গর্ভাবস্থায় যে ৭টি খাবার খাওয়া উচিৎ নয়

গর্ভাবস্থায় যে ৭টি খাবার খাওয়া উচিৎ নয়

গর্ভাবস্থা নারীর জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময় গর্ভবতী মায়েদের খাবারের ব্যাপারে বিশেষ নজর দেয়া দরকার। মা ও নবজাতকের সুস্থতার জন্য গর্ভকালীন সময়ে বেশ কিছু খাবার পরিত্যাগ করা উচিত। গর্ভাবস্থায় কোন খাবারগুলো খেতে মানা? চলুন জেনে নেই-

  • ক্যাফেইনঃ গর্ভাবস্থায় দৈনিক ২০০ গ্রামের বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ করা উচিৎ নয়। অতিরিক্ত ক্যাফেইনের কারনে কম ওজনের শিশুর জন্ম হয়। পাশাপাশি জন্ম পরবর্তী সময়ে অসুখ-বিসুখের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়া ক্যাফেইন গ্রহণের কারনে অকাল গর্ভপাতের ঝুঁকিও থাকে। প্রাকৃতিকভাবেই চা, কফি, চকলেট ইত্যাদি খাবারে ক্যাফেইন থাকে। কিছু কিছু কোমল পানীয় ও এনার্জি ড্রিঙ্কেও ক্যাফেইন মেশানো থাকে। গর্ভাবস্থায় এই খাবারগুলো পরিত্যাগ করতে হবে।

 

  • কাঁচা ডিম ও দুধঃ গর্ভাবস্থায় কাঁচা বা কম সিদ্ধ ডিম ও ফুটানো ছাড়া দুধ খাওয়া ঠিক নয়। তাছাড়া অপাস্তুরিত দুধের তৈরি পনিরও পরিহার করা ভালো। কারন এগুলো থেকে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে যা মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ।

 

  • অল্প রান্না করা বা সিদ্ধ করা মাংসঃ ভালোভাবে রান্না না করলে মাংসে থাকা ক্ষতিকর ‘ই-কোলাই’ ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয় না। এটা গর্ভস্থ ভ্রুণের জন্য খবই বিপদজনক।

 

  • কাঁচা পেঁপেঃ কাঁচা পেঁপের মধ্যে ল্যাটেক্স থাকে যা অকাল গর্ভপাত ঘটাতে পারে। গর্ভাবস্থায় খাবার নির্ধারণে তাই কাঁচা বা আধপাকা পেঁপে এড়িয়ে চলুন।

 

  • আনারসঃ গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে আনারস গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়। গর্ভবতী মায়েদের তাই আনারস না খাওয়াটাই ভালো।

 

  • সামুদ্রিক মাছঃ সামুদ্রিক মাছ শরীরের জন্য উপকারি হলেও গর্ভাবস্থায় তা পরিহার করাই ভালো। কারন সামুদ্রিক মাছে উচ্চ মাত্রায় মার্কারি বা পারদ থাকে। এটা শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। গর্ভাবস্থায় সপ্তাহে ১২ আউন্সের বেশি সামুদ্রিক মাছ গ্রহণ করা উচিত নয়।

 

  • সিগারেট ও মদঃ গর্ভকালীন সময়ে ধূমপান বা মদ্যপান করলে গর্ভস্থ সন্তানের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হতে পারে। এছাড়া নিকোটিনের প্রভাবে গর্ভকালীন সময়ে মা ও অনাগত শিশুর বিভিন্ন ধরনের বিপদের আশংকা থাকে। বিশেষ করে ধূমপায়ী মায়েদের ক্ষেত্রে জন্মগত বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম দেয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

মায়ের সুস্থতাই শিশুর সুস্থতা। তাই গর্ভাবস্থায় মাকে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের পাশাপাশি এই খাবারগুলোর বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে। এগুলো এড়িয়ে চলার বিষয়ে শুধু মা নয়, পরিবারের সবাইকেই নজর রাখতে হবে। আর অবশ্যই নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করতে হবে।

InfotakeBD

View posts by InfotakeBD
InfotakeBD is a information sharing blog, We share information for you. Please visit us and if you want to contribute for this blog please email us infotakebd@gmail.com. Thank you

Leave a Reply

Scroll to top