চাকরির বিজ্ঞপ্তি আসল নাকি ভুয়া তা সহজে চেনার উপায়। ঠকে নয় –দেখে শিখুন।
দিনদিন দেশে বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াতে ভুয়া বিজ্ঞাপনের সংখ্যাও দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ধোকাবাজরা তাদের কৌশল বদলাচ্ছে, বেকারদেরকে বুঝেশুনে আবেদন করতে হবে । প্রতারকরা জানে ,যারা বোকা ,তারাই কেবল ভুয়া বিজ্ঞাপনে আবেদন করে ।
বেসরকারি চাকরির ভুয়া বিজ্ঞাপন চেনার উপায় হল – এসব বিজ্ঞাপনে নিচে বড় বড় করে মোবাইল নাম্বার দেয়া থাকে , ছাত্র-ছাত্রীদের পার্টটাইম চাকরির সুযোগ ,বিভিন্ন সিম কোম্পানি (রবি/জিপি/বাংলালিংক ,,,) টাওয়ারে চাকরি/ নিজ জেলা/উপজেলা/ইউনিয়নে চাকরি ,এস.এস.সি/এইস.এস.সি পাশেই ১৮০০০-৩০০০০/-টাকা বেতনের অফার , জামানত চায় বা বিকাশে টাকা চায় প্রভৃতির বিজ্ঞাপনগুলো থেকে সাবধান ।
সরকারি চাকরির ভুয়া বিজ্ঞাপন চেনার উপায় হল – প্রতিটি সরকারী প্রতিষ্ঠানে প্রতিটি চিঠির জন্য একটি স্মারক নাম্বার এবং তারিখ থাকে। চাকরির বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশের জন্য অত্র প্রতিষ্ঠান একটি স্মারক নম্বর এবং তারিখ দিয়ে থাকে । তাই সরকারি সকল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে অবশ্যই স্মারক নাম্বার থাকবে যদি না থাকে তবে তা ভুয়া বিজ্ঞপ্তি। এই স্মারক নাম্বার এবং তারিখ টি হল বিজ্ঞপ্তি নাম্বার এবং তারিখ যা জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের আবেদন ফরমে দরকার হবে। এবং বিজ্ঞপ্তি প্রদানকারীর স্বাক্ষর থাকবে।
মনে রাখবেন , চাকরির বিজ্ঞাপন/সাপ্তাহিক চাকরির খবর পত্রিকা কখনো কোন চাকরির বিজ্ঞাপন দেয় না , তারা শুধুমাত্র কোন জাতীয়/দৈনিক পত্রিকা থেকে বিজ্ঞপ্তিগুলো সংগ্রহ করে মাত্র । তাই প্রতিটি চাকরির বিজ্ঞাপনের শেষে উৎস অর্থাৎ কোন পত্রিকার- কত তারিখ ,কত পৃষ্ঠা থেকে এই বিজ্ঞপ্তিটি নেওয়া তা উল্লেখ থাকে।
তাই যেটাতে বিজ্ঞপ্তির উৎস নাই ,সেটা নকল/ভুয়া বিজ্ঞপ্তি।
এসব জায়গায় আবেদন করলেই কয়েক দিনের মধ্যেই আপনার সিভিতে দেয়া মোবাইল নাম্বারে কল বা মেসেস দিয়ে বলবে, আপনার চাকরি হয়ে গেছে, আপনি আগামী ৩/৭ দিনের মধ্যেই সকল কাগজপত্র নিয়ে একটা ঠিকানা ( যেটা তারা কয়েক মাস /দিনের জন্য ভাড়া নেয়) যেখানে দেখা করতে এবং জামানত বা ট্রেনিং বা পোশাক, আইডি কার্ড বাবদ একটা এমাউন্ড তারা চাইবে।
ভিডিও দেখতে চাইলে [youtube id=”oIIECrBodvY”]
তথ্য উৎসঃ নবীন চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য “ চাকরির মৌলিক তত্ত্ব”
আমরা েএসব কনটেন্ট পড়তে নারাজ, টাকা দিয়ে ভুয়া বিজ্ঞাপনে আবেদন করে তারপর দোষ দিব সরকারের না হয় প্রতারককে।