পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর – ২

১৩. প্রশ্ন : কুলিং ফ্যানের কাজ কী ?
উত্তর ঃ রেডিয়েটরের ভেতর দিয়ে বাতাস প্রবাহিত করা এবং গরম পানিকে ঠান্ডা করা।
১৪. প্রশ্ন : এয়ার কুলিং সিস্টেমে ইঞ্জিন কিভাবে ঠান্ডা হয় ?
উত্তর ঃ ইঞ্জিন সিলিন্ডার ও হেডের চতুর্দিকে বেশ কিছুপাতলা লোহার পাত (ফিন) থাকে। বাতাসের সংস্পর্শে এই পাতলা লোহার পাতসমূহ ঠান্ডা হয়ে ইঞ্জিনকে ঠান্ডা রাখে। যেমনঃ মোটরসাইকেল, অটোরিক্সা ইত্যাদি গাড়িতে এয়ার কুলিং সিস্টেম দেখা যায়।
১৫. প্রশ্ন : ওয়াটার কুলিং সিস্টেমে কী ধরনের পানি ব্যবহার করা উচিত ?
উত্তর ঃ ডিস্টিল্ড ওয়াটারের ন্যায় পরিষ্কার পানি, যেমন-পরিষ্কার পুকুর, নদী ও বৃষ্টির পানি ব্যবহার করা উচিত। সমুদ্রের লবনাক্ত পানি ও লৌহ মিশ্রিত পানি (কোনো কোনো টিউবওয়েলের পানি) ব্যবহার করা উচিত নয়।
১৬. প্রশ্ন : ফ্যানবেল্ট কোথায় থাকে ?
উত্তর ঃ ইঞ্জিনের পুলি, ফ্যান পুলি ও ডায়নামো পুলির ওপরে পরানো থাকে।
১৭. প্রশ্ন : একটি ইঞ্জিন অত্যধিক গরমঅবস্থায় চলছে তা কীভাবে বুঝা যাবে ?
উত্তর ঃ (ক) ড্যাশবোর্ডে টেম্পারেচার মিটারের কাটা লাল দাগে চলে যাবে।
(খ) ইঞ্জিনে খট খট শব্দ (নকিং) হবে।
(গ) পানি বেশি বাষ্পায়িত হয়ে ওভারফ্লো পাইপ দিয়ে বের হতে থাকবে।
(ঘ) ক্রমান্বয়ে ইঞ্জিনের শক্তি কমতে থাকবে।
১৮. প্রশ্ন : ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হলে করণীয় কীএবং এ অবস্থায় গাড়ি চালালে কী অসুবিধা হবে ?
উত্তর ঃ প্রথমে ইঞ্জিন বন্ধকরে সুবিধামতো স্থানে গাড়ি পার্ক করতে হবে এবং বনেট খুলে ইঞ্জিন ঠান্ডা হতে দিতে হবে। তারপর ইঞ্জিন গরম হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করেসেই মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হলে যে-কোনো
মুহূর্তে পিষ্টন ও বেয়ারিং গলে গিয়ে ইঞ্জিন জ্যাম বা সিজড হয়ে যেতে পারে। এর ফলে ইঞ্জিন পুনরায় ওভারহলিং করতে হবে, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
১৯. প্রশ্ন : এয়ারক্লিনারের কাজ কী ?
উত্তর ঃ বাতাসে যে-সমস্ত ধূলিকণা থাকে তা পরিষ্কার করে বিশুদ্ধ বাতাস ইঞ্জিনে সরবরাহ করা। পরিষ্কার বাতাস কার্বুরেটরের মধ্যে প্রবেশ না করলে ধূলিকণা পেট্রোলের সাথে মিশ্রিত হয়ে ইঞ্জিনের সিলিন্ডার, পিস্টন এবং পিস্টন রিংয়ের অতি দ্রুত ক্ষয় সাধন করে।
২০. প্রশ্ন : কার্বুরেটরের অবস্থান কোথায় এবং এর কাজ কী ?
উত্তর ঃ কার্বুরেটরের অবস্থান ইঞ্জিনের ইনটেক ম্যানিফোল্ডের ওপরে ও এয়ারক্লিনারের নিচে। ফ ুয়েল ও বাতাসকে নির্দিষ্ট অনুপাতে মিশ্রিত
করে ইঞ্জিনে সরবরাহ করাই এর কাজ।
২১. প্রশ্ন : ডিস্ট্রিবিউটরের কাজ কী ?
উত্তর ঃ প্রত্যেকটি স্পার্ক প্লাগে হাইভোল্টেজ কারেন্ট পৌঁছে দেওয়া ডিস্ট্রিবিউটরের কাজ।
২২. প্রশ্ন : কনডেনসারের কাজ কী ?
উত্তর ঃ ডিস্ট্রিবিউটরের কনট্যাক্টব্রেকার পয়েন্টকে পুড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করা।
২৩. প্রশ্ন : স্পার্ক প্লাগ কোথায় থাকে ?
উত্তর ঃ পেট্রোল ইঞ্জিনের সিলিন্ডারহেডে।
২৪. প্রশ্ন : এয়ারলক ও ভেপারলক এর অর্থ কী ?
উত্তর ঃ ফুয়েল লাইনে বাতাস প্রবেশের কারণে ফুয়েল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়াকে এয়ারলক বলে। ফুয়েল লাইন অত্যধিক তাপের সংস্পর্শে আসলে লাইনের ভেতর ভেপার বা বাষ্পের সৃষ্টি হয়। এই বাষ্পের চাপে লাইনের ভেতর ফুয়েল সরবরাহ বন্ধ হওয়াকেই ভেপারলক বলে।
২৫. প্রশ্ন : কোন কোন ত্রুটির কারণে সাধারণত ইঞ্জিন স্টার্ট হয় না ?
উত্তর ঃ (ক) জ্বালানি (পেট্রোল/ডিজেল/সিএনজি) না থাকলে, (খ) ব্যাটারিতে চার্জ না থাকলে বা দুর্বল হলে, (গ) সেল্ফস্টার্টার ঠিকমতো
কাজ না করলে, (ঘ) কার্বুরেটর ঠিকমতো কাজ না করলে, (ঙ) ইগনিশন সিস্টেম ঠিকমতো কাজ না করলে, (চ) ডিজেলইঞ্জিনের জ্বালানি লাইনে বাতাস ঢুকে গেলে।

InfotakeBD

View posts by InfotakeBD
InfotakeBD is a information sharing blog, We share information for you. Please visit us and if you want to contribute for this blog please email us infotakebd@gmail.com. Thank you

Leave a Reply

Scroll to top