বাংলাদেশের জাতীয় বিষয়াবলি
# জাতীয় সংগীত:
– ‘আমার সোনার বাংলা’ কবিতাটিতে চরণ – ২৫ টি চরণ।
– ‘আমার সোনার বাংলা’ কবিতার প্রথম ১০ টি চরণ বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গৃহীত হয়।
– ২০০৬ সালে বিবিসির শ্রোতা জরিপে শ্রেষ্ঠ বাংলা নির্বাচিত হয় – বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা’।
– আমাদের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
– আমার সোনার বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গৃহীত হয় – ৩ মার্চ ১৯৭১, বাংলাদেশের ঘোষণাপত্রে।
– কোন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীতের – প্রথম চার লাইন বাজানো হয়।
– জাতীয় সঙ্গীত সংগৃহীত হয়েছে – গীতবিতানের স্বরবিতান অংশভুক্ত স্বদেশ নামক পর্যায়ের একটি গান থেকে।
– জাতীয় সঙ্গীতের প্রথম অনুবাদক – সৈয়দ আলী আহসান।
– প্রথম ‘আমার সোনার বাংলা’ প্রকাশিত হয় – বঙ্গদর্শন পত্রিকায় ১৯০৫ সালে।
# রণসঙ্গীত :
– বাংলাদেশের রণ সঙ্গীতের রচয়িতা ও সুরাকার – জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
– বাংলাদেশের রণসঙ্গীত প্রথম যে পত্রিকায় প্রকাশিত হয় – বাংলা ১৩৩৫ সালে, শিখা পত্রিকায়।
# জাতীয় প্রতীক :
– জাতীয় প্রতীক ব্যবহারের অধিকারী – রষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
– জাতীয় প্রতীক মন্ত্রিপরিষদ সভায় অনুমোদন লাভ করে – ২৮ ফেব্রুয়ারি।
– জাতীয় প্রতীক সম্পর্কে যে অনুচ্ছেদে বর্ণনা করা হয়েছে – ৪(৩) অনুচ্ছেদে।
– বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক – উভয় পার্শ্বে ধানের শীষ বেষ্টিত পানিতে ভাসমান জাতীয় ফুল শাপলা, তার শীর্ষদদেশে তিনটি পরস্পরযুক্ত পাট পাতা, তার উভয় পার্শ্বে দুটি করে তারা।
– বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকের ডিজাইনার – কামরুল হাসান।
# রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম :
– বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় মনোগ্রামের ডিজাইনার – এ এন এ সাহা।
– বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম – লাল রঙের বৃত্তের মাঝে হলুদ রঙের বাংলাদেশের মানচিত্র। বৃত্তের ওপর দিকে লেখা ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ নিচে লেখা ‘সরকার’ এবং বৃত্তের দুই পাশের দুটি করে মোট ৪ টি তারকা।
# জাতীয় পতাকা :
– ‘আমার সোনার বাংলা প্রথম গাওয়ার সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় – ৩ মার্চ ১৯৭১, পল্টন।
– কলকাতাস্থ হাইকমিশনে যিনি পতাকা উত্তোলন করেন – ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল কলকাতাস্থ পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনারের প্রধান জনাব এম হোসেন আলী।
– জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকে – শহীদ, জাকীয় শোক দিবস এবং সরকার কর্তৃক পজ্ঞাপিত অন্য যেকোন দিন।
– জাতীয় পতাকা থেকে মানচিত্র বাদ দেয়া সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি হয় – ৪ জানুয়ারি ১৯৭২।
– জাতীয় পতাকা সর্বপ্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করা হয় – ২৩ মার্চ ১৯৭১।
– জাতীয় পতাকার নকশা প্রথম তৈরি করেন – শিব নারায়ণ দাস।
– প্রথম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন – ডাকসু ভিপি আ স ম আব্দুর রব।
– জাতীয় পতাকা দিবস – ২ মার্চ।
– বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রথম উত্তোলন করা হয় – ২ মার্চ ১৯৭১।
– বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রথম প্রথম উত্তোলন করা হয় – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক ছাত্র সভায়।
– বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রং – গাঢ় সবুজের মাঝে লাল বৃত্ত।
– বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রূপকার – কামরুল হাসান।
– বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সাথে মিল রয়েছে – জাপান ও পালাউ।
– বাংলাদেশের জাতীয়েপতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত – ১০ : ৬ বা ৫ : ৩।
– বাংলাদেশের বর্তমান জাতীয় পতাকা গৃহীত হয় – ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি।
– বাংলাদেশের বাইরে কোথায় সর্বপ্রথম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উক্তোলন করা হয় – কলকাতাস্থ পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনে।
– বাংলাদেশের মানচিত্র প্রথম আকেন – মেজর জেমস রেনেল।
– বাসবভন, নৌযান, গাড়ি ও বিমানে চাতীয় পতাকা ব্যবহার করতে পারেন – রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
– মানচিত্র খচিত বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা আকেন – শিব নারায়ণ দাস।
– শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন – ধানমন্ডিস্থ নিজ বাসভবনে, ২৩ মার্চ ১৯৭১ সালে।
– সংবিধানের ৪(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রং, – সবুজ ক্ষেত্রের উপর স্থাপিত রক্তবর্ণের একটি ভরাট বৃত্ত।