অটিজমের ধরণ ও রোগ নির্ণয়ের ৩টি উপায়

অটিজম শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ জনিত এক ধরনের প্রতিবন্ধকতা। সাধারণত শিশুর জন্মের ৩ বছরের মধ্যে এর লক্ষণ প্রকাশ পায়। অটিজম বলতে শুধুমাত্র একটি অসুখকে বুঝায় না। এটি আসলে কয়েকটি সমস্যার সমষ্টি। এগুলোকে একসাথে বলে অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিজঅর্ডার (Autism Spectrum disorder/ASD)।

অটিজম আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে সামাজিক আচার-আচরণ, যোগাযোগ ও ব্যবহারজনিত সামান্য সমস্যা থেকে শুরু করে প্রচণ্ড সমস্যাও থাকতে পারে। সেগুলোও এই স্পেক্ট্রাম-এর অন্তর্ভুক্ত। ফলে সামান্য সমস্যা থেকে শুরু করে অধিক সমস্যাগ্রস্ত শিশুরাও এর আওতায় চলে আসে।

অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিজঅর্ডার (Autism Spectrum disorder/ASD) এর মধ্যে আছে-

১. ইনফেনটাইল অটিজম (Infantile Autism): এইধরনের শিশুদের মধ্যে সামাজিক আচরণগত সমস্যা, মৌখিক ও অমৌখিক যোগাযোগ (Verbal and Non Verbal Communication) ও ক্রিয়াকলাপের সমস্যা এবং পুনারবৃত্তিমূলক আচরণ দেখা যায়।

২. রেটস সিনড্রোম (Rett’s syndrome): এই রোগ শুধুমাত্র মেয়েদের হয়ে থাকে। এক বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর বৃদ্ধি স্বাভাবিক থাকে। তারপর তার সামাজিক ও মানসিক বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। এরা সাধারণত কথা বলতে পারে না। এ রোগে আক্রান্ত শিশুরা প্রচণ্ড রকমভাবে বুদ্ধি প্রতিবন্ধি হয়ে থাকে। এরা হাত ও পা ঠিকভাবে নড়াচড়া করতে পারে না ।

৩. এ্যাজপার্গার সিনড্রোম (Aspergar syndrome): এ রোগ সাধারনত ছেলেদের হয়। এদেরকে অটিস্টিক সাইকোপ্যাথ বলা হয়। এরা কিছু কিছু কাজ বা আচরণ বার বার করতে থাকে। তবে কথা ঠিকমত বলতে পারে । যদিও কথা বলার ধরন এবং গলার স্বর একটু ভিন্ন রকম হয়। এরা একাকী এবং আলাদা থাকে। তবে কিছু কিছু ছোট-খাট ব্যাপারে এদের মধ্যে অধিক আগ্রহ দেখা যায়।

৪. চাইল্ডহুড ডিজইনটেগ্রেটিভ ডিজঅর্ডার (Childhood Dis-integrative Disorder): এই রোগের আরেক নাম হেলারস্ ডিজিস। এদের সাধারণত দুই বছর বয়স পর্যন্ত স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটে। পরবর্তীতে এদের সামাজিক আচরণগত সমস্যা দেখা যায়। এদের সাধারনত নিউরোলজিক্যাল সমস্যা (Neurological problem) প্রকট থাকে। এরা হাত ও পা সঠিকভাবে নাড়াচড়া করতে পারে না এবং নিজের প্রস্রাব-পায়খানার কথা বলতে পারে না।

৫. এটিপিক্যাল অটিজম (Atypical Autism)

৬. অন্যান্য (Pervasive Developmental Disorder- Not Otherwise Specified)

রোগ নির্ণয়:

অন্যসব শিশুর মতোই প্রত্যেক অটিজম আত্রুান্ত শিশু আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। তাই একজন অটিস্টিক শিশুর মধ্যে যে বৈশিষ্ট্য থাকবে অন্য আরেকটি অটিস্টিক শিশুর মধ্যে সেই একই বৈশিষ্ট্য বা লক্ষণ নাও থাকতে পারে। তবে যে প্রধান তিনটি সমস্যা সকল অটিস্টিক শিশুর মধ্যে দেখা যায় তা হচ্ছে-

১. স্বাভাবিক সামজিক আচরণগত সমস্যা (Social impairment)

২. মৌখিক ও অমৌখিক যোগাযোগগত সমস্যা (Verbal and Non Verbal Communication Impairment)

৩. পুনরাবৃত্তিমূলক আচরণ এবং ত্রিুয়াকলাপ জনিত সমস্যা (Restricted & Repetitive activity & interest)

এই তিনটি লক্ষণ দেখা দিলেই নিকটস্থ কোন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। মনে রাখতে হবে, দ্রুত শনাক্ত করা গেলে ও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলে অটিজম আক্রান্ত শিশুদেরও অবস্থার উন্নতি হওয়া সম্ভব।

InfotakeBD

View posts by InfotakeBD
InfotakeBD is a information sharing blog, We share information for you. Please visit us and if you want to contribute for this blog please email us infotakebd@gmail.com. Thank you

Leave a Reply

Scroll to top