মূল্যবোধের শিক্ষার গুরুত্ব :
মূল্যবোধের ভূমিকা বিবেচনা করলেই সামাজিক ও জাতীয় আদর্শ গঠন এবং ব্যক্তিগত ও নাগরিক জীবনে মূল্যবোধের শিক্ষার গুরুত্ব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক কাঠামোর ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি সাধিত হলেও মানুষের মূল্যবোধ দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। মূল্যবোধের শিল্পের অভাবে আদিম স্বার্থপরতা, সংঘাত ও হিংসাত্মক কার্যক্রম দেখা দিচ্ছে যা মানব সমাজের অবনতির ইঙ্গিত দেয়। নতুন করে সভ্যতার পত্তনের জন্য মূল্যবোধের শিক্ষা চালু করা খুবই জরুরি। সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সংরক্ষণ এবং তা পরবর্তী প্রজন্মে স্থানান্তরিত করা একমাত্র মূল্যবোধের শিক্ষার মাধ্যমেই সম্ভব। মূল্যবোধের শিক্ষা ইতিবাচক জনশিক্ষা ও আদর্শের গঠন ও শক্তিশালীকরণের কাজে সাহায্যে করে। একজন সত্য মানুষের সামাজিক দক্ষতা থাকা আবশ্যক। তাকে সমাজের অন্য মানুষের সাথে স্বল্পস্থায়ী বা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক বজায় রাখতে হয়। এজন্য তাকে সব শ্রেণির মূল্যবোধ সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে। মূল্যবোধের শিক্ষা একজন ব্যক্তিকে সমাজ, রাষ্ট্রে ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনের জন্য তৈরি করে দেয়। মূল্যবোধের গতানুগতিক শিক্ষা আধুনিক সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না। সামাজিক মূল্যবোধ সমাজ ও রাষ্ট্রে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরির মাধ্যমে জাতীয় উন্নতি ত্বরান্বিত করতে পারে। মূল্যবোধের শিক্ষা মানুষকে তার স্বজাত্যবোধ জাতীয় বিষয়াবলী ও দায়িত্ব কর্তব্য জ্ঞান প্রদান করছে যা জাতীয় উন্নতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যার দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক তার কর্মও হবে ইতিবাচক, তাই ইতিবাচক মূল্যবোধের শিক্ষার বিস্তার ঘটাতে পারলে জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় উন্নতি সম্ভবপর হবে।