সুস্থ ও সুন্দর হাসির অধিকারী হতে কে না চায়? এই সুন্দর হাসির জন্য চাই সুস্থ ও মজবুত দাঁত। একটি ছোট শিশুও সামনের পাটির দাঁত পড়ে গেলে হাসতে লজ্জা পায়। দাঁতের সাহায্যেই আমরা খাবার খেয়ে থাকি। তাই নিয়মিতভাবেই দাঁতের যত্ন নেয়া উচিত। দাঁতকে সুস্থ ও মজবুত রাখতে টুথব্রাশ এর ভূমিকাই সর্বাধিক। এজন্য চাই একটি সঠিক আকারের টুথব্রাশ ও সঠিক নিয়মে টুথব্রাশের যত্ন।
টুথব্রাশ কেমন হওয়া উচিত:
আকার: টুথব্রাশ এর মাথা ১ ইঞ্চি দীর্ঘ এবং প্রস্থ আধা ইঞ্চি হতে হবে। এর চাইতে বড় হলে তা মুখগহ্বরের ভেতরের দাঁতগুলোতে পৌঁছাবে না। ফলে দাঁত ঠিকমত পরিষ্কার হবে না। টুথব্রাশ এর হাতলটি এমন হতে হবে যেন ধরতে আরামদায়ক হয়।
ব্রিসল: টুথব্রাশ এর ব্রিসল হতে হবে নরম ও নাইলন এর তৈরি। শক্ত ব্রিসল ব্যবহার করলে দাঁতের এনামেল ও মাড়ির ক্ষয় হতে পারে।
টুথব্রাশের যত্নে করণীয়:
১। টুথব্রাশ ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাসসহ বিভিন্ন রোগজীবাণুর আবাসস্থল। তাই ব্যবহারের পর টেপ বা কলের পানির ধারায় ভাল করে ধুয়ে, পানি ঝরিয়ে, বাতাসে শুকিয়ে তা লম্বালম্বি দাঁড় করিয়ে রাখতে হবে। টুথব্রাশ কখনোই বদ্ধ হোল্ডারে রাখা যাবে না।
২। ফ্লু ভাইরাস প্রবেশ রোধে পরিবারের প্রত্যেক সদস্যদের টুথব্রাশ আলাদা করে সংরক্ষণ করতে হবে। প্রত্যেক সদস্যের টুথব্রাশ আলাদা আলাদা করে সংরক্ষণ করাই স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ।
৩। অধিকাংশ দন্ত চিকিৎসক তিন মাস অন্তর অন্তর টুথব্রাশ পরিবর্তন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। গবেষণায় দেখা গেছে একটি টুথব্রাশ তিন মাস ব্যবহারের পর এর ব্রিসল এমনিতেই বাঁকা হয়ে নষ্ট হয়ে যায় কিংবা ছিঁড়ে যায়। তাছাড়া পুরনো টুথব্রাশ অপেক্ষা নতুন টুথব্রাশ দাঁতের প্লাক পরিষ্কারে বেশি কার্যকর।
৪। আমরা অনেকেই সর্দি কাশি, গলা ব্যথা, টনসিল ফুলে যাওয়া, মুখের ঘা ইত্যাদি সমস্যায় ভুগে থাকি। এই সব সমস্যায় আক্রান্ত হবার পরে, ভাল হয়ে যাবার পর অবশ্যই টুথব্রাশ পরিবর্তন করতে হবে। নয়ত টুথব্রাশের ব্রিসলে লুকিয়ে থাকা রোগজীবাণু পুনরায় একই ইনফেকশন বা সয়ক্রমণ সৃষ্টি করবে।
৫। ছোটদের টুথব্রাশের ব্রিসল তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় ও ছিঁড়ে যায়। তাই বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অনেকসময় তিন মাসের আগেই টুথব্রাশ পাল্টে দিতে হয়।
৬। টুথব্রাশ কখনও অন্য কারো সাথে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করা যাবে না। নিজের টুথব্রাশ নিজেকেই ব্যবহার করতে হবে এবং এর যত্ন নিজেকেই নিতে হবে।