চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস খুবই সাধারণ ও পরিচিত একটি রোগ। ভাইরাস, ব্যকটেরিয়া বা অ্যালার্জিজনিত কারনে চোখ ওঠা রোগ হতে পারে। ভাইরাসে আক্রান্ত চোখ কিছুদিন পর ভালো হয়ে যায়। কিন্তু এটা আশপাশের অনেককেই আক্রান্ত করতে পারে। ভাইরাসের ধরণ এবং রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর রোগের স্থায়িত্ব নির্ভর করে। চোখ ওঠা রোগের কারনে কর্নিয়ায় প্রদাহ হতে পারে। সেক্ষেত্রে সময়মতো চিকিৎসাসেবা না নিলে স্থায়ীভাবে দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে। তাই জরুরিভাবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
চোখ ওঠার লক্ষণসমূহ:
১। চোখের ভেতর অস্বস্তি বা খচখচে ভাব হওয়া।
২। চোখ চুলকানো এবং চোখে জ্বালা পোড়া করা।
৩। চোখ দিয়ে অতিরিক্ত পানি পড়া।
৪। চোখের কোনায় ময়লা বা পুঁজ জমা হওয়া।
৫। চোখের পাতা ফুলে যাওয়া।
৬। চোখের সাদা অংশ লাল বা গোলাপি হয়ে যাওয়া।
৭। আলোর দিকে তাকাতে কষ্ট হওয়া।
মনে রাখা জরুরি:
১। চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস (Conjunctivitis) বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে, যেমন: ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, অ্যালার্জি, বিভিন্ন কেমিক্যাল-এর প্রভাব ইত্যাদি। ভিন্ন ভিন্ন ধরণের কনজাংটিভাইটিস (Conjunctivitis) এর লক্ষণ এবং চিকিৎসা পদ্ধতিও ভিন্ন।
২। চোখ উঠলে সব সময় সানগ্লাস পড়ে থাকুন।
৩। চোখ মোছার জন্যে রুমালের পরিবর্তে নরম ও পরিষ্কার টিস্যু ব্যবহার করুন।
৪। বাইরে থেকে এসে পরিষ্কার পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন।
৫। কখনই চোখে খালি হাত দেবেন না। হাত সব সময় পরিষ্কার এবং শুকনো রাখুন।
৬। এক চোখে কনজাংটিভাইটিস (Conjunctivitis) হলেও দুই চোখেই চোখের ড্রপ ব্যবহারের করা ভালো। এতে অপর চোখে ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
৭। এই ধরণের সমস্যায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করা। মনে রাখা প্রয়োজন ওষুধ যেমন রোগ সারায়, জীবন বাঁচায়, ঠিক তেমনি ভুল ওষুধ ব্যবহারে অঙ্গহানি হতে পারে ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে জীবন।