শীত এলেই নানারকম স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। এর অনেকগুলোই বেশ অস্বস্তিকর ঠেকে। গলার স্বর ভেঙ্গে যাওয়া তার মধ্যে অন্যতম। ছোট-বড় নির্বিশেষে সবারই এই সমস্যা হতে পারে।
সাধারণত স্বরযন্ত্রের প্রদাহের কারনে গলার স্বর ভেঙ্গে যেতে পারে। ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের কারনে এই ধরনের প্রদাহ হয়ে থাকে। এছাড়া তীব্র স্বরে চিৎকার বা উচ্চস্বরে বেশি কথা বললে গলার স্বর ভাঙ্গতে পারে। অনেক সময় অ্যালার্জিজনিত কারনে বা থাইরয়েড গ্রন্থিতে অপারেশনের কারনেও কণ্ঠস্বর ভেঙ্গে যায়। বয়স্কদের ক্ষেত্রে স্বরযন্ত্র বা থাইরয়েডের ক্যান্সারের কথাও বিবেচনায় রাখতে হবে।
গলার স্বর ভেঙ্গে গেলে খুব বেশি ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সাধারণত তা সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে অনেক সময় তা চার থেকে ছয় সপ্তাহ পর্যন্তও স্থায়ী হতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্যেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অবশ্য বেশিরভাগ সময়েই কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। চলুন গলার স্বর ভেঙ্গে গেলে করণীয়গুলো জেনে নেই-
১. কণ্ঠস্বর ভেঙে গেলে বেশি কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। এ সময় স্বরের পর্যাপ্ত বিশ্রাম প্রয়োজন।
২. গলাকে আর্দ্র রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে ।
৩. দিনে তিন থেকে চারবার লবন পানি দিয়ে গড়গড়া করতে হবে। এতে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
৪. দিনে বেশ কয়েকবার গরম পানির ধোঁয়া মুখ দিয়ে টেনে নিতে পারেন।
৫. শীতের ঠাণ্ডা হাওয়া ও ধূলাবালি এড়িয়ে চলতে হবে।
৬. ধূমপান ও অ্যালকোহল গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
এই নিয়মগুলো মেনে চললে গলা ভাঙ্গার সমস্যা থেকে অনেকটাই বেঁচে থাকা সম্ভব হবে। তবে তীব্র গলাব্যথা, কাশি বা ঘন ঘন কফ বের হলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।