মূল্যবোধের উৎস :
মূল্যবোধ গড়ে ওঠার পেছনে যেসব সহায়ক কাজ করে তা হলও- পরিবার, ধর্ম, সামাজিক রীতিনীতি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আইন-কানুন, সংবিধান, সংস্কৃতি, নীতিবোধের চর্চা, সংগঠন ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সভা-সমিতি, সামাজিক ন্যায়বিচার, আইনের শাসন, সামাজিক অনুষ্ঠান, নাগরিক চেতনা, সামাজিক শিক্ষা।
মূল্যবোধের উপাদান :
মূল্যবোধের উপাদানগুলো হলও- নীতি ও ঔচিত্যবোধ, সামাজিক ন্যায়বিচার, সহনশীলতা, পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ, পরমত সহিষ্ণুতা, শ্রমের মর্যাদা, দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ, রাষ্ট্রীয় আনুগত্য, আইনের শাসন।
মূল্যবোধের শিক্ষার উপাদানগুলি সমাজে প্রতিষ্ঠার উপায়
মূল্যবোধের শিক্ষা মানুষ প্রতিদিন ও প্রতি মহুর্তে গ্রহণ করে থাকে। তারপরও যেসব উপায়ে মূল্যবোধের শিক্ষার উপাদানগুলো সমাজে প্রতিষ্ঠা করা যায় তা হলও :
ক. পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, বিদ্যালয়ের শিক্ষক সম-স্থানীয় ব্যক্তি এবং প্রতিবেশীদের সাথে সামাজিকীকরণের মাধ্যমে।
খ. সমাজের বৃহত্তর ক্ষেত্রে যোগাযোগ করে। যেমন : পারিবারিক সম্পর্কে বিস্তৃতি, গণমাধ্যম ও কর্মস্থান।
গ. মানুষের বেড়ে ওঠাও সময়ের অভ্যাস আত্মস্থকরণ করে। যেমন: বিধি-নিষেধ, আদেশ পরিবার ও বন্ধুদের চেনা পরিচয়, কাজ কর্মের অনুমোদন ও অনুমোদন ইত্যাদি।
ঘ. বাধ্যবাধকতা ও আমাদের পরস্পরের পরিবেশের মানদণ্ড। যেমন: দায়িত্ব সচেতনতা থেকে ঔচিত্যবোধের সচেতনতায় স্থানান্তর।
ঙ. ইতিবাচক চিন্তা করা।
চ. করুণা প্রদর্শন করা ও ক্ষতি থেকে বিরত থাকা।
ছ. আত্মিক শান্তি আবিষ্কার করা।
জ. সহাবস্থানের শিক্ষা লাভ করা।
ঝ. মানব মর্যাদাকে সম্মান করা।
ঞ. সত্যবাদিতার শিক্ষা প্রদান করা।
ট. বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তার উন্নতি করা।
ঠ. সম্প্রদায়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
ড. পারস্পারিক সম্পর্ক রক্ষা করা।
ঢ. ঘোষণা, নিয়ম ও সতর্কতা জারির মাধ্যমে।
ণ. উদাহরণ আদর্শের দ্বারা শিক্ষা প্রদান করা।
ত. শিক্ষা ও নৈতিকতার গল্পের মাধ্যমে মূল্যবোধের শিক্ষা প্রদান করা।
থ. নিজের এবং অন্যদের ব্যক্তিগত আচরণের পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যবোধের শিক্ষা প্রদান করা।
দ. সমস্যা সমাধানের শিক্ষার মাধ্যমে মূল্যবোধের শিক্ষা দেয়া।
ন. চিন্তার স্বাধীনতা ও বাছাইয়ের ক্ষমতা প্রদান।
প. মূল্যবোধের শিক্ষা অন্তরে পোষণ ও মূল্যবোধকে পুরস্কৃত করা।
ফ. মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা।
ব. জীবনের সর্বক্ষেত্রে মূল্যবোধের চর্চা করা।