ভূ- তত্ত্ব (Geology)
১. অশ্মমন্ডলের উপরিভগে অবস্থিত পৃথিবীর কঠিন বুহিরাবরণকে ভুত্বক বলে।
২. ভূ ত্বক গঠনকারী বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে আক্সিজেন৪৭% সিলিকন ২৮% ও এলুমিনিয়াম ৮%।
৩. ভু ত্বক ও গুরুমন্ডলের উর্ধ্বাংশে ১০০ কিঃমিঃ পর্যন্ত পুরু স্তরকে অশ্ব মন্ডল বলে।
৪. গুরুমন্ডলের নিম্নভাগ থেকে পৃৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত পুরু স্তরকে অশ্ব মন্ডল বলে।
৫. ভু ত্বকের নিচেজর দিকে প্রতি কিলোমিটারে ৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়ে।
৬. কেন্দ্রে মন্ডলের প্রধান দুটি উপাদান লোহা এবং নিকেল যা নিফে নামে পরিচিত।
৭. রিখটার স্কেল দিয়ে ভুমিকম্পনের শক্তি পরিমাপ করা হয়।
৮.আগ্নেয়গিরির চুড়ায় অবস্থিত খাড়া পাড় বিশিষ্ট ফাটল বা উদগিরন মুখকে বলে জ্বালামুল।
৯. পর্বত থেকে নিচু কিন্তু সমভুমি থেকে উচু বিস্তীর্ণ প্রায় সমতল ভুমিকে মাল ভুমি বলে।
১০. সাবেক যুগোস্লাভিয়ার ভু বিজ্ঞানী মোহরোরোভিসিক ১৯০৯ সালে ভূ ত্বক ও গুরুমন্ডল পৃথককারী মোহবিচ্ছেদ নামক একটি স্তও আবিষ্কার করেন।
১১. ভূ ত্বকের নীচ হতে কেন্দ্র পর্যন্ত ৩টি স্তেও বিভক্ত এগুলো হল (ক) অশ্ম মণ্ডল ও (খ) গুরুমণ্ডল (গ) কেন্দ্র মণ্ডল।
১২. কেন্দ্রমন্ডল পৃথিবলি মোট আয়তনের প্রায় ১৬ ভাগ।
১৩. পৃথিবীর আনুমানি ক ব্যাসার্ধ ৬.৪০০ কিলোমিটার।
১৪. উৎপত্তি অনুাযায়ী ভু ত্বকের শিলা তিন ধরণের। যথা আগ্নেয়শিলা, পাললিক শিলা ও রূপান্তরিদ শিলা।
১৫.ভু অভ্যঅন্তরেরম্যঅগমা শীতল ও কেলাসিত হয়ে যে আগ্নেয় শিলা সৃষ্টি হয় তাকে উদবেধী আগ্নেয় শিলা বলে।
১৬. বিস্ফোরক শিলা হচ্ছে টাফ ও ব্রসিয়া।
১৭.তাপ , চাপ ও রাসয়নিক ক্রিয়ার ফলৈ খনিজ উপাদান ও বুনটের পরিবর্তন হয়ে যে শিলায় সৃষ্টি হয তাকে রূপান্তরিত শিলা বলে।
১৮. শিরার তাপ ও চাপের ফলে এর সনিজ সমূহ পাতার ন্যায় চ্যাপ্টা হয়ে সমান্তরাল ভাবে বিন্যাস্ত হয় যে শিলারসৃষ্টি হয় তাকে পত্রায়ন বলে।
১৯.লেশ রুপান্তরিত হয়ে স্লেট এর সৃষ্টি হয়।
২০. আগ্নেয় বা পাললিক শিলা পরিবর্তনের মাধ্যমে রূপান্তরিত শিলার সৃষ্টি হয়।
২১. চনা পাথর পরিবর্তিত হয়ে মার্বেলে পরিণত হয়।
২২. ভুমিকম্পের ফলে ভু পৃষ্টের আকস্মিক পরিবর্তনহয়।
২৩. ভূ- পৃষ্টের অভ্যান্তরে ৫কিঃমিঃ- ১.১২৬ কিলোমিটার পর্যন্ত ভু-কম্পন সৃষ্টি হতে পারে।
২৪. আগ্নেয়গিরি থেকে প্রথম পর্যায়ে ব্রাসল্ট জাতীয় পদার্থ উদগিরণ হয।
২৫ভু- পৃষ্ঠের দুর্বল অংশের যে ফাটলের মধ্য দিয়ে ভু- গর্ভস্থ ধুম, গ্যাস, গলিত লাভা, ধুলি, ভস্ম এবং বিবিধ তরল ও কঠিন ধাতব পদার্থ নির্গত হয় তাকে আগ্নেয়গিরি বলে।
২৬. যেসব আগ্নেয়গিরি থেকে সব সময় বা মাঝে মাঝে বিস্ফোরণসহ আগ্যুৎপাত হয় তাকে জীবন্তআগ্নেয়গিরি বলে।
২৭. জীবন্ত আগ্নেয়গিরি কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা: সবিরাম আগেয়গিরি এবয অবিরাম আগ্নেয়গিরি।
২৮. যেসব আগ্নেয়গিরি অগ্ল্যুৎপাত বহুকাল বন্ধ আছে,কিন্তু যে কোন সময়ে অগ্যুৎপাতের রয়েছে সেগুলোকে মৃত আগ্নেয়গিরি বলে। যেমন- জাপানের ফুজিয়ামা।
২৯. যেসব আগ্নেয়গিরি দীর্ঘদিন নিষ্ক্রয় অবস্থায় আছে এবং এগুলো থেকে ভব্ষ্িযতে আর অগ্ল্যুৎপাতের সম্ভাবনা নেই সেগুলোকে মৃত আগ্নেয়গিরি বলে। যেমন মায়অনমারের পোপা।
৩০.ভূ- পৃষ্টের উচু নিচু বা সমতল প্রকৃতিরুপকে ভুমিরূপ বলে। ভু- পৃষ্টের ভুমিরূপের আর বৈশিষ্ট্য ও প্রকৃতি অনুসােও ভুমিরূপকে প্রধানত তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথা: পর্বত, মালভুমি ও সমভুমি।
৩১. ভূ-পৃষ্টের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে সুউচ্চ শিলাস্তপকে পর্বতবলে। কমপক্ষে ৬০০ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট ভূমিকে পর্বত এবং তার চেয়ে কম উচ্চাত সম্পন্ন ভুমিকে পাহাড় বলে।
৩২. গঠন বৈশিষ্ট্য অনুসােও পর্বতকে পাচঁটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যথা ভঙ্গিল পর্বত, স্তুপ পর্বত, আগ্নেয় পর্বত, ল্যাকোলিথ পর্বত, ক্ষয়প্রাপ্ত পর্বত।
৩৩. অনেক গুলো পর্বত পাশাপাশি থাকলে তাকে পর্বত শ্রেণি বলে।
৩৪. অবস্থানের বিত্তিতে মালভুমি তিনপ্রকার।
৩৫. ক. পবর্ত মধ্যবর্তী মালভূমি খ. পাদদেশীয় মালভুমি গ. মহাদেশীয় মালভুমি।
৩৬. সম্রদ্র পৃষ্ট থেকে উচু মৃদু ঢাল বিশিষ্ট সুবিস্তৃত সমতল ভুমিকে সমভুমি বলে।
৩৭.বৈচিত্রময় ভুমিরূপের১৮ ভাগ পার্বত্যময়. ২৪ ভাগ মালভুমি ও পাহাড় এবং ৫৮ ভাগ সমূমির অন্তর্গত।
৩৮. হিমালয়, আল্পস, ইউরাল হলো ভঙ্গিল পর্বত।
৩৯. আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের হেনরী হলো ল্যাকোলিথ পর্বতের উদাহরণ।
৪০. ভারতের দাক্ষিণাত্যেও মালভুমি লাভা দ্বারা গঠিত।
৪১. যে সম্সত মালভুমি পর্বত দ্বারা বেষ্টিত থঅকে সেগুলাকে পর্বত মধ্যবর্তী মালভুমি বলে।
৪২. কানাডার প্রেইরী অঞ্চল একটি হিমবাহ সমভুমি।
৪৩. নাইট্রোজেন ভু-ত্বকের উপাদন নয়।
৪৪. ভুমিকম্পের বেগ সর্বাপেক্ষা বেশী থাকে উপকেন্দ্রে।
৪৫. ভুমিকম্পের গতি প্রকৃতি জানারRন্য সীসমোগ্রাফ ব্যবহৃত হয়।