ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন

ফরেক্স ট্রেডিং চার্টে আমরা ৩ প্রকোর চার্ট দেখতে পাই Bar Chart, Candlesticks এবং Line chart. এর মধ্যে Candlesticks হল সবচেয়ে জনপ্রিয়. এই Candlesticks ফর্মুলা জাপানীদের তৈরি। সকল দেশের অভিজ্ঞ ট্রেডাররাই Candlesticks Chart ব্যবহার করেন। কারন, এই Candlesticks এর কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট আছে  যার দ্বারা ট্রেডিং মার্কেটের ট্রন্ড,  অবস্থান, আচরন এবং ট্রেডিং দিক নির্দেশনা পাওয়া যায়.

ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট ফরেক্স টেকনিক্যাল এনালাইসিস এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ‘ফরেক্স মার্কেটের প্রাইস পরিবর্তনের বিভিন্ন পদ্ধতিকে ক্যান্ডেলস্টিক এর বিভিন্ন ফর্মের সাথে সংজ্ঞায়িত করে ট্রেডিং এর যে একটি পদ্ধতি তা-ই ক্যান্ডেলস্টিক এনালাইসিস’. যেখানে আপনি ক্যান্ডেলস্টিক বিভিন্ন প্যাটার্ন দেখে পরবর্তী মার্কেট প্রাইস সিগনাল পেয়ে যাবেন। যে বিশের অনেক এক্সপার্ট ট্রেডার রয়েছে যারা শুধুমাত্র ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন দিয়ে ট্রেড করে।

ক্যান্ডেলস্টিক শত শত প্যাটার্ন রয়েছে সব গুলো প্যাটার্ন আপনার পক্ষে মনে রেখে ট্রেড করা সম্ভব নয়। এবং সব গুলো ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন এর কাজে আপনি পুরোপুরি সন্তুষ্ট থাকবেন না। তাই মুলত যেসব ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন গুলোর ভালো ট্রেডিং সাকসেস রেইট রয়েছে আমি মুলত সেই প্যাটার্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

পরিচিতিঃ ক্যান্ডেলস্টিক চার্টে আপনি দু’ধরনের ক্যান্ডেল পাবেন, একটি হল বায় ক্যান্ডেল এবং আরেকটি হল সেল ক্যান্ডেল। বায় ক্যান্ডেল সাধারণত (Green or May be Hollow) এবং সেল ক্যান্ডেল (Red or May be Filled) কালার হয়ে থাকে। অবশ্য আপনি চাইলে আপনার পছন্দমত কালারে সাজাতে পারেন। ক্যান্ডেল এর মুল বডি’র উপরে-নিচে যে দুটি রেখা থাকে সেগুলোকে Shadow বলা হয়, উপরেরটিকে আপার শেডো এবং নিচের টিকে লওয়ার শেডো বলা হয়।

প্রাইস যদি ক্যান্ডেল এর নিচ থেকে শুরু (Open) করে উপর দিকে শেষ (Close) হয় তখন তাকে বায় ক্যান্ডেল বলা হয় এবং প্রাইস উপর থেকে শুরু (Open) হয়ে নিচের দেকে শেষ (Close) হয় তাকে সেল ক্যান্ডেল বলা হয়। অর্থাৎ একটি ক্যান্ডেলে আপনি চারটি প্রাইস ভেলু পাবেন, Open, Close, High and Low. এবং আপনি যে টাইম ফ্রেমে থাকবেন এক একটি ক্যান্ডেল এর ব্যাপ্তি হবে সেই সময় পর্যন্ত। ধরি আপনি ১৫ মিনিট টাইম ফ্রেমে আছেন তাহলে প্রতিটি ক্যান্ডেল তৈরি বা শেষ হবে ১৫ মিনিট পরপর। এই ক্ষেত্রে আপনি খুব সহজে আপনার কম্পিউটারের ঘড়ির সাথে মিলিয়ে নিতে ক্যান্ডেল শুরু এবং শেষ টা নিশ্চিত হতে পারেন।

 

জাপানী ক্যান্ডেলস্টিক: জাপানী চাল ব্যাবসায়ীরা চাল ট্রেড করতে ক্যান্ডেলস্টিক ব্যবহার করত। স্টিভ নেলসন নামক একজন এক জাপানী ব্রোকারের কাছ থেকে ক্যান্ডেলস্টিক সম্পর্কে জেনেছিল। স্টিভ পরে ক্যান্ডেলস্টিক সম্পর্কে রিসার্চ করা শুরু করল এবং ক্যান্ডেলস্টিক সম্পর্কে লেখা শুরু করল। পরবর্তীতে ক্যান্ডেলস্টিক ১৯৯০ এর দিকে জনপ্রিয়তা পেল। আগে আমরা ক্যান্ডেলস্টিক সম্পর্কে হালকা ধারনা পেয়েছিলাম। এখন দেখব যে এটা আমাদের কি কাজে লাগে।

ক্যান্ডেলস্টিক ২ প্রকারের হয়।

বুল ক্যান্ডেল -যদি ক্লোজিং প্রাইস ওপেন প্রাইসের উপরে থাকে।

বিয়ার ক্যান্ডেল – যদি ক্লোজিং প্রাইস ওপেন প্রাইসের নিচে থাকে।

২ টা ক্যান্ডেলই ওপেন, হাই, লো এবং ক্লোজ এর ভ্যালু দেখায়। এছাড়াও ক্যান্ডেলে চিকন ও প্রশস্ত অংশ দেখছেন। চিকন অংশটাকে শ্যাডো বলে। শ্যাডো দেখলে বুঝবেন যে প্রাইস সেই পর্যায়ে গিয়ে ফেরত এসেছে। প্রশস্ত অংশটিকে বডি বলে। বডি আপনাকে দেখায় যে, প্রাইস কোথা থেকে শুরু হয়ে কোথায় যেয়ে থেমেছে। চলুন উপরের ছবির বুল ক্যান্ডেলটিকে ব্যাখ্যা করে দেখি।

  • বুল ক্যান্ডেলটি শুরু হয়েছে ছবির ওপেন পয়েন্টে।
  • তারপর প্রইস নিচে নেমে লো পর্যন্ত গিয়েছে।
  • তারপর প্রাইস উঠতে উঠতে হাই পর্যন্ত উঠেছে।
  • তারপর হাই থেকে নেমে প্রাইস ক্লোজ হয়েছে।
  • পরবর্তীতে পড়ার আগে আপনি বিয়ার ক্যন্ডেলটা নিজে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করুন।

বিয়ার ক্যান্ডেলটার ব্যাখ্যা হল প্রাইস ওপেন হয়ে হাই পয়েন্টে গিয়েছে। তারপর লো পয়েন্টে এসে আবার উপরে উঠে ক্লোজ হয়েছে।” এটা এখন যদি আপনার কাছে কঠিন লেগে থাকে তাহলে এই নিয়ে মাথা ঘামিয়েন না। সময়ের সাথে সাথে আপনি ক্যান্ডেলস্টিক ব্যাবহারে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন।

বডি এবং শ্যাডো দিয়ে কি বুঝায়?

চার্টে হরেক রকমের ক্যান্ডেলস্টিক দেখতে পাচ্ছেন। কোনটার বডি বড় আবার কোনটার শ্যাডো বড়। এর মধ্যেও কিছু তথ্য লুকানো আছে। যদি বুল ক্যান্ডেলের বডি বড় হয়, তাহলে বুঝবেন যে বাইয়িং প্রেসার বেশি। যদি বিয়ার ক্যান্ডেলের বডি বড় হয়ে থাকে, তাহলে বুঝবেন যে সেলিং প্রেসার বেশি। শ্যাডো আপনাকে ট্রেডিং সেশন সম্পর্কে অনেক তথ্য প্রদান করে থাকে। যদি ক্যান্ডেলে শ্যাডো ছোট হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে ট্রেডিং ওপেন অথবা ক্লোজের কাছাকাছি সংকীর্ন হয়েছে। যদি ক্যান্ডেলস্টিকে উপরকার শ্যাডো বড় আকারের হয় আর নিচের শ্যাডো ছোট হয়, তার মানে হল বায়াররা প্রাইস উপরে টেনে নিয়ে গিয়েছিল কিন্তু সেলাররা আবার প্রাইস নিচে নামিয়ে এনেছে। যদি ক্যান্ডেলস্টিকে নিচের শ্যাডো বড় আকারের হয় আর উপরের শ্যাডো ছোট হয়, তার মানে হল সেলাররা প্রাইস নিচে টেনে নিয়ে গিয়েছিল কিন্তু বায়াররা আবার প্রাইস উপরে টেনে আনতে সক্ষম হয়েছে।

ব্যাসিক ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্নসমূহ

স্পিনিং টপ: যেসব ক্যান্ডেলে বড় আপার শ্যাডো এবং লোয়ার শ্যাডো থাকে এবং ছোট বডি থাকে। বুল অথবা বিয়ার বডি যেটাই হোক, সেটা তেমন প্রয়োজনীয় না। স্পিনিং টপ বায়ার ও সেলারের মধ্যে দ্বিধা চলছে বুঝায়।

স্পিনিং টপে শ্যাডো ইঙ্গিত করে যে বায়ার ও সেলার দুজনেই প্রাইস নিজের দিকে টেনে নিতে সক্ষম হয়েছিল কিন্তু শেষে প্রাইস ওপেনের কাছাকাছি ক্লোজ হয়েছে। মানে বুল ও বিয়ার কেউই সেই পেরিওডে জয়লাভ করতে পারেনি। যদি স্পিনিং টপ আপট্রেন্ড অথবা ডাউনট্রেন্ডের শেষে ফর্ম করতে দেখা যায়, তার মানে মার্কেটে পর্যাপ্ত পরিমানে বায়ার অথবা সেলার নেই। আর তা মার্কেট রিভার্স করতে পারে তার ইঙ্গিত করে।

মারোবোজু: মারোবোজুর কোন শ্যাডো থাকে না। হাই এবং লো ওপেন ও ক্লোজের সমান থাকে।

বুলিশ মারোবোজু: ওপেন = লো; ক্লোজ = হাই । এটা ইঙ্গিত করে যে বুলরা পুরো পেরিয়োডটায় রাজ করেছে। এটা যখন দেখা যায় তখন বুলিশ ট্রেন্ড সম্প্রসারন অথবা বুলিশ রিভার্সালের ইঙ্গিত দিয়ে থাকে।

বিয়ারিশ মারেববোজু: ওপেন = হাই; ক্লোজ = লো । এটা ইঙ্গিত করে যে সেলারার পুরো পেরিয়োডটায় রাজ করেছে। এটা যখন দেখা যায় তখন বিয়ারিশ ট্রেন্ড সম্প্রসারন অথবা বিয়ারিশ রিভার্সালের ইঙ্গিত দিয়ে থাকে।

দোজি: দোজির সাধারনত ওপেন ও ক্লোজ অভিন্ন হয়ে থাকে অথবা এদের বডি খুব ছোট হয়ে থাকে। দোজি বুল ও বিয়ারের মধ্যে বিবাদের ইঙ্গিত করে থাকে। প্রাইস উপরে অথবা নিচে যেতে সক্ষম হয় কিন্তু ক্লোজ হয় ওপেনের কাছে। ফলাফল শূন্যতে গিয়ে দাড়ায়। চার্টে আমরা সাধারনত ৪ ধরনের দোজি দেখতে পাই।

যখন দোজি ফর্ম করে তখন আগের ক্যান্ডেলগুলোর দিকে ভালভাবে নজর দেবেন। বুলিশ মুভমেন্টের পরে যদি দোজি ফর্ম করতে দেখা তাহলে বুঝতে হবে যে বায়াররা ক্লান্ত হয়ে গেছে আর রিভার্সাল হতে পারে। যদি বিয়ারিশ মুভমেন্টের পরে দোজি ফর্ম করতে দেখা তাহলে বুঝতে হবে যে সেলাররা ক্লান্ত হয়ে গেছে আর রিভার্সাল হতে পারে। নিচের চার্টটি দেখুন।

সিঙ্গেল ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন

হ্যামার ও হ্যাঙ্গিং ম্যান: হ্যামার এবং হ্যাঙ্গিং ম্যান দেখতে একরকম মনে হয় কিন্তু পূর্বের প্রাইস অ্যাকশনের উপর নির্ভর করে ভিন্ন জিনিস বুঝায়।

হ্যামার: হ্যামার একটি বুলিশ রিভার্সাল প্যাটার্ন। কিন্তু হ্যামার একলা প্রাইস রিভার্সালের জন্য যথেষ্ট নয়। হ্যামার ফর্মের পরে একটা বুল ক্যান্ডেল আপনাকে রিভার্সালের কনফারমেশনের ধারনা দিতে পারে। হ্যামারের বৈশিষ্ট্য নিম্নরুপ:

  • শ্যাডো বডির চেয়ে ২ থেকে ৩ গুন বড় হবে।
  • ছোট অথবা কোন আপার শ্যাডো থাকবে না।
  • বডিটা উপরমূখী হবে
  • বুল অথবা বিয়ার বডি হতে পারে। বুল হলে ভাল।

হ্যাঙ্গিং ম্যান: হ্যাঙ্গিং ম্যান একটি বিয়ারিশ রিভার্সাল প্যাটার্ন। এটি একটি শক্তিশালী রেজিস্টেন্স লেভেল হিসেবেও গন্য হয়। যখন হ্যাঙ্গিং ম্যান ফর্ম করে, তখন বিয়াররা বুলদের চেয়ে বেশি শক্তিশালী হচ্ছে। হ্যাঙ্গিং ম্যানের বৈশিষ্ট্য নিম্নরুপ:

  • শ্যাডো বডির চেয়ে ২ থেকে ৩ গুন বড়।
  • ছোট অথবা কোন আপার শ্যাডো থাকবে না।
  • বডিটা উপরমূখী হবে।
  • বুল অথবা বিয়ার বডি হতে পারে। বিয়ার হলে ভাল।

 

ইনভার্টেড হ্যামার ও শুটিং স্টার: ইনভার্টেড হ্যামার ও শুটিং স্টার ও দেখতে একরকম লাগে। পার্থক্য হল যে আপট্রেন্ডে না ডাউনট্রেন্ডে ফরম করে।

ইনভার্টেড হ্যামার ও শুটিং স্টার চেনার উপায় হ্যামার ও হ্যঙ্গিং ম্যানের মত। নিম্নে ইনভার্টেড হ্যামার ও শুটিং স্টার এর উদাহরন দেয়া হল:

চার্টে দেখতে পাচ্ছেন যে যখন ইনভার্টেড হ্যামার ফর্ম করছে, তখন সেলারদের ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত করছে। আর শুটিং স্টার যখন ফর্ম করছে তখন বাইয়ারদের ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত করছে।

ডুয়াল ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন

বুলিশ ও বিয়ারিশ এনগাল্ফিং প্যাটার্ন: বুলিশ ও বিয়ারিশ এনগাল্ফিং প্যাটার্ন ট্রেন্ডের শেষে ফর্ম হতে দেখা যায়। এরা শক্তিশালী রিভার্সালের সংকেত দিয়ে থাকে।

বুলিশ এনগাল্ফিং প্যাটার্ন ডাউনট্রেন্ডের শেষের দিকে ফর্ম করতে দেখা যায়। প্রথম ক্যান্ডেলটা বিয়ারিশ হয়। পরের ক্যান্ডেলটা বুলিশ হয় যেটা প্রথম ক্যান্ডেলটাকে ঢেকে ফেলে। অন্যদিকে বিয়ারিশ এনগাল্ফিং প্যাটার্ন আপট্রেন্ডের শেষের দিকে ফর্ম করতে দেখা যায়। প্রথম ক্যান্ডেলটা বুলিশ হয়। পরের ক্যান্ডেলটা বিয়ারিশ হয় যেটা প্রথম ক্যান্ডেলটাকে ঢেকে ফেলে।

টুইজার টপ ও টুইজার বটম: টুইজার ট্রেন্ড রিভার্সালের সংকেত দেয় বিধায় ইহা ট্রেন্ডের শেষের দিকে ফর্ম হয়ে থাকে।

সবচেয়ে কার্যকরী টুইজারের নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্য থাকে:

  • প্রথম ক্যান্ডেলটা ট্রেন্ডের অনুরুপ হবে। যদি আপট্রেন্ড হয়, তাহলে প্রথম ক্যান্ডেলটা বুলিশ হবে।
  • ২য় ক্যান্ডেলটা ট্রেন্ডের বীপরীত হবে। যদি আপট্রেন্ড হয়, তাহলে ২য় ক্যান্ডেলটা বিয়ারিশ হবে।
  • ক্যান্ডেলের শ্যাডোগুলো সমান দৈর্ঘ্যরে হবে। টুইজার টপের সমান হাই হবে আর টুইজার বটমের সমান লো হবে।

 

ট্রিপল ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন

ইভিনিং স্টার ও মর্নিং স্টার: মর্নিং স্টার ও ইভিনিং স্টার হল রিভার্সাল প্যাটার্ন। এগুলো নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্য দিয়ে চেনা যায়

ইভিনিং স্টার

  • ১ম ক্যান্ডেলটা বুলিশ হবে যা সাম্প্রতিক আপট্রেন্ডের অংশ।
  • ২য় ক্যান্ডেলটার ছোট বডি থাকবে যা মার্কেটে বুল ও বিয়ারের মধ্যে দ্বিধার সংকেত দেয়। এটা বুলিশ অথবা বিয়ারিশ যে কোন  একটা হতে পারে।
  • ৩য় ক্যান্ডেলটা বিয়ার ক্যান্ডেল যা ১ম ক্যান্ডেলের অর্ধেকের বেশি ছাড়িয়ে ক্লোজ হবে। এটা ট্রেন্ড রিভার্সালের কনফারমেশন হিসেবে কাজ করে।

 

মর্নিং স্টার

  • ১ম ক্যান্ডেলটা বিয়ারিশ হবে যা সাম্প্রতিক ডাউনট্রেন্ডের অংশ।
  • ২য় ক্যান্ডেলটার ছোট বডি থাকবে যা মার্কেটে বুল ও বিয়ারের মধ্যে দ্বিধার সংকেত দেয়। এটা বুলিশ অথবা বিয়ারিশ যে কোন  একটা হতে পারে।
  • ৩য় ক্যান্ডেলটা বুল ক্যান্ডেল যা ১ম ক্যান্ডেলের অর্ধেকের বেশি ছাড়িয়ে ক্লোজ হবে। এটা ট্রেন্ড রিভার্সালের কনফারমেশন হিসেবে কাজ করে।

৩ হোয়াইট সোলজারস এবং ব্ল্যাক ক্রোস

থ্রি হোয়াইট সোলজারস: ৩ হোয়াইট সোলজারস ফর্ম করে যখন ডাউনট্রেন্ডের পরে ৩ টা বুলিশ ক্যান্ডেল ফর্ম করে। এটা রিভার্সালের সংকেত দেয়। ৩ হোয়াইট সোলজারস যখন ফর্ম করে, তখন বুঝতে হবে যে হয় ডাউনট্রেন্ড শেষ হয়ে গেছে, বিশেষকরে এক্সটেন্ডেড (সম্প্রসারিত) ডাউনট্রেন্ড এবং ছোট একটি কনসোলিডেশন পেরিয়োডের পরে। থ্রি হোয়াইট সোলজারস এর বৈশিষ্ট্য নিম্নরুপ:

  • ২য় ক্যান্ডেল ১ম ক্যান্ডেলের চেয়ে বড় হবে।
  • ২য় ক্যান্ডেল হাই এর কাছাকাছি ক্লোজ হবে।
  • ৩য় ক্যান্ডেল কমপক্ষে ২য় ক্যান্ডেলের সমান হবে।
  • শ্যাডো ছোট হবে আর না থাকলেও হবে।

থ্রি ব্লাক ক্রো ফর্ম করে যখন আপট্রেন্ডের পরে ৩ টা বিয়ারিশ ক্যান্ডেল ফর্ম করে। এটা রিভার্সালের সংকেত দেয়। ৩ ব্লাক ক্রো যখন ফর্ম করে, তখন বুঝতে হবে যে হয় আপনট্রেন্ড শেষ হয়ে গেছে অথবা কনসোলিডেশন যা আপট্রেন্ড অনুসরন করছিল তা শেষ হয়ে গেছে। বৈধ প্যাটার্নের বৈশিষ্ট্য:

  • ২য় ক্যান্ডেল ১ম ক্যান্ডেলের চেয়ে বড় হবে।
  • ২য় ক্যান্ডেল হাই এর কাছাকাছি ক্লোজ হবে।
  • ৩য় ক্যান্ডেল কমপক্ষে ২য় ক্যান্ডেলের সমান হবে।
  • শ্যাডো ছোট হবে আর না থাকলেও হবে।

 

থ্রি ইনসাইড আপ ও ডাউন: থ্রি ইনসাইড আপ ও ডাউন হল রিভার্সাল প্যাটার্ন যা ট্রেন্ডের শেষের দিকে দেখা যায়। এটা ট্রেন্ড শেষ হবার সংকেত দিয়ে থাকে।

প্যাটার্ন চেনার উপায়

  • ১ম ক্যান্ডেলটা ট্রেন্ডের শেষের দিকে দেখা যাবে এবং টেন্ডের মত বড় আকারের ক্যান্ডেল হবে। যদি আপট্রেন্ড হয়, তাহলে বুলিশ আর ডাউনট্রেন্ড হলে বিয়ারিশ।
  • ২য় ক্যান্ডেলটা অন্ততপক্ষে ১ম ক্যান্ডেলের অর্ধেক পর্যন্ত আসবে।
  • ৩য় ক্যান্ডেলটা ১ম ক্যান্ডেলের হাই এর উপর গিয়ে ক্লোজ হতে হবে। এটা সংকেত দেয় যে বায়াররা সেলারদের চেয়ে শক্তিশালী হয়ে গেছে।

InfotakeBD

View posts by InfotakeBD
InfotakeBD is a information sharing blog, We share information for you. Please visit us and if you want to contribute for this blog please email us infotakebd@gmail.com. Thank you

Leave a Reply

Scroll to top