চার্ট প্যাটার্ন

এই পরিচ্ছেদে আপনি চার্ট প্যাটার্ন এবং তা কিভাবে ফর্ম করে, সেই সম্পর্কে জানবেন। মনে রাখবেন যে আমাদের লক্ষ্য হল মার্কেটে বড় কোন মুভমেন্ট হাওয়ার আগে আমাদের সেটা শনাক্ত করা আর চার্ট প্যাটার্ন আমাদের সেটা শনাক্ত করতে সাহায্য করে। মার্কেট ব্রেকাউটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে কিনা, সেটাতেও চার্ট ফরমেশন আমাদের অনেক সাহায্য করবে। এটা আবার ট্রেন্ড বিস্তার করবে নাকি রিভার্স করবে সেই সম্পর্কেও সংকেত দিবে। এইসব প্যাটার্ন দেখে আমরা মার্কেটের অবস্থা বুঝে নিজেদের ট্রেডিং স্ট্রাটেজি তৈরি করতে পারব।

এই পরিচ্ছেদে আমরা যাযা শিখবো তা হলোঃ

  • ডাবল টপ এবং ডাবল বটম
  • হেড এন্ড শোল্ডার এবং ইনভারস হেড এন্ড শোল্ডার
  • রাইসিং এবং ফলিং ওয়েজ
  • বুলিশ এবং বিয়ারিশ রেক্টেঙ্গেল
  • বুলিশ এবং বিয়ারিশ পেনান্ট
  • ট্রাইএঙ্গেলস (সিমেট্রিক্যাল, উদ্ধগামি, আধগামি)

ডাবল টপ: ডাবল টপ হল একটা বিয়ারিশ রিভার্সাল প্যাটার্ন যা বুলিশ মুভের পরে দেখা যায়।এর নামের মত এটা ২ টা চুড়া দিয়ে সংঘটিত হয় যেখানে চুড়া ২টা প্রায় সমান। ডাবল টপের বৈশিষ্ট্য নিম্নরুপ:

ট্রেন্ডঃ রিভার্সালের জন্য প্রথমে ট্রেন্ডের প্রয়োজন হয়। যেহেতু আমরা বিয়ারিশ রিভারসালের আশা করছি, তাই আমাদের একটা আপ মুভ দেখব।

১ম চুড়াঃ প্রথম চুড়াটা ট্রেন্ডের সর্বচ্চো হাই হিসেবে গঠিত হবে। তারপর প্রাইস নিচের দিকে নেমে আসবে। প্রাইস এমন ভাবে নামবে না যাতে ট্রেন্ড বিপদে আছে দেখা যায়।

২য় চুড়াঃ প্রাইস আবার ১ম চুড়ার কাছাকাছি যাবে। তারপর আবার ফল করা আরাম্ভ করবে। ১ম চুড়া পার করে প্রাইস উপরের দিকে যেতে পারেনি আর এটা আমাদের সংকেত দিচ্ছে যে বুলরা দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।

নেকলাইনঃ ডাবল টপ ফর্ম করেছে এর মানে এটা না যে এখনি প্রাইস রিভার্স করবে। ডাবল টপের প্রাইসের মুভমেন্টের মধ্যে যে লো তৈরি হয়েছে সেটাকে নেকলাইন বলে। প্রাইস যখন নেকলাইন ব্রেক করে তখন ডাবল টপ সম্পন্ন হয়।

তখন আমরা নেক লাইনের নিচে ট্রেড অর্ডার দিতে পারি। নিচের চিত্রটি দেখুনঃ

প্রাইস টার্গেটঃ ডাবল টপের নেকলাইন ব্রেক করার পর আমাদের টার্গেট প্রাইস নির্ধারণ করতে হবে। সাপোর্ট থেকে চুড়া পর্যন্ত যে দুরত্ব সাধারনত সেটা টার্গেট প্রাইস হিসেবে নেওয়া হয়।

ডাবল বটম: ডাবল বটম একটা বুলিশ রিভার্সাল প্যাটার্ন যেটা ডাউনট্রেন্ডের শেষের দিকে দেখা যায়। এটাতে ২টা বটম ও নেকলাইন রেসিস্টেন্স হিসেবে থাকে। ডাবল বটমের বৈশিষ্ট্য নিম্নরুপ:

ট্রেন্ডঃ রিভার্সালের জন্য প্রথমে ট্রেন্ডের প্রয়োজন হয়। যেহেতু আমরা বুলিশ রিভারসালের আশা করছি, তাই আমাদের একটা ডাউন মুভ দেখব।

১ম বটমঃ প্রথম বটমটা ট্রেন্ডের সরবনিম্ন লো হিসেবে গঠিত হবে। তারপর প্রাইস উপরের দিকে যাবে।

২য় বটমঃ প্রাইস আবার ১ম বটমের কাছাকাছি যাবে। তারপর আবার উপরের দিকে যাওয়া আরাম্ভ করবে। ১ম বটম পার করে প্রাইস নিচের দিকে যেতে পারেনি আর এটা আমাদের সংকেত দিচ্ছে যে বিয়াররা দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।

নেকলাইনঃ প্রাইস পূর্বে যে রেসিস্টান্স তৈরি করেছে সেটা ব্রেক করবে।

তখন আমরা নেক লাইনের উপরে ট্রেড অর্ডার দিতে পারি। নিচের চিত্রটি দেখুনঃ

প্রাইস টার্গেটঃ ডাবল বটমের নেকলাইন ব্রেক করার পর আমাদের টার্গেট প্রাইস নির্ধারণ করতে হবে। রেসিস্টান্স থেকে বটম পর্যন্ত যে দুরত্ত সাধারনত সেটা টার্গেট প্রাইস হিসেবে নেওয়া হয়।

 

হেড এন্ড শোল্ডার: হেড এন্ড শোল্ডার প্যাটার্ন হল একটা রিভার্সাল প্যাটার্ন যেটা আপট্রেন্ডের শেষের দিকে দেখা যায়। হেড এন্ড শোল্ডার প্যাটার্ন একটা বিশ্বস্ত প্যাটার্ন যা আমাদের রিভার্সালের সংকেত দেয়। হেড এন্ড শোল্ডারের বৈশিষ্ট্য নিম্নরুপ:

ট্রেন্ডঃ প্রথমে একটা আপট্রেন্ড থাকতে হবে।

বাম শোল্ডারঃ প্রাইস যখন আপট্রেন্ডে মুভ করে তখন একটা হাই ফর্ম করে যেটা বর্তমান ট্রেন্ডের হাই হিসেবে বিবেচিত হয়। হাই ফর্ম করার পর প্রাইস নিচে নামা শুরু করে যেটা বাম শোল্ডার ফর্ম নিশ্চিত করে।

হেড বা মাথাঃ প্রথম শোল্ডারের লো থেকে প্রাইস আবার উপরের দিকে যাওয়া শুরু করে যেটা যেতে যেতে প্রথম শোল্ডারের হাইয়ের উপরে একটা হাই তৈরি করে। তারপর প্রাইস আবার পরা শুরু করে যেটা হেড ফর্মের সংকেত দিয়ে থাকে।

ডান শোল্ডারঃ তারপর প্রাইস আবার উপরের দিকে যাওয়া শুরু করে যেটা আরেকটা হাই তৈরি করে। এই হাইটা আগের (হেডের) হাইয়ের চেয়ে নিচে (লোয়ার হাই) ফর্ম করে যেটা ডান শোল্ডার ফর্ম করা নিশ্চিত করে।

নেকলাইনঃ বাম হেড এবং মাথা এর লো ২টা কে জোরা দিলে নেকলাইন তৈরি হয়। নেকলাইন সমান্তরাল অথবা বাকা হলে সমস্যা নেই। নিচের চার্টটি দেখুনঃ

প্রাইস টার্গেটঃ নেকলাইন ভাঙ্গার পরে আমাদের প্রাইস টার্গেট হবে হেড থেকে নেকলাইন পর্যন্ত।প্রাইস টার্গেট শুধুমাত্র একটা গাইড হিসেবে কাজ করে। ট্রেড করার সময় অন্যান্য ফ্যাক্টর ও বিবেচনা করতে হবে।

ইনভারস হেড এন্ড শোল্ডার: ইনভারস হেড এন্ড শোল্ডার প্যাটার্ন হল একটা রিভার্সাল প্যাটার্ন যেটা ডাউনট্রেন্ডের শেষের দিকে দেখা যায়।  ইনভারস হেড এন্ড শোল্ডার চেনার উপায়ঃ

ট্রেন্ডঃ প্রথমে একটা ডাউনট্রেন্ড থাকতে হবে।

বাম শোল্ডারঃ প্রাইস লো তৈরি করে উপরের দিকে যাবে।

মাথাঃ তারপর প্রাইস আবার নিচের দিকে যাওয়া শুরু করবে আর প্রথম লো থেকে আর নিচে লো তৈরি করবে। তারপর আবার উপরের দিকে যাওয়া শুরু করবে।

ডান শোল্ডারঃ তারপর প্রাইস আবার নিচের দিকে যাওয়া শুরু করে যেটা আরেকটা লো তৈরি করে। এই লো আগের (হেডের) লোয়ের চেয়ে একটু উপরে (হাইয়ার লো) ফর্ম করে যেটা ডান শোল্ডার ফর্ম করা নিশ্চিত করে।

নেকলাইনঃ বাম হেড এবং মাথা এর হাই ২টা কে জোরা দিলে নেকলাইন তৈরি হয়। নেকলাইন সমান্তরাল অথবা বাকা হলে সমস্যা নেই। নিচের চার্টটি দেখুনঃ

প্রাইস টার্গেটঃ নেকলাইন ভাঙ্গার পরে আমাদের প্রাইস টার্গেট হবে হেড থেকে নেকলাইন পর্যন্ত।

ওয়েজেস (Wedges): ওয়েজ প্যাটার্ন বর্তমান ট্রেন্ডে বিরতির সংকেত দিয়ে থাকে। যখন এই প্যাটার্ন ফর্ম করে তখন মনে করবেন যে মার্কেট পরবর্তীতে কন দিকে মুভ করবে সেটা নির্ধারণ করছে। এই প্যাটার্নটি ট্রেন্ড বিস্তার করবে নাকি রিভার্স করবে সেই সিগন্যাল দিয়ে থাকে।

উদীয়মান অথবা রাইসিং ওয়েজ: যখন প্রাইস উপরের দিকে উঠতে থাকে আর সাপোর্ট ও রেসিস্টান্সের মধ্যে সংকোচিত হতে থাকে, সেটাকে উদীয়মান ওয়েজ অথবা Rising Wedge বলে। প্রাইস হাইয়ার হাইয়ের চেয়ে হাইয়ার লো বেশি তৈরি করে থাকে। উদীয়মান ওয়েজ ফর্মের সময় সাপোর্ট লাইন রেসিস্টান্স লাইনের চেয়ে খাড়া হয়ে থাকে। নিচের চিত্রটি দেখুনঃ

আপট্রেন্ডের পরে যদি উদীয়মান ওয়েজ ফর্ম করে তাহলে সেটা রিভার্সালের সংকেত। আর যদি ডাউনট্রেন্ডের পরে ফর্ম করে তাহলে সেটা ট্রেন্ড বিস্তারের সংকেত দিয়ে থাকে। উদীয়মান ওয়েজ ব্রেক করলে সেটা প্রায় ওয়েজের সমান মুভ করে থাকে।
সারাংশ হল যে উদীয়মান ওয়েজ প্রাইস নিচের দিকে যাওয়ার সংকেত দিয়ে থাকে। মানে এটা একটা বিয়ারিশ প্যাটার্ন।

ফলিং ওয়েজ: উদীয়মান ওয়েজের মত ফলিং ওয়েজ ও ট্রেন্ড বিস্তার অথবা রিভার্সালের সংকেত দিয়ে থাকে। প্রাইস হাইয়ার লোয়ের চেয়ে হাইয়ার হাই বেশি তৈরি করে থাকে। ফলিং ওয়েজ ফর্মের সময় রেসিস্টান্স লাইন সাপোর্ট লাইনের চেয়ে ঢালু হয়ে থাকে। নিচের চিত্রটি দেখুনঃ

আপট্রেন্ডের পরে যদি ফলিং ওয়েজ ফর্ম করে তাহলে সেটা ট্রেন্ড বিস্তারের সংকেত দেয়। আর যদি ডাউনট্রেন্ডের পরে ফর্ম করে তাহলে সেটা রিভার্সালের সংকেত দিয়ে থাকে। ফলিং ওয়েজ ব্রেক করলে সেটা প্রায় ওয়েজের সমান মুভ করে থাকে।
সারাংশ হল যে ফলিং ওয়েজ প্রাইস উপরের দিকে যাওয়ার সংকেত দিয়ে থাকে। মানে এটা একটা বুলিশ প্যাটার্ন।

 

আয়তক্ষেত্র বা রেক্টেঙ্গেল: যখন প্রাইস ২ টা সমান্তরাল লাইনের মধ্যে দিয়ে মুভ করে তখন Rectangle ফর্ম করে থাকে। Rectangle আমাদের একটা নির্দিষ্ট সময়ে বুল এবং বিয়ারের মধ্যে দ্বিধা দেখায়। মানে কেউই ওই সময়ে প্রাইসকে নিজের পক্ষে নিতে পারেনি।নিচের চিত্রটি দেখুনঃ

যখন Rectangle ফর্ম করেছে তখন প্রাইস একটা রেঞ্জের মধ্যে মুভ করেছে যেটা একটা সমান্তরাল সাপোর্ট ও রেজিস্টান্সের মধ্যে মুভ করছে।এখানে প্রাইস সাপোর্ট ও রেজিস্টান্স কয়েকবার টেস্ট করেছে। এটা ভাঙার পর প্রাইস কোনদিকে যাবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। চলুন কি করা যায় দেখি।

বিয়ারিশ রেক্টেঙ্গেল আয়তক্ষেত্র: বিয়ারিশ Rectangle ডাউনট্রেন্ডের পরে ফর্ম করে থাকে। প্রাইস একটা রেঞ্জের মধ্য দিয়ে মুভ করে যাতে প্রাইস বারবার সাপোর্ট ও রেজিস্টান্স টেস্ট করে থাকে। এটা আশা করা ভালো যে যখন প্রাইস ব্রেক করবে তখন প্রাইস ট্রেন্ডের দিকে করবে। নিচের চার্টটি দেখুনঃ

আমরা এটাও আশা করতে পারি যে, যখন Rectangle ব্রেক করে কমপক্ষে Rectangle এর সমান মুভ করবে।

 

বুলিশ রেক্টেঙ্গেল আয়তক্ষেত্র: বুলিশ Rectangle আপট্রেন্ডের পরে ফর্ম করে থাকে। প্রাইস একটা রেঞ্জের মধ্য দিয়ে মুভ করে যাতে প্রাইস বারবার সাপোর্ট ও রেজিস্টান্স টেস্ট করে থাকে। এটা আশা করা ভালো যে যখন প্রাইস ব্রেক করবে তখন প্রাইস ট্রেন্ডের দিকে করবে। নিচের চার্টটি দেখুনঃ

আমরা এটাও আশা করতে পারি যে, যখন Rectangle ব্রেক করে কমপক্ষে Rectangle এর সমান মুভ করবে।
মনে রাখবেন যে Rectangle ব্রেকআউটের পরে যে ট্রেন্ডের দিকে যাবে, সেই রকম কোন নিশ্চয়তা দেয় না। আর আপনি প্রচুর ফলস ব্রেকআউট পাবেন। তাই ঝুকি বুঝেশুনে নিবেন।

 

পেনান্ট: পেনান্টকে একটি কন্টিনিউইয়েশন প্যাটার্ন হিসেবে গণ্য করা হয়। আপট্রেন্ড অথবা ডাউনট্রেন্ডের পরে মার্কেট দম নিতে ছোট একটা বিরতি নেয় যেখানে সেই সময় চার্টে আমরা ছোট একটা ত্রিভুজ আকৃতির প্রাইস প্যাটার্ন দেখতে পারি। আর সেটাকে আমরা পেনান্ট বলে থাকি। যখন প্রাইস পেনান্ট তৈরি করতে থাকে তখন বুল এবং বিয়াররা পরবর্তীতে প্রাইস কোন দিকে নিবে সেটা নির্ধারণ করতে থাকে। যখন প্রাইস পেনান্ট ব্রেক করে তখন প্রাইস সাধারনত ট্রেন্ডের দিকে মুভ করে থাকে। আপট্রেন্ডের অথবা ডাউনট্রেন্ডের পরে পেনান্ট ফর্ম করে থাকে। প্রাইস একটা রেঞ্জের মধ্যে সঙ্কুচিত হতে থাকে। যখন পর্যাপ্ত পরিমানে বুল অথবা বিয়ার আক্রমন শুরু করে তখন পেনান্ট ব্রেক করে আর প্রাইস ট্রেন্ডের দিকে যেতে থাকে।

অন্যান্য প্যাটার্নের মত পেনান্ট তার ফরমেশনের সমান মুভ করে না। বরং পূর্ববর্তী আপমুভ অথবা ডাউনমুভের সমান মুভ করে থাকে।

ফ্ল্যাগ প্যাটার্ন: মার্কেট যখন কোন শক্তিশালী মুভমেন্টের পরে বিরতি নেয় তখন ফ্ল্যাগ প্যাটার্ন তৈরি করে। ফ্ল্যাগ প্যাটার্ন ২টা সমান্তরাল লাইন দিয়ে গঠিত হয় যেটা সাপোর্ট ও রেজিস্টান্স হিসেবে কাজ করে। ফ্ল্যাগ প্যাটার্ন উদ্ধগামি অথবা নিম্নগামি হয়ে থাকে। যদি মার্কেট আপট্রেন্ডে থাকে তাহলে একটা একটা নিম্নগামি ফ্ল্যাগ লোয়ার লো এবং লোয়ার হাই তৈরি করে যেটা বুলিশ সংকেত দিয়ে থাকে। আর যদি মার্কেট ডাউনট্রেন্ডের পরে উদ্ধগামি ফ্ল্যাগ হাইয়ার লো এবং হাইয়ার হাই তৈরি করে তাহলে সেটা বিয়ারিশ সংকেত দিয়ে থাকে। নিচের চার্টটি দেখুনঃ

একটা ফ্ল্যাগ তৈরি হাওয়ার পর মার্কেট যখন সেটা ব্রেক করে মানে প্রাইস ফ্ল্যাগের বাইরে ক্লোজ হয় তখন ফ্ল্যাগ ব্রেক করে। এরপর আশা করা যায় যে, প্রাইস কমপক্ষে পূর্ববর্তী ট্রেন্ডের ৭০% – ১০০% মুভ করবে।

 

ট্রায়াঙ্গেল অথবা ত্রিভুজ: মাঝেমাঝে প্রাইস এমনভাবে মুভ করে যে চার্টে প্রাইস বারগুলো নির্দিষ্ট জায়গা নিয়ে ত্রিভুজ আকৃতি ধারন করে। এই ধরনের প্যাটার্নসমুহ আমাদের পরবর্তী প্রাইস মুভমেন্টের সম্বন্ধে ধারনা দিয়ে থাকে। ত্রিভুজ অথবা Triangles তিন ধরনের হয়ে থাকেঃ

১। সিমেট্রিক্যাল ত্রিভুজ (Symmetrical Triangle)

২। উদ্ধগামি ত্রিভুজ (Ascending Triangle)

৩। নিম্নগামি ত্রিভুজ (Descending Triangle)

সিমেট্রিক্যাল ত্রিভুজ: সিমেট্রিক্যাল ত্রিভুজ ২ টা ট্রেন্ডলাইন দিয়ে গঠিত হয় যা আস্তেআস্তে একটা অপরটার সাথে মিলিত হতে থাকে। যখন এটা ফর্ম করে, তখন চার্টে সাধারনত আমরা লোয়ার হাই এবং হাইয়ার লো দেখতে পারব। এর মানে হল যে মার্কেটে পর্যাপ্ত পরিমানে ট্রেডার নেই যারা প্রাইসকে কোন একদিকে নিয়ে যাবে। মার্কেট তখন একদিকে যে কোন একদিকে প্রভাবিত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করে। যখন ত্রিভুজ ব্রেক করে তখন কোন নিশ্চয়তা নেই যে প্রাইস কোন দিকে মুভ করবে। তাই এটা চিন্তা করা ভালো যে প্রাইস পূর্ববর্তী ট্রেন্ডের দিকে মুভ করবে। নিম্নের চার্টটি দেখুনঃ

চার্টে যখন আমরা ত্রিভুজ ব্রেক করে দেখি তখন আমরা ত্রিভুজের সমান মুভ আশা করতে পারি।

 

উদ্ধগামী ত্রিভুজ: উদ্ধগামী ত্রিভুজে প্রাইস রেজিস্টান্স তৈরি করবে যেটা একটা সমতল লাইন দিয়ে আকা যায়। এছাড়া প্রাইস হাইয়ার লো তৈরি করবে যেটা উদ্ধগামি ট্রেন্ডলাইন দিয়ে আকা যায়। ২টা সম্মিলিত করলে উদ্ধগামি ত্রিভুজ আকা হয়। এই প্যাটার্নের সাফল্যের হার অনেক বেশি থাকে। উদ্ধগামি ত্রিভুজের ব্রেকাউট হলে কোন দিকে যাবে সেটা নিয়ে এখন দ্বিধা রয়ে গেছে। অনেক বইতে লেখা হয়ে থাকে যে যখন ব্রেকআউট হয় তখন প্রাইস রেজিস্টান্স ব্রেক করে উপরের দিকে যায়। কিন্তু সবসময় এটা হয় না। নিচের চিত্রগুলি দেখুনঃ

প্রাইস যেকোনো দিকে ব্রেক করতে পারে। কিন্তু ব্রেক করার পর প্রাইসের তার টার্গেটে পৌঁছানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। ত্রিভুজ ব্রেক করার পরে প্রাইস সাধারনত ত্রিভুজের সমান মুভ করে থাকে।

নিম্নগামী ত্রিভুজ: নিম্নগামী ত্রিভুজ বলতে যদি আপনি চিন্তা করে থাকেন যে এটা উদ্ধগামি ত্রিভুজের উল্টা তাহলে আপনাকে বলতে হচ্ছে যে আপনি সঠিক। নিম্নগামি ত্রিভুজ সাপোর্ট এবং লোয়ার লো ট্রেন্ডলাইন সংযুক্ত করে তৈরি হয়।

উদ্ধগামি ত্রিভুজের মত নিম্নগামি ত্রিভুজও যে কোন দিকে ব্রেক করতে পারে। আর ব্রেক করলে প্রাইস ত্রিভুজের সমান মুভ করে থাকে।

চার্ট প্যাটার্ন চিটশীট (রিভার্সাল প্যাটার্ন)

চার্ট প্যাটার্ন চিটশীট (কন্টিনিউয়েশন প্যাটার্ন)

দ্বিপার্শ্বিক প্যাটার্ন

InfotakeBD

View posts by InfotakeBD
InfotakeBD is a information sharing blog, We share information for you. Please visit us and if you want to contribute for this blog please email us infotakebd@gmail.com. Thank you

Leave a Reply

Scroll to top