আকার ও ক্ষমতার ভিত্তিতে কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ (Classify computer depending on capability, size,speed etc.)
আকার ও ক্ষমতার ভিত্তিতে কম্পিউটারকে চারটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়-
(ক) সুপার কম্পিউটার (Super computer)
(খ) মেইনফ্রেম কম্পিউটার (Mainframe computer)
(গ) মিনি কম্পিউটার (Mini computer)
(ঘ) মাইক্রোকম্পিউটার (Microcomputer)
নিম্নে এদের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হল ঃ
সুপার কম্পিউটার (Super computer): সুপার কম্পিউটার সব চেয়ে শক্তিশালী, দ্রুতগতিসম্পন্ন এবং ব্যয়বহুল। আকৃতিগত দিক হতে সর্ববৃহৎ এ শ্রেণীর কম্পিউটারগুলোর তথ্য সংরক্ষণ ক্ষমতা, কার্যসম্পাদনের বা তথ্য প্রক্রিয়াকরণের গতি অবিশ্বাস্য রকমের। সূক্ষণাস্ত্র বৈজ্ঞানিক গবেষণা,বিপুল পরিমান তথ্যবিশ্লেষণ, নভোযান, জঙ্গী বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, মহাকাশ গবেষণা, পরমানু চুল্লি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। CRAY-L,CYBER-205 ইত্যাদি সুপার কম্পিউটারের উদাহরণ।
মেইনফ্রেম কম্পিউটার (Mainframe computer): মেইনফ্রেম কম্পিউটার একটি বড় কম্পিউটার, যার সাথে অনেক গুলো ছোট কম্পিউটার যুক্ত করে। একসাথে শতাধিক লোক কাজ করতে পারেন। এ ধরনের কম্পিউটারে একাধিক প্রক্রিয়াকরণ অংশ থাকে। বড় বড় প্রতিষ্ঠান এবং বৈজ্ঞানিক কর্মতৎপরতা পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ, বিশ্লেষণ এবং মূল্যায়নের জন্য মেইনফ্রেম কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। UNIVAC 1100\01, IBM- 4341 ইত্যাদি কম্পিউটার এ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত।
মিনি কম্পিউটার (Mini computer) ঃ মেইনফ্রেম কম্পিউটারের চেয়ে আকারে ছোট এ কম্পিউটার টার্মিনালের মাধ্যমে একসাথে অনেক ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারে। সাধারণত শিল্প,গবেষণা, ব্যাংকিং কার্যক্রমে এ ধরনের কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ-PDP-8 IBMS\34,NCR S\9290,PDPLL ইত্যাদি।
মাইক্রোকম্পিউটার (Microcomputer): মাইক্রোকম্পিউটার হচ্ছে মাইক্রোপ্রসেসর দিয়ে তৈরী সর্বাপেক্ষা ব্যবহৃত কম্পিউটার। সাধারণত একজন লোক একটি মাইক্রোকম্পিউটার ব্যবহার করতে পারেন বলে একে পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি- ও বলা হয়। এ ধরনের কম্পিউটার তুলনামূলকভাবে দামে কম, সহজে বহনযোগ্য এবং রক্ষণাবেক্ষণ সহজ হওয়ার ফলে ব্যবহারকারীদের মাঝে ব্যাপকভাবে সমার্দত হয়েছে। ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক, হাপ্তরিক, সরকারী, বিনোদনমূলক কর্মকান্ডে মাইক্রোকম্পিউটারের ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। IBM PC, APPLE, Macintosh ইত্যাদি মাইক্রোকম্পিউটারের উদাহরণ।