যে পদ্ধতির সাহায্যে ত্বকের ওপর জমে থাকা মরা কোষ ঝেড়ে ফেলা হয় তাকেই এক্সফোলিয়েটিং বলে। ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতার জন্য সপ্তাহে একবার এক্সফোলিয়েটিং করা অবশ্যই দরকার। এক্সফোলিয়েটিং করার ফলে ত্বকের রঙের সমতা বজায় থাকে ও ত্বক স্বাভাবিক উজ্জ্বলতায় ভরে ওঠে। লোককূপের রন্ধ্রও ছোট হয়ে যায়, যার ফলে ত্বকে কুঁচকানো ভাব থাকে না। এজন্য ত্বকও হয়ে ওঠে ভেলভেটে মত মসৃণ।
কিভাবে এক্সফোলিয়েটিং করবেন:
১. ক্লিনজিং পদ্ধতিতে ত্বক পরিষ্কার করার পরে এক্সফোলিয়েটিং শুরু করবেন।
২. খসখসে মোটা গামছা বা খড়খড়ে মোটা কাপড় গরম পানিতে ভিজিয়ে নিংড়ে নিন।
৩. মুখমন্ডলের ত্বকের জন্য ভিজে গামছা বা কাপড়ের সাহায্যে মুখ মোছার কাজ শুরু করুন। গোল করে ঘুরিয়ে অল্প চাপ দিয়ে কপাল, দুই গাল ও চিবুক মুছে ফেলুন। নাকের গোড়া থেকে ডগার দিকে টেনে নাক মুছুন। নিচ থেকে ওপর টানে গলা মুছুন। একটু চাপ দিয়ে মুছবেন। কিন্তু খুব জোরে রগড়াতে যাবেন না। এমনভাবে মুছবেন যাতে ত্বকের মরা কোষই ঘষার সাথে উঠে আসে।
৪. ঠান্ডা পানিতে ত্বক ধুয়ে ফেলুন ও শুকনো নরম তোয়ালে দিয়ে মুখমন্ডল মুছে ফেলুন।
৫. এবার মুখমন্ডলে ময়শ্চারাইজিং লোশনের হালকা প্রলেপ লাগান। এক্সফোলিয়েটিং করার পর এক ঘন্টা প্রখর রোদে যাবেন না। কড়া রোদে যাতে সরাসরি ত্বকে না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে এক্সফোলিয়েটিং: যাদের ত্বকে মরা কোষের পরিমাণ খুব বেশি আছে ও যাদের একটু বেশি বয়স হয়েছে তারা ভিজে গামছায় বা খসখসে কাপড়ে ১ চামচ মিহি খাবার লবন সমানভাবে ছড়িয়ে এক্সফোলিয়েটিং কররে খুব উপকার পাবেন। তবে দুই চোখের চারপাশের অংশ বাদ দিয়ে করতে হবে। যাদের ত্বক পাতলা তারা লবন দিয়ে এক্সফোলিয়েটিং করবেন না।