের মাধ্যমে কর্মসংস্থান খোজা ও আবেদন

আউটসোর্সিংঃ

একটি প্রতিষ্ঠান যখন কোনো একটি কাজ বা কোনো একটি পণ্য উৎপাদনের জন্য বাহিরের কোনো লোক বা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয় তখন তাকে বলে আউটসোর্সিং। ইংরেজি শব্দ আউটসোর্সিং (Outsourcing) এর মধ্যেই এর অর্থ লুকিয়ে আছে। আউট সোর্স করার অর্থ দাঁড়ায় বাহিরের কাউকে দিয়ে কাজ করানো। অর্থাৎ একটি প্রতিষ্ঠান যখন তার কোনো বিশেষ কাজ নিজের কর্মীদের দ্বারা না করিয়ে বাহিরের কাউকে দিয়ে করায় সেটিই আউটসোর্সিং।

আউটসোর্সিংএর যার শুরু হয়  ১৯৫০ সালে এবং পরে ১৯৮০ এর দশক জুড়েই এটি ইউরোপ-আমেরিকার বাজারে একটি ব্যাবসার কৌশল হিসাবে ছড়িয়ে পড়ে।

আউটসোর্সিং এর ধরনঃ

আউটসোর্সিংএর পুরো প্রক্রিয়াটিকে মোট তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।

            ১. ইনশোর আউটসোর্সিং- যখন একটি প্রতিষ্ঠান তার দেশেরই অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আউটসোর্সিং করে থাকে, তখন তাকে বলে ইনশোর আউটসোর্সিং।

            ২. নিয়ারশোর আউটসোর্সিং- নিয়ারশোর আউটসোর্সিং এর অর্থ প্রতিবেশি দেশের কর্মীদের দ্বারা আউটসোর্সিং এর কাজটি সম্পাদন করা।

            ৩. অফশোর আউটসোর্সিং- অফশোর আউটসোর্সিং এ ভাষাগত, সময়গত ও সংস্কৃতিগত পার্থক্য থাকে, ইংরেজীতে যোগাযোগ রক্ষা করা হয়  এবং দেশে বা বিদেশে অনলাইন বা অফলাইন এ বসে কাজ করিয়ে নেওয়া যায়।

ফ্রিল্যান্সিংঃ

ফ্রিল্যান্সিং এর মানেই হলো স্বাধীন ভাবে কাজ করা বা মুক্তপেশা ৤ আর যারা মুক্ত পেশার মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা কোম্পানির কাজ অফিসে না গিয়ে বাড়ি বসে বা  অন্যত্র বসে করে দেন তিনি হলেন ফ্রিলেন্সার (Freelancer) ৤

এ কাজের মাধ্যমে তিনি আনলাইন এর মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাজ করে অর্থ উপার্জন করেন ৤ আর মুক্তপেশার  মাধ্যমে আনলাইনে আয় করার এই পদ্ধতিকেই ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) বলে ৤

ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে কি করতে হবে

  • ফ্রিল্যান্সিং করত হলে প্রথমে আপনাকে যেকোন একটি কজে দক্ষতা আর্জন করতে হবে৤
  • এরপর বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে একাউন্ট খুলতে হবে
  • সেখানে বিভিন্ন কাজের বিবরণ পড়তে হবে, এজন্য আপনার ইংরেজীতে পড়ে বোঝার ক্ষমতা থাকতে হবে
  • আপনি সেসব কাজ করত পারবেন কি না সেটা বুঝতে হবে, প্রয়োজনে ঐ ধরনের কাজ গুলো চর্চা করতে হবে
  • যখন আপনি কাজ করার জন্য তৈরি বুঝবেন তখন কাজেন জন্য আপনাকে বিড করতে হবে, এজন্য ইংরেজীতে চ্যাটিং করার প্রয়োজন হবে, সুতরাং আপনাকে অল্প ইংরেজী বুজতে ও লিখতে পারতে হবে

কাজ কোথায় পাওয়া যায়

ফ্রিল্যান্সার গণ কোন বিভিন্ন সাইটের মাধ্যমেও তারা ক্রেতাদের সাথে যুক্ত হতে পারেন ৤ যেমন-

  • আপওয়ার্ক (upwork.com)
  • ফ্রিল্যন্সিং (freelancing.com)
  • ৯৯ডিজাইন (99design.com)
  • ডিজাইন ক্রাইড (designcrowd.com)
  • বিল্যান্সার (blancer.com)
  • গুগল এডসেন্স (Google Adsense)

 আবার কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন আনলাইনের মাধ্যমে ৤  তবে সেজন্য আপনাকে আনেকদিন আনলাইনে কাজের অভিজ্ঞতা থকতে হবে৤

আবার কিছু সাইটে ফ্রিল্যান্সার গণ নিজেদের কাজের এড দিতে পারেন ৤ যেমন-

  • ফাইবার (fiverr.com)
  • পিপল পার আওয়ার (peopleperhour.com)

আপওয়ার্ক  এই মার্কেটপ্লেসটি ২০০৩ সালে অনলাইনে ফ্রিল্যন্সিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের জন্য তৈরি হয়েছে। এর পূর্ব নাম ছিল odesk.com এর আরও একটি অংগ প্রতিষ্ঠান ছিল elancer.com, পরবর্তিতে দুটি মিলে গড়ে ওঠে  upwork.com.

ফ্রিল্যন্সিং ২০০৯ সালে এই যাত্রা শুরু করে এবং বর্তমানে ফ্রিল্যন্সিং এর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ও নির্ভরযোগ্য মার্কেটপ্লেস এটি। এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ম্যাট ব্যরি।

ফাইবার এটি ইসরাইল ভিত্তিক ফ্রিল্যন্সিং সাইট এবং এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১০ সালে।

বিল্যান্সারঃ বাংলাদেশ ভিত্তিক ফ্রিল্যন্সিং সাইট ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

উদ্যোক্তা উন্নয়নঃ

উদ্যোক্তা হচ্ছে সেই ব্যক্তি যে নিজেই কোনো কাজের জন্য উদ্যোগ নিয়ে সফলভাবে সম্পন্ন করে থাকেন।

তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে মানুষ আনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন দক্ষতা (গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, ভিডিও এডিটিং)  উন্নয়ন করে নিজেরা বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং কোম্পানি তৈরি করেছেন সেখানে বর্তমানে অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে।

আনলাইনের মাধ্যমে কৃষি, মৎস্য, পশুপালন সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করে এবং বিভিন্ন অভিজ্ঞ ব্যক্তি থেকে অনলাইনে ট্রেনিং গ্রহল করে ও পরামর্শে বিভিন্ন সবজি, ফল, ফুল চাষ, এছাড়াও মাছ চাষ, মুরগি, হাস, গরু, ছাগল, ভেড়া পালন করে অনেকে সাবলম্বী হয়েছে এবং বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান হয়েছে।

ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারনে বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালে ৪৫৪৭ টি ইউনিয়ন সেবা কেন্দ্রে ডিজিটাল সেন্টার চালু করেছেন, এখানে একজনা নারী ও একজন পুরুষ উদ্যোক্তা কাজ করেন।

আনলালের মাধ্যমে কর্মসংস্থান খোজা ও আবেদনঃ

বর্তমান অফিসে ঘুরে ঘুরে এবং পত্রিকার পাতা কেটে রেখি চাকুরির বিজ্ঞাপন খুজতে হয় না। এমনকি আবেদনের জন্য হাতে দরখান্ত লিখে, সকল সনদ ফটোকপি করে সংযুক্ত করে আবেদন পত্র পাঠাতেও হয় না। এর ফলে আর্থ ও সময় দুটোই সাশ্রয় হয়। আনলাইনে বিভিন্ন ওয়েব সাইটে সকল সরকারি ও বেসরকারি চাকুরির বিজ্ঞাপন পাওয়া যায়। সেখানে একাউন্ট করে সকলে সরাসরি চাকুরির আবেদন পাঠাতে পারে। এধনের কিছু্ ওয়েব সাইট হল- bdjobs.com, bdjobstoday.com, ajkerchakri.com, chakri.com প্রভৃতি।

error: Content is protected !!