সাধারনত যেকোন কারনে রক্তে গ্লুকোজ বা সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় তাকে ডায়বেটিস বা মধুমেহ রোগ বলে। পৃথিবীতে মানব মৃত্যুর কারনগুলোর মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী পৃথিবীতে বর্তমানে ডায়াবেটিস এ অক্রান্ত রোগীর হার শতকরা ৮ ভাগ। এটা ২০৩০ সাল নাগাদ শতকরা ১০ ভাগে পৌঁছে যেতে পারে। ডায়বেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাধিক্য বিচারে বাংলাদেশের অবস্থান ৬ষ্ঠ। বাংলাদেশে প্রতি ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে ১ জন ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত। এই হার ধীরে ধীরে বাড়ছে। সাধারনত পরিবারের কোন সদস্যের এ রোগ থাকলে বংশানুক্রমিকভাবে অন্য সদস্যরাও এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এছাড়া অগোছালো ও যান্ত্রিক জীবন যাপন, অতিরিক্ত ওজন, উচ্চ রক্তচাপ, পরিশ্রম বিমুখতা, অনিয়ন্ত্রিত ও অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এই রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে বড়িয়ে দেয়।চলুন ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো জেনে নেই-
ডায়াবেটিসের লক্ষণ:
১। বারবার প্রস্রাব করা, বিশেষ করে প্রস্রাবের কারনে রাতে ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া।
২। অতিরিক্ত পানির তৃষ্ণা পাওয়া ও মুখ শুকিয়ে যাওয়া।
৩। ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া।
৪। কোন কারন ছাড়াই হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া।
৫। সামান্য পরিশ্রমেই ক্লান্তি ও অবসাদ বোধ হওয়া।
৬। কোন কাজের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়া, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া ও মনোসংযোগে চিড় ধরা।
৭। হাতে অথবা পায়ে অসাড়তা অনুভব করা বা শির শির করা।
৮। চোখে ঝাপসা দেখা।
৯। বারবার সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়া।
১০। শরীরের যেকোন ক্ষত শুকাতে দেরী হওয়া।
১১। মাঝে মাঝেই বমি বা পেট ব্যাথা হওয়া যা অনেক সময় খাদ্যনালীর রোগ মনে করে ভুল হতে পারে।
উপরিউক্ত উপসর্গগুলোর মধ্যে যে কোন এক বা একাধিক উপসর্গ দেখা দিলে বিলম্ব না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। যথাসময়ে সঠিক পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগ সনাক্ত করে যথাপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করলে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।