রেনাল স্টোন বা কিডনির পাথর আমাদের দেশে খুবই পরিচিত একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। একে অনেক সময় রেনাল ক্যালকুলিও বলা হয়। সাধারণত শরীরে থাকা বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থগুলো ঘন হয়ে ক্রিস্টাল বা স্ফটিক গঠনের মাধ্যমে কিডনিতে পাথর তৈরি করে। পাথর ছোট হলে অনেক সময় প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে যায়। তবে আকারে ৩ মি.মি. এর চেয়ে বড় হলে তা কিডনি, মূত্রনালী বা মূত্রথলিতে আটকে যেতে পারে। ফলে দেখা দিতে পারে নানা উপসর্গ। চলুন রেনাল স্টোন বা কিডনি পাথর সম্পর্কে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নেই।
কিডনি পাথরের উপসর্গ
১. কোমর ও পিঠে তীব্র ব্যথা অনুভূত হওয়া
২. ব্যথা কোমর ও পিঠ থেকে কুঁচকি ও উরুতে ছড়িয়ে পড়া
৩. প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া
৪. ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া
৫. পাথরের কারনে ইনফেকশন বা সংক্রমণ হলে জ্বর ও বমি থাকতে পারে
কারা আক্রান্ত হতে পারেন
১. যারা পানি কম পান করেন
২. স্থুলকায় ব্যক্তি
৩. যদি বংশে কারো কিডনি পাথর হওয়ার নজির থাকে
৪. যাদের পুর্বে কিডনিতে পাথর হয়েছিল
৫. যারা উচ্চ প্রানীজ আমিষ খেয়ে থাকেন
৬. যারা অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার গ্রহণ করে থাকেন
প্রতিরোধ
১. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা
২. অক্সালেট যুক্ত খাবার (যেমন: গাঢ় সবুজ শাকসবজি, চকলেট, বীট, সয়াজাতীয় খাদ্য) পরিহার করা
৩. উচ্চ আমিষযুক্ত খাবার কম খাওয়া
৪. অতিরিক্ত মিষ্টি ও চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা
চিকিৎসা
কিডনিতে পাথর হলে অনেক সময়ই তেমন কোন উপসর্গ দেখা যায় না। পাথর ছোট হলে তা প্রস্রাবের সাথে বেরিয়ে যেতে পারে। তবে সেজন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। ব্যথা তীব্র হলে চিকিৎসকের পরামর্শমত ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করতে হবে। পাথরের কারনে যদি ইনফেকশন হয় তবে রোগীর জ্বর থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ খেতে হবে। পাথরের আকার বড় হলে বিশেষজ্ঞ সার্জনের পরামর্শমত অপারেশনের মাধ্যমে কিডনি থেকে পাথর অপসারণ করতে হবে।