ফরেক্স মার্কেট বেসিক-০১

ফরেক্স কি?
ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেট, যা সাধারনত “ফরেক্স” অথবা “FX” / “এফএক্স” নামে পরিচিত, সেটা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফাইনান্স্যিয়াল মার্কেট। ফরেক্স মার্কেট প্রায় ২০০ গুন বেশী বড় অন্যান্য স্টক মার্কেটের চেয়ে। একটি কারেন্সির পরিবর্তে অন্য কারেন্সি ক্রয় বা বিক্রয়ই মূলত ফরেক্স।

ফরেক্স মার্কেটে কি ট্রেড করা হয়?
সহজ উত্তর হল মুদ্রা। কারেন্সি কেনাকে একটি দেশের শেয়ার কেনার মত মনে করতে পারেন, যেভাবে একটি কোম্পানির শেয়ার কিনেন। কারেন্সির দাম একটি দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ অবস্থা দেখায় যে মার্কেট সেই কারেন্সি নিয়ে কি চিন্তা করছে। ধরুন যখন আপনি, জাপানী কারেন্সি ক্রয় করবেন তখন আপনি জাপানের ১ টি শেয়ার কিনছেন। আপনার কেনার পেছনে উদ্দেশ্য হল যে জাপানী অর্থনীতি ভালো করবে আর ভবিষ্যতে যখন সেই শেয়ারটা বিক্রি করবেন তখন লাভ করবেন। সাধারনত এক কারেন্সির দাম অন্য কারেন্সির দামের সাথে বাড়বে না কমবে তা নির্ভর করে যে ২ টি দেশের মধ্যে কার তুলনায় কে ভালো করছে।

মেজর কারেন্সিসমূহ

The Majors
Symbols Country Currency Nickname
USD United States Dollar Buck
EUR Europe Euro Fiber
JPY Japan Yen Yen
GBP United Kingdom Pound Cable
CHF Switzerland Franc Swissy
CAD Canada Dollar Loonie
AUD Australia Dollar Aussie
NZD Newzeland Dollar Kiwi

কারেন্সির সিম্বল সর্বদা তিন অক্ষরের হয়ে থাকে। যেখানে প্রথম ২টি অক্ষর দেশের নাম চিহ্নিত করে আর ৩য় অক্ষর দেশের কারেন্সি চিহ্নিত করে।  উপরের চার্টে যে কারেন্সিগুলো দেখতে পাচ্ছেন সেগুলোকে মেজর কারেন্সি বলা হয়। কারন সেগুলো সবচেয়ে বেশী ট্রেড করা কারেন্সি।

কারেন্সি জোড়ায় জোড়ায় ট্রেড করা হয়: ফরেক্স ট্রেডিংয়ে একটি কারেন্সি কেনা হয় অন্য কারেন্সি বিক্রি করে। ব্রোকারের মাধ্যমে কারেন্সি ট্রেড করা হয় জোড়ায়। যেমন Euro এবং U.S Dollar (EUR/USD) অথবা british pound এবং Japanese yen (GBP/JPY). যখন আপনি ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করেন, তখন আপনি কারেন্সি জোড়া হিসেবে ক্রয় অথবা বিক্রয় করেন।

মেজর কারেন্সি পেয়ার:

Pair Countries
EUR/USD Euro Zone/United States
USD/JPY United States/Japan
GBP/USD United Kingdom/United States
USD/CAD United States/Canada
USD/CHF United States/Switzerland
AUD/USD Austrailia/United States
NZD/USD New Zealand/United States

 

মেজর ক্রস-কারেন্সি পেয়ার অথবা মাইনর কারেন্সি পেয়ার: কারেন্সি পেয়ার যেগুলোতে ইউএসডি থাকে না সেগুলকে ক্রস কারেন্সি বলা হয়ে থাকে। মেজর ক্রসগুলকে মাইনর বলা হয়ে থাকে।

Pair Countries
EUR/GBP Euro Zone/United Kingdom
EUR/CHF Euro Zone/Switzerland
EUR/CAD Euro Zone/Canada
EUR/AUD Euro Zone/Australia
EUR/NZD Euro Zone/New Zealand
EUR/JPY Euro Zone/Japan
GBP/JPY United Kingdom/Japan
CHF/JPY Switzerland/Japan
CAD/JPY Canada/Japan
AUD/JPY Australia/Japan
NZD/JPY New Zealand/Japan
GBP/CHF United Kingdom/Switzerland
GBP/AUD United Kingdom/Australia
GBP/CAD United Kingdom/Canada

Exotic Pairs (এক্সটিক পেয়ার): এক্সটিক পেয়ারগুলো সচরাচর দেখা যায় না। আপনার ব্রোকার কিছু এক্সটিক পেয়ার আপনাকে ট্রেড করতে দিতে পারে তাই জেনে রাখা ভালো। এক্সটিক পেয়ার মেজর কারেন্সির সাথে অন্য একটি ননমেজর কারেন্সি যোগ করবে।

Pair Countries
EUR/TRY Euro/Turkish Lira
USD/SEK US Dollar/Swedish Krona
USD/NOK US Dollar/Norwegian Krone
USD/DKK US Dollar/Danish Krone
USD/ZAR US Dollar/South African Rand
USD/HKD US Dollar/Hong Kong Dollar
USD/SGD

US Dollar/Singapore Dollar

মার্কেট সাইজ এবং লিকুইডিটি: স্টক এক্সচেঞ্জ এর মত ফরেক্স মার্কেট কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত হয় না। ফরেক্স মার্কেট চলে ওভার-দ্যা-কাউন্টার অথবা “OTC” অথবা “ইন্টারব্যাংক” এর লেনদেনের মাধ্যমে। এটি একটি ইলেক্ট্রনিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর সাথে সংযুক্ত তাই ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে এবং ট্রেড করা যায়। এর অর্থ যে স্পট ফরেক্স মার্কেট সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছে যার কোন কেন্দ্রীয় অবস্থান নেই। তা যেকোন জায়গায় হতে পারে।
* ডলার হলো সবচেয়ে বেশী ট্রেডকৃত কারেন্সি, শতকরা ৮৪.৯ ভাগের উপর সকল লেনদেনে এর অংশগ্রহন থাকে। ইউরোর স্থান হলো ২য় ৩৯.১ ভাগ। আর জাপনীস মুদ্রা ইয়েন হল ৩য় ১৯.০ ভাগ।

The Dollar is the King:
• ইউনাইটেড স্টেট বিশ্বের অর্থনীতির মধ্যে সবচেয়ে বড়।
• বিশ্বের সবচেয়ে সঞ্চয়ী মুদ্রা হলো ইউএস ডলার।
• ইউনাইটেড স্টেট বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে বেশী লিকুইড ফাইনান্স্যিয়াল মার্কেট
• ইউনাইটেড স্টেট বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশী স্থিতিশীল রাজনৈতিক ব্যাবস্থা।
• বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক ক্ষমতার অধিকারী হলো ইউনাইটেড স্টেট।
• ইউএস ডলার অনেক ক্রস-বর্ডার লেনদেনের জন্য এক্সচেঞ্জের মাধ্যম। যেমন, তেলের দাম ইউএস ডলারে। তাই যদি মেক্সিকো সৌদিআরব থেকে তেল কিনতে চায়, তাহলে তারা ইউএস ডলারের মাধ্যমেই কিনতে পারবে। যদি মেক্সিকোর কাছে ডলার না থাকে, তাহলে তাদের প্রথমে পেসো বিক্রি করে ডলার কিনতে হবে।

InfotakeBD

View posts by InfotakeBD
InfotakeBD is a information sharing blog, We share information for you. Please visit us and if you want to contribute for this blog please email us infotakebd@gmail.com. Thank you

Leave a Reply

Scroll to top
error: Content is protected !!