বাংলা ভাষা এবং বাংলা লিপি 1. বাংলা ভাষার আদি উৎস- ইন্দো ইউরোপীয় 2. বাংলার আদি অধিবাসীদের ভাষা ছিল অস্ট্রিক এবং আর্যদের ভাষার নাম ছিল প্রাচীন বৈদিক ভাষা। 3. অধিকাংশের মতে, খ্রিস্টীয় দশম শতাব্দীতে বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়। তবে, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়। (অপভ্রংশ বলতে মধ্য ইন্দো-আর্য ভাষার (তথা...
Category: Bangla literature
Bangla literature
বাংলা সাহিত্য
বাংলা সাহিত্যের যুগ
বাংলা সাহিত্যের যুগবিভাগ মোট তিনটি ভাগে বিভক্ত- ১. আদিযুগ (৬৫০-১২০০ খ্রী) ২. মধ্যযুগ (১২০১-১৮০০ খ্রী)-বাংলা সাহিত্যের ১২০০-১৩৫০ খ্রি. পর্যন্ত সময়কে “অন্ধকার যুগ” বা “বন্ধ্যা যুগ” বলে ৩. আধুনিক যুগ (১৮০১ খ্রী: -বর্তমান) আদিযুগ চর্যাপদ: 1. বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য/কাবিতা সংকলন চর্যাপদ। এটি বাংলা সাহিত্যের আদিযুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন। 2. ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজ দরবারের...
মধ্যযুগ
অন্ধকার যুগের সাহিত্য (১২০১-১৩৫০ খ্রী) 1. প্রাকৃত ভাষার গীতি কবিতার সংকলিত গ্রন্থ ‘প্রাকৃত পৈঙ্গল’ 2. রামাই পন্ডিত রচিত ধর্মপুজার শাস্ত্রগ্রন্থ শূন্যপুরাণ। এটি গদ্য পদ্য মিশ্রিত চম্পু কাব্য। 3. সেন বংশের শেষ রাজা লক্ষণ সেনের সভাকবি হলায়ুদ মিশ্র রচিত ‘সেক শুভোদয়া’ সংস্কৃত গদ্য পদ্য লেখা চম্পু কাব্য। (বাংলা সাহিত্যের ১২০০-১৩৫০ খ্রি. পর্যন্ত সময়কে “অন্ধকার যুগ” বা...
মধ্যযুগ-১
অনুবাদ সাহিত্য মধ্যযুগে অনুবাদ হয়েছে প্রধানত সংস্কৃত থেকে (মহাভারত, রামায়ণ, ভাগবত), হিন্দী সাহিত্য থেকে এবং আরবি-ফারসি সাহিত্য থেকে। রামায়ণ: খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে বাল্মীকি (বাল্মীকির মূল নাম দস্যু রত্নাকর) সংস্কৃত ভাষায় রামায়ণ রচনা করেন। রামায়ণ সাত খন্ডে রচিত, এতে শ্লোকসংখ্যা ২৪০০০। রামায়ণের প্রথম অনুবাদক পনের শতকের কবি কৃত্তিবাস Iঝা। তিনি হলেন প্রথম এবং শ্রেষ্ঠ অনুবাদক। কৃত্তিবাসের...
আধুনিক যুগ
আধুনিক যুগকে দুটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়। ১৮০১-১৮৬০ সাল পর্যন্ত প্রথম পর্যায় এবং ১৮৬১ থেকে সাম্প্রতিককাল পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়। আধুনিক যুগে বাংলা সাহিত্যে গদ্যরীতির প্রচলন ঘটে। ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ ১৮০০ সালের ৪ মে কলকাতার লালবাজারে লর্ড Iয়েলেসলি কর্তৃক ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৫৪ সাল পর্যন্ত এটি চালু ছিল। ১৮০১ সালের ২৪ নবেম্বর এই কলেজে...
রাজা রামমোহন রায়
সতীদাহ প্রথা রহিতকরণে তাuর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। রাজা রামমোহন রায়ের ছদ্মনাম ছিল শিবপ্রসাদ রায়। রামমোহন রায় কর্তৃক ব্রাþ সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮২৮ সালে। তাuর রচিত বাংলা ব্যাকরণের নাম ‘গেŠড়ীয় ব্যাকরণ’। এটি ইংরেজী ভাষায় লেখা হয়েছিল ১৮২৬ সালে। পরে ১৮৩৩ সালে এর বাংলা অনুবাদ হয়। তিনি ফারসি ভাষার পত্রিকা ‘মিরাতুল আখবার’ সম্পাদনা করেন। রামমোহনের রচিত গ্রন্থগুলো...
জসীম উদ্দীন
জসীম উদ্দীনের কাব্যগ্রন্থসমূহের নাম : “রাখালীদের বালুর চরের ধানক্ষেতে মা জননী হাসুকে নিয়ে সুচয়নী জলের লেখায় সজন বাদিয়ার ঘাটে হলুদবরণ নকশিকাথা বিছিয়ে গল্প করছেন।” ১) রাখালী ২) বালুর চর ৩) ধানক্ষেত ৪) মা যে জননী কাঁন্দে ৫) হাসু ৬) সুচয়নী ৭) জলের লেখায় ৮) সজন বাদিয়ার ঘাট ৯) হলুদবরণ ১০) নকশি কাঁথা অথবা, হলুদ বরণীর...
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০-১৮৯১) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর শিল্পসম্মত বাংলা গদ্যের জনক। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের পারিবারিক পদবী বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৮৪০ সালে তিনি সংস্কৃত কলেজ থেকে ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি লাভ করেন। তিনি ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা নামে স্বাক্ষর করতেন। তিনি বাংলা গদ্যে ১৫টি বিরামচিহ্নের প্রবর্তন করেন। বিদ্যাসাগরের ব্যাকরণ গ্রন্থের নাম ‘ব্যাকরণ কেŠমুদী’। ১৮৫৬ সালে বিধবা বিবাহ আইন পাস করানোর ক্ষেত্রে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।...
অক্ষয়কুমার দত্ত
অক্ষয়কুমার দত্ত (১৮২০-১৮৮৬) তিনি বাঙালির মধ্যে প্রথম বিজ্ঞানমনস্ক লেখক। অক্ষয়কুমার দত্ত ‘তত্ত্ববোধিনী (১৮৪৩)’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ব্রাহ্মসমাজের মুখপত্র ছিল।