মূত্রনালীর সংক্রমণ খুবই পরিচিত রোগ। রোগটি জীবাণু বাহিত এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশি হয়ে থাকে। মেয়েদের মূত্রনালীর দৈর্ঘ্য ছোট হওয়াতে তারা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয় বলে ধারণা করা হয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। পুরুষদের মাঝে এই রোগের প্রবণতা কম। তবে পুরুষদের প্রোস্টেট গ্রন্থির আকার বৃদ্ধির ফলে মূত্রনালীর সংক্রমণ হতে পারে।
মূলত শরীরের বাহির থেকে মূত্রনালী দিয়ে জীবাণু প্রবেশ করে সংক্রমণ বা ইনফেকশন সৃষ্টি করে। মূত্রনালীর সংক্রমণ তেমন জটিল রোগ নয়। ঠিকমত চিকিৎসা করালে এটা ভালো হয়ে যায়।। তবে চিকিৎসা না করালে এটা চরম আকার ধারন করতে পারে। এমনকি মূত্রনালীতে সংক্রমণের কারনে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিডনির কার্যক্ষমতাও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
লক্ষণসমূহ:
কিছু উপসর্গ দেখে মূত্রনালীর সংক্রমণ বুঝা যায়। এই উপসর্গগুলো দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। যেমন:
১. প্রস্রাবে জ্বালা পোড়া বা ব্যথা হওয়া
২. ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া
৩. তলপেটে ব্যথা
৪. দুর্গন্ধযুক্ত ও ঘোলাটে প্রস্রাব
৫. প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া
৬. কাঁপুনিসহ জ্বর
৭. বমি বা বমির ভাব হওয়া
৮. প্রস্রাব করার পর আবার প্রস্রাব হবে এমন ভাবের উদ্রেক হওয়া।
প্রতিরোধের উপায়:
কিছু নিয়ম মেনে চললে মূত্রনালীর সংক্রমণ সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব:
১. পর্যাপ্ত পানি পান করা। দিনে কমপক্ষে ২ লিটার পানি গ্রহণ করা উচিত।
২. প্রস্রাবের বেগ হলে চেপে না রাখা
৩. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখা
৪. নিরাপদ দৈহিক মিলন
৫. সহবাসের পূর্বে ও পরে প্রস্রাব করা।