টনসিলাইটসের ৭টি লক্ষণ ও করণীয়

আমাদের গলার দুই পাশে পিছনের দিকে দুটি লসিকাগ্রন্থি (Lymph Node) থাকে যাকে আমরা টনসিল বলে থাকি। টনসিল দেহে রোগ প্রতিরোধের কাজ করে থাকে। এই টনসিলে ইনফেকশন বা সংক্রমণ হলেই তাকে টনসিলাইটিস বলা হয়। টনসিলাইটিস যেকোন বয়সেই হতে পারে। তবে শিশু-কিশোরদের এটি বেশি হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা-সর্দির কারনে টনসিলাইটিস হয়। তবে অনেক সময় ব্যাকটেরিয়া জনিত ইনফেকশনের কারনেও টনসিলাইটিস হতে পারে।

টনসিলাইটিসের লক্ষণসমুহ:

১. গলা ব্যাথা,

২. ঢোক গিলতে কষ্ট হওয়া,

৩. গলায় খসখসে অনুভূতি হওয়া,

৪. জ্বর,

৫. মাথা ব্যথা,

৬. অনেক সময় কানেও ব্যথা হতে পারে,

৭. গলা ফুলে যাওয়া এবং শক্ত হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

কখন ডাক্তার দেখাবেন? 

নিচের লক্ষণসমুহ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা শুরু করতে হবে-

১. টনসিলাইটিসের কারনে যদি শ্বাসকষ্ট হয়।

২. জ্বরের মাত্রা যদি ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যায়।

৩. দু্ই দিন পার হওয়ার পরও যদি গলা ব্যথা না সারে।

৪. মাংসপেশির দুর্বলতা অনুভূত হয়।

৫. টনসিলাইটসের কারনে গলা শক্ত হয়ে আসে।

গলা ব্যথা কমাতে করনীয়:

১. কুসুম গরম পানিতে অল্প লবন মিশিয়ে গড়গড়া করতে হবে।

২. প্রচুর পরিমানে গরম তরল পানীয় যেমন: চা, কফি বা স্যুপ পান করুন।

৩. ধূমপান, ধোঁয়া, ধূলাবালি ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন।

৪. প্রচুর পরিমাণে বিশ্রাম নিন।

ভাইরাসজনিত টনসিলাইটিস সাধারণত ৭-১০ দিনের মধ্যে এমনিতেই সেরে যায়। এর জন্য কোন চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। তবে ব্যাক্টেরিয়া জনিত ইনফেকশনের কারনে টনসিলাইটিস হলে অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শমত অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে হবে। প্রয়োজনে অপারেশনও লাগতে পারে।

InfotakeBD

View posts by InfotakeBD
InfotakeBD is a information sharing blog, We share information for you. Please visit us and if you want to contribute for this blog please email us infotakebd@gmail.com. Thank you

Leave a Reply

Scroll to top