সঠিক নিয়মে সরকারি চাকরির আবেদন ফরম পুরনের নিয়মাবলী, জেনে নিন ।

সঠিক নিয়মে সরকারি চাকরির আবেদন ফরম পুরনের নিয়মাবলী, জেনে নিন ।

চাকরির প্রথম ও প্রধান শর্ত হল সঠিকভাবে আবেদন করা । লিখিত আবেদনে চাকরির বিজ্ঞপ্তিটি উৎস অর্থাৎ কোন তারিখের কোন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশিত তা লিখতে হয় , আর অনলাইনে আবেদন করার সময় যে তথ্যগুলো চাওয়া হয় তা যথাযথভাবে প্রদান করে যথাসময়ে ফি জমা দিলেই হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে যদি কোন নির্দিষ্ট আবেদন ফরমে আবেদন করার কথা বলা থাকে সেক্ষেত্রে সেই নির্দিষ্ট আবেদন ফরমেই আবেদন করতে হবে। বেশিরভাগ সরকারি আবেদন ফরম (জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত) পুরনের সময় কিছু বিষয় রয়েছে যা জানা প্রতিটি চাকরি প্রত্যাশিদের খুব জুরুরী ।

 

(ক) পদের নাম :  আপনি যে পদে আবেদন করবেন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সেই পদের নাম লিখতে হবে এখানে ।

(খ) বিজ্ঞপ্তি নম্বর ও তারিখ : প্রতিটি সরকারি বিজ্ঞপ্তির একটি স্মারক নাম্বার থাকে এবং তারিখ থাকে সেই স্মারক নম্বর ও

তারিখ এখানে লিখতে হবে  । ( যদি স্বারক নম্বর তারিখ না থাকে তবে বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া ।)

 

(গ) প্রার্থীর নাম : আপনার এস.এস.সি/এইস.এসসি প্রশংসাপত্রে বাংলাতে এবং সনদে ইংরেজিতে নামের বানান যেভাবে রয়েছে সেইভাবেই লিখতে হবে ।  (যদি সনদপত্রে ভুল বানান থাকে তবে তাই লিখতে হবে যতক্ষণ আপনি সনদ সংশোষন না করবেন)।

(ঘ) জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর /ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিতে হবে (যেকোন একটি তবে যদি দুইটি চায় তবে দুইটি নম্বর- ই দিতে হবে )

(ঙ) বয়স : বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত তারিখ বয়স দিতে হবে । (বয়স বের করার নিয়ম পরের অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে)

(চ) পিতার নাম ও মাতার নাম : আপনার সনদপত্রে যে বানান  রয়েছে সেইভাবেই লিখতে হবে।

(ছ) বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা: আপনার বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা যদি একই হয় তবুও তা লিখে দিতে হবে ।

(জ) ধর্ম,মোবাইল নাম্বারসহ অন্যান্য সকল তথ্য যথাযথ পুরন করতে হবে ।

(ঝ) শিক্ষাগত যোগ্যতা নুন্যতম যা চাওয়া হয় বিজ্ঞপ্তিতে তা ছাড়াও দিতে পারেন যেমন বিজ্ঞপ্তিতে চাওয়া হয়েছে   এইস.এস.সি পাশ আপনি যদি অনার্স বা মাস্টার্স পাশ হন তবে অনার্স বা মাস্টার্স এর তথ্য দিতে পারেন তবে সেক্ষেত্রে সংযুক্তিতে অনার্স বা মাস্টার্স পাশের সনদের কপি দিতে হবে ।

(ঞ) অতিরিক্ত যোগ্যতা : যেমন আপনি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ বা অন্য কোন প্রশিক্ষণ বা পদ সংশ্লিষ্ট কোন প্রশিক্ষণ গ্রহন করে থাকলে তার সময় ও বিষয় লিখতে পারেন । যেমন “কম্পিউটার অফিস এপ্লিকেশন এ ছয়মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণ গ্রহন” তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই সেই প্রশিক্ষণ /অতিরিক্ত যোগ্যতার সনদ- এর কপি সংযুক্তিতে দিতে হবে ।

(ট) অভিজ্ঞতা : আপনি যে পদে আবেদন করতেছেন সেই সংশ্লিষ্ট পদে আগে যদি কোন অভিজ্ঞতা থাকে বা বিজ্ঞপ্তিতে অভিজ্ঞতা চায় তবে সেই পদে কতদিন কাজ করে থাকেন বা বিজ্ঞপ্তিতে অভিজ্ঞতা চাওয়া হয় তা এখানে লিখতে হবে । যেমন “ কম্পিউটার অপারেটর পদে দুই বছরের অভিজ্ঞতা” এক্ষেত্রে ও অবশ্যই অভিজ্ঞার সনদ সংযুক্তিতে দিতে হবে । যদি আপনি এখনো চাকরিরত হন তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বা কর্তৃপক্ষের  লিখিত অনুমোদনের ভিত্তিতে আপনাকে আবেদন করতে হবে।

(ঠ) ট্রেজারি নম্বর : বিজ্ঞপ্তিতে যার বরাবর ড্রাফট/ট্রেজারি চালান চাওয়া হয়,সেই টাকা ব্যাংকে জমা দিলে, ব্যাংক থেকে চালানের কপিতে একটি নম্বর দিয়ে থাকে, সেই নম্বর ( ট্রেজারী নং/ড্রাফট নং ) এবং যে তারিখে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়েছেন সেই তারিখ এখানে লিখতে হবে ।

(ড) বিভাগীয় প্রার্থী : আপনি যদি বিভাগীয় প্রার্থী হন তবে হ্যাঁ আর না হলে না এর ঘরে টিক চিহ্ন দিতে হবে ।

(ঢ) প্রার্থীর স্বাক্ষর এবং তারিখ : চাকরির আবেদনকারীর নাম আর স্বাক্ষর ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে বা একই হতে পারে। যে তারিখে আবেদন করবেন সেই তারিখ এখানে ,দিন-মাস-বছর এভাবে লিখতে হবে । যেমন ০২/০৫/২০২১ তারিখ

তথ্য উৎসঃ নবীন চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য রচিত“ চাকরির মৌলিক তত্ত্ব”

sulaimanali

View posts by sulaimanali
I have completed BSc and MSc in Geography and Environmental Studies from Rajshahi University. I am currently working as a Instructor (computer).

Leave a Reply

Scroll to top