বাংলা সাহিত্যের যুগবিভাগ মোট তিনটি ভাগে বিভক্ত-
১. আদিযুগ (৬৫০-১২০০ খ্রী)
২. মধ্যযুগ (১২০১-১৮০০ খ্রী)-বাংলা সাহিত্যের ১২০০-১৩৫০ খ্রি. পর্যন্ত সময়কে “অন্ধকার যুগ” বা “বন্ধ্যা যুগ” বলে
৩. আধুনিক যুগ (১৮০১ খ্রী: -বর্তমান)
আদিযুগ
চর্যাপদ:
1. বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য/কাবিতা সংকলন চর্যাপদ। এটি বাংলা সাহিত্যের আদিযুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
2. ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজ দরবারের গ্রন্থাগার হতে ১৯০৭ সালে ‘চর্যাচর্য বিনিশ্চয়’ নামক পুথিটি আবিষ্কার করেন।
3. চর্যাপদের সাথে ‘ডাকার্ণব’ এবং ‘দোহাকোষ’ নামে আরো দুটি বই নেপালের রাজ দরবারের গ্রন্থাগার হতে আবিষ্কৃত হয়। ১৯১৬ সালে সবগুলো বই একসাথে ‘হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বেৌদ্ধগান এবং দোহা’ নামে প্রকাশ করেন।
4. ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় তার ‘বাঙলা ভাষার উতপত্তি I বিকাশ’-“Origin and Development of Bangali Language” নামক গ্রন্থে ধ্বনি তত্ত্ব ব্যাকরণ I ছন্দ বিচার করে সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন যে, পদসংকলনটি আদি বাংলা ভাষায় রচিত।
5. এতে মোট ৫১টি পদ রয়েছে। তবে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, চর্যাপদে মোট ৫০টি পদ রয়েছে। কয়েক পাতা নষ্ট হয়ে যাIয়ায় সর্বমোট সাড়ে ৪৬টি পদ পাIয়া গেছে। ২৩নং পদটি খন্ডিত আকারে উদ্ধার করা হয়েছে। ২৪, ২৫ এবং ৪৮ নং পদগুলো পাIয়া যায়নি।
6. চর্যাপদের মোট পদকর্তা ২৪ জন। তার মধ্যে, লাড়ীডোম্বীপার কোন পদ পাIয়া যায়নি।
7. অনেকের মতে, চর্যাপদের আদিকবি লুইপা। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, প্রাচীনতম চর্যাকার শবরপা এবং আধুনিকতম চর্যাকার সরহ বা ভুসুকুপা।
8. কাহ্নপা সর্বাধিক ১৩টি পদ রচনা করেন।
9. শবরপাকে চর্যাপদের বাঙালি কবি মনে করা হয়।
10. চর্যাপদ মাত্রাবিত্ত ছন্দে রচিত।