চিকুনগুনিয়া হচ্ছে “চিকুনগুনিয়া” নামক একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা এডিস মশার কামড়ে মানবদেহে সংক্রমিত হয়। সংক্রমণের ২-৪ দিনের মধ্যেই সাধারণত উপসর্গ দেখা দেয় যা কয়েক সপ্তাহ, মাস কিংবা বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এই রোগে মৃত্যু ঝুঁকি প্রতি দশ হাজারে এক জন বা এর চেয়েও কম। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই রোগের জটিলতা তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। বাংলাদেশে ২০০৮ সালের দিকে এই রোগের অস্তিত্ব প্রথম ধরা পড়ে।
লক্ষণ:
১. আকস্মিক উচ্চমাত্রার জ্বর ( ১০৪° – ১০৫°)
২. জয়েন্টে বা গিঁটে ব্যথা এবং ফুসকুড়ি ওঠা।
৩. মাথাব্যথা ও মাংশপেশীতে ব্যথা,
৪. ফটোফোবিয়া বা আলোর দিকে তাকাতে সমস্যা।
প্রতিকার ও চিকিৎসা:
এই রোগ সাধারণত এমনিতেই সেরে যায়। জ্বর ও ব্যথার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল খেতে হবে। গিঁটের ব্যথা থাকলে সেখানে ঠান্ডা পানির শেঁক দিলে উপকার পাওয়া যায়।
প্রতিরোধ:
১. মশার বিস্তার রোধে ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা, এসি ও ফ্রীজের নিচে পানি জমতে দেয়া যাবে না।
২. বাড়ির আঙিনা ও নির্মাণাধীন ভবনের পানির চৌবাচ্চা নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে।
৩. দিনের বেলা ঘুমানোর সময়ও মশারী ব্যবহার করতে হবে।