গলব্লাডার বা পিত্তথলির পাথরের ৫টি লক্ষণ ও চিকিৎসা

গলব্লাডার বা পিত্তথলির পাথর খুবই পরিচিত একটি রোগ। অনেকে একে গলস্টোনও বলে থাকেন। বেশিরভাগ গলস্টোনই কোলেস্টেরল জমে তৈরি হয়। খুব বেশি কোলেস্টেরল আছে এমন কিছু খাওয়া গলস্টোন হওয়ার আশঙ্কাকে  বাড়িয়ে দেয়। তবে গলস্টোন বা পিত্তথলির পাথর কোন জটিল রোগ নয়। কিন্তু সময়মতো চিকিৎসা না করালে তা জটিল আকার ধারণ করে। অনেকেই বলে থাকেন, শুধুমাত্র ওষুধ সেবনে এই রোগ নিরাময় সম্ভব। এটা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। সময়মত রোগনির্ণয় এবং চিকিৎসা করালেই এই রোগের সঠিক নিরাময় সম্ভব।

লক্ষণসমূহ:

১. পেটের ডানদিকে তীব্র ব্যথা (স্থায়িত্বকাল কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘন্টা),
২. ব্যথা ধীরে ধীরে পেছনে, ডান কাঁধে এবং মাঝ বরাবর ছড়িয়ে পড়া,
৩. হালকা জ্বর থাকতে পারে,
৪. বমি বা বমি ভাব থাকে,
৫. জন্ডিস।
জটিলতা:

১. পিত্তথলির প্রদাহ,
২. পিত্তরস নিঃসরণে প্রতিবন্ধকতা,
৩. জন্ডিস,
৪. অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ,
৫. পিত্তথলির ক্যান্সার।

চিকিৎসা:

রোগীর অবস্থার উপর নির্ভর করে চিকিৎসা পদ্ধতির ভিন্নতা লক্ষণীয়। সাধারণত তীব্র ব্যথা নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীকে প্রথমত ওষুধ দিয়ে ব্যথা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ডাক্তারি ভাষায় এক কনজারভেটিভ চিকিৎসা বলা হয়। রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল হলে সার্জারি করে পিত্ত পাথর অপসারণ করা হয়। সার্জারি দুইভাবে করা যায়।

১. ল্যাপারোস্কোপিক কোলেসিস্টেকটমি (Laparoscopic cholecystectomy): ল্যাপারোস্কোপিক মেশিনের সাহায্যে পেট না কেটে ফুটো করে পাথর অপসারণ করা হয়। রোগী সাধারণত অপরেশনের পরে দ্বিতীয় দিনেই বাড়ি যেতে পারে এবং প্রাত্যহিক কাজ করতে পারে।

২. উন্মুক্ত কোলেসিস্টেকটমি(open cholecystectomy): রোগ যখন জটিল আকার ধারণ করে তখন এই অপারেশন করা হয়। পেট কেটে পিত্তথলিসহ পাথর বের করে আনা হয়। এই নমুনা হিস্টোপ্যাথলজি পরীক্ষার জন্য ল্যাবোরেটরিতে পাঠানো হয়। কেননা শতকরা ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে পিত্তথলির ক্যান্সারেই পাথর হয়ে থাকে।

InfotakeBD

View posts by InfotakeBD
InfotakeBD is a information sharing blog, We share information for you. Please visit us and if you want to contribute for this blog please email us infotakebd@gmail.com. Thank you

Leave a Reply

Scroll to top