সুশাসনের প্রচলিত ধারণা

সুশাসনের প্রচলিত ধারণা

সুশাসন একটি আধুনিক ধারণা । জনগণের অংশগ্রহণমূলক প্রতিষ্ঠিত আইনের শাসন ও অবাধ তথ্যপ্রবাহের সাথে সাথে জনগণের উন্নত সেবা পাওয়ার অধিকার হল সুশাসন। প্রশাসনের জবাবদিহিতা, বৈধতা, স্বচ্ছতা অংশগ্রহণের সুযোগ, উন্মুক্ত, বাক স্বাধীনতা সহ সকল রাজনৈতিক স্বাধীনতা, সুরক্ষিত ও স্বাধীন বিচার বিভাগ, আইনের শাসনের উপস্থিতি, আইনসভার নিকট শাসন বিভাগের জবাবদিহিতার নীতি কার্যকর থাকলে সে শাসন ব্যবস্থাকে সুশাসন বলা যায়।

বিবর্তনের বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করে আধুনিক কল্যাণরাষ্ট্রের ধারনার সাথে সুশাসন ধারণাটি বিস্তৃতি লাভ করেছে। কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে-রাষ্ট্র জনগণের বন্ধু ও পরিচালকে পরিণত হয়েছে। এখন রাষ্ট্রের মুখ্য লক্ষ্য হয় জনগণের কল্যাণসাধন। এজন্য প্রয়োজন হয় সুশাসনের। সুশাসন হল শাসনব্যবস্থার উন্নতর ধারণা ও নবতর সংস্করণ। ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংক শাসন শব্দের পূর্বে সু-প্রত্যয় যোগ করে সুশাসন ধারণার উদ্ভব ঘটায়, যার অর্থ- নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী শাসন। ২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের চারটি স্তরের কথা উল্লেখ করে। যথা- ১. দায়িত্বশীলতা; ২. স্বচ্ছতা; ৩. আইন কাঠামো ও ৪. অংশগ্রহণ।

InfotakeBD

View posts by InfotakeBD
InfotakeBD is a information sharing blog, We share information for you. Please visit us and if you want to contribute for this blog please email us infotakebd@gmail.com. Thank you

Leave a Reply

Scroll to top