পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর – ১

০১. প্রশ্ন : পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কাকে বলে ?
উত্তর ঃ যে-লাইসেন্স দিয়ে একজন চালক বেতনভোগী কর্মচারী হিসাবে কোনো মোটরযান চালিয়ে থাকে, তাকে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে।
০২. প্রশ্ন : পিএসভি লাইসেন্স কী ?
উত্তর ঃ পিএসভি অর্থ পাবলিক সার্ভিস ভেহিকেল। ভাড়ায় চালিত যাত্রীবাহী মোটরযান চালানোর জন্য প্রত্যেক চালককে তার লাইসেন্সের অতিরিক্ত হিসাবে পিএসভি লাইসেন্স গ্রহণ করতে হয়।
০৩. প্রশ্ন : পাবলিক সার্ভিস মোটরযান (public service vehicle) কাকে বলে ?
উত্তর ঃ যে-মোটরযান ভাড়ার বিনিময়ে যাত্রী বহনের জন্য ব্যবহৃত হয়, তাকে পাবলিক সার্ভিস মোটরযান বলে। ভাড়ায় চালিত বাস-মিনিবাস, হিউম্যানহলার (লেগুনা), ট্যাক্সিক্যাব ইত্যাদি পাবলিক সার্ভিস মোটরযানের অন্তর্ভুক্ত।
০৪. প্রশ্ন : বাসের আসন সংখ্যা কত?
উত্তর ঃ চালকসহ ৩১ জনের বেশি অর্থাৎ চালকসহ সর্বনিম্ন ৩২ জন।
০৫. প্রশ্ন : মিনিবাসের আসন সংখ্যা কত?
উত্তর ঃ চালকসহ সর্বনিম্ন ১৬ জন এবং সর্বোচ্চ ৩১ জন।
০৬. প্রশ্ন : একজন পেশাদার চালক দৈনিক কত ঘণ্টা গাড়ি চালাবে বা মোটরযানে কর্মঘন্টা কত ?
উত্তর ঃ এক নাগাড়ে ৫ ঘণ্টার বেশি নয়। অতঃপর আধাঘণ্টা বিশ্রাম বা বিরতি নিয়ে আবার ৩ ঘণ্টা অর্থাৎ ১ দিনে ৮ ঘণ্টার বেশি নয়। তবে ১ সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টার বেশি নয়।
০৭. প্রশ্ন : ইঞ্জিন কাকে বলে ?
উত্তর ঃ ইঞ্জিন হচ্ছে এক ধরনের যন্ত্র যেখানে জ্বালানি বা ফুয়েলকে পুড়িয়ে রাসায়নিক শক্তিকে প্রথমে তাপশক্তিতে এবং তাপশক্তিকে পরে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করা হয়।
০৮. প্রশ্ন : ইঞ্জিনের প্রধান প্রধান কয়েকটি যন্ত্রাংশের নাম কী ?
উত্তর ঃ ক. সিলিন্ডারহেড খ. সিলিন্ডারব্লক গ. পিস্টন ঘ. ক্রাংকশ্যাফ্ট ঙ. ক্যাম ও ক্যাম শ্যাফ্ট চ. কানেকটিং রড
ছ. বিয়ারিং জ. ফ্লাই হুইল ঝ. অয়েলপ্যান ইত্যাদি।
০৯. প্রশ্ন : পেট্রোল ইঞ্জিন ও ডিজেল ইঞ্জিনের মধ্যে পার্থক্য কী ঃ
উত্তর ঃ ক.পেট্রোল ইঞ্জিনে জ্বালানি হিসেবে পেট্রোল ব্যবহার হয় কিন্তু ডিজেল ইঞ্জিনে জ্বালানি হিসেবে ডিজেল ব্যবহার করা হয়।
খ. পেট্রোল ইঞ্জিনে স্পার্ক করে ইগ্নিশন করা হয় কিন্তু ডিজেল ইঞ্জিনে কমপ্রেশন করে ইগনিশন করা হয়।
গ. পেট্রোল ইঞ্জিনে কার্বুরেটর থাকে কিন্তু ডিজেল ইঞ্জিনে কাবর্ ুরেটরের স্থলে ইনজেক্টর থাকে।
ঘ. পেট্রোল ইঞ্জিন অটো সাইকেলে কাজ করে কিন্তু ডিজেল ইঞ্জিন ডিজেল সাইকেলে কাজ করে।
১০. প্রশ্ন : কী কী লক্ষণ দেখা দিলে ইঞ্জিন ‘ওভার হলিং’ করার প্রয়োজন হয় ?
উত্তর ঃ ক. ইঞ্জিনে জ্বালানি এবং লুবঅয়েল (মবিল) বেশি খরচ হলে।
খ. ইঞ্জিন হতে অত্যধিক কালো ধোঁয়া বের হলে।
গ. বোঝা বহন করার ক্ষমতা কমে গেলে।
ঘ. ফার্স্ট গিয়ারে উঁচুরাস্তায় উঠবার সময় ইঞ্জিন গাড়িকে টানতে না পারলে।
১১. প্রশ্ন : ইঞ্জিন কুলিং সিস্টেমের কাজ বা উদ্দেশ্য কী ?
উত্তর ঃ ইঞ্জিনের অতিরিক্ত তাপমাত্রা হ্রাস করে ইঞ্জিনকে কার্যকরী তাপমাত্রায় রাখাই কুলিং সিস্টেমের উদ্দেশ্য বা কাজ।
১২. প্রশ্ন : রেডিয়েটরের কাজ কী ?
উত্তর ঃ রেডিয়েটরের কাজ পানি ঠান্ডা করা। রেডিয়েটর হতে ঠান্ডা পানি পাম্পের সাহায্যে ওয়াটার জ্যাকেটের মাধ্যমে ইঞ্জিনের বিভিন্ন
অংশে পৌঁছে ইঞ্জিনকে ঠান্ডা করে এবং গরম অবস্থায় পুনরায় রেডিয়েটরে ফিরে আসে। রেডিয়েটরে এই গরম পানি ঠান্ডা হয়ে পুনরায় ইঞ্জিনে যায়।

InfotakeBD

View posts by InfotakeBD
InfotakeBD is a information sharing blog, We share information for you. Please visit us and if you want to contribute for this blog please email us infotakebd@gmail.com. Thank you

Leave a Reply

Scroll to top
error: Content is protected !!