লো প্রেসার নিয়ন্ত্রণের ৫টি উপায়

রক্তচাপ কমে যাওয়া, লো প্রেসার, লো ব্লাড প্রেসার কিংবা নিম্ন রক্তচাপ নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। তবে নিম্ন রক্তচাপ নিয়ে অযথা বা অতিরিক্ত চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। কেননা এটা উ”চ রক্তচাপের চেয়ে কম ক্ষতিকর ও স্বল্পমেয়াদী সমস্যা। অনেকেই মনে করেন দুর্বল স্বাস্থ্যের অধিকারীরাই নিম্ন রক্তচাপে ভুগে থাকেন। এটা সত্য নয়। মোটা মানুষেরও নিম্ন রক্তচাপ বা লো প্রেসার থাকতে পারে। সাধারণত সিস্টোলিক রক্তচাপ ৯০ মি.মি. মার্কারি ও ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ৬০ মি.মি. মার্কারির নিচে হলে তাকে নিম্ন রক্তচাপ বলা হয় ।

নিম্ন রক্তচাপের কারন:

১। কোন কারণে পানি শুন্যতা হওয়া।

২। ডায়রিয়া বা অত্যধিক বমি হওয়া।

৩। খাবার ঠিকমতো বা সময়মত না খাওয়া।

৪। ম্যাল অ্যাবসরবশন বা হজমে দুর্বলতা।

৫। কোন দীর্ঘমেয়াদী রোগের আক্রান্ত থাকা।

৬। শরীরে হরমোনজনিত ভারসাম্যহীনতা।

৭। রক্তশুন্যতা।

৮। কোন কারনে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ।

নিম্ন রক্তচাপের লক্ষণ:

১। মাথা ঘোরা

২। বসা বা শোয়া থেকে হঠাৎ উঠে দাঁড়ালে শারীরিক ভারসাম্যহীনতা

৩। হঠাৎ জ্ঞান হারানো

৪। অস্বাভাবিক দ্র“ত হৃদস্পন্দন

চিকিৎসা:

লো ব্লাড প্রেসার বা নিম্ন রক্তচাপের কোন সুনির্দিষ্ট চিকিত্সা নেই। নিম্ন রক্তচাপের উপসর্গ অনুযায়ী চিকিত্সার প্রয়োজন পড়ে। যদি শরীরে পানি শূন্যতা ও ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতার কারণে নিম্ন রক্তচাপ হয় তাহলে শুধু খাবার স্যালাইন মুখে খেলেই লো প্রেসার ঠিক হয়ে যায়। তবে যাদের দীর্ঘ মেয়াদী নিম্ন রক্তচাপ আছে তাদের অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে করণীয়:

১। নিম্ন রক্তচাপের ভুক্তভোগীরা অনেকক্ষণ একই স্থানে বসে বা শুয়ে থাকবেন না।

২। অনেকক্ষণ ধরে বসে বা শুয়ে থাকার পর উঠার সময় সাবধানে ও ধীরে ধীরে উঠুন।

২। ঘন ঘন হালকা খাবার খান। বেশি সময় খালি পেটে থাকলে রক্তচাপ আরো কমে যেতে পারে।

৩। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।

৪। খাবার সময় পাতে এক চিমটি করে লবণ খেতে পারেন।

৫। দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় গ্লুকোজ ও স্যালাইন রাখুন।

InfotakeBD

View posts by InfotakeBD
InfotakeBD is a information sharing blog, We share information for you. Please visit us and if you want to contribute for this blog please email us infotakebd@gmail.com. Thank you

Leave a Reply

Scroll to top