খুশকি প্রতিরোধে ৫টি করণীয়

শীত এলেই বেড়ে যায় খুশকির সমস্যা। অনেকে বিষয়টি নিয়ে বেশ বিব্রত বোধ করে থাকেন। আবার অনেকেই খুশকি দূর করতে না পারায় মন খারাপ করে থাকে। খুশকি মূলত আমাদের মাথার ত্বকের মৃত কোষ। স্বাভাবিকভাবেই এই মৃত কোষগুলো ঝরে পড়তে পারে। তবে তা সাধারণত তেমন দৃশ্যমান নয়। কিন্তু এই মৃত কোষগুলো যখন অতিরিক্ত মাত্রায় ঝরা শুরু করে তখনই তা বিরক্তির উদ্রেক ঘটায়। এর সাথে যদি চুলকানি ও চুল পড়ার মত উপসর্গ দেখা দেয় তবে তো কথাই নেই। মূলত বয়ঃসন্ধিকালেই খুশকি সমস্যার সূচনা হয় এবং সাধারণত বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তা কমে যায়। নারী পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই খুশকির প্রাদুর্ভাব লক্ষণীয়।

খুশকি কেন হয়:

খুশকির অন্যতম প্রধান কারণ ত্বকের শুষ্কতা। শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের আর্দ্রতা কেড়ে নেয়। ত্বক হয়ে যায় শুষ্ক ও মলিন। এই কারনে শীতকালে খুশকির প্রাধান্য দেখা যায়। এছাড়া খুশকির আরো কিছু উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে-

১. অপরিষ্কার থাকা

২. অগোছালো জীবনযাপন

৩. অতিরিক্ত শ্যাম্পু করা

৪. একজিমা (Eczema)

৫. সোরিয়াসিস (Psoriasis)

৬. অতিরিক্ত প্রসাধনী সামগ্রীর ব্যবহার

৭. বিভিন্ন প্রসাধনীর এ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া।

প্রতিরোধে করণীয়:

১. শীতকালে আমরা প্রায় সবাই গরম পানি দিয়ে গোসল করে থাকি। যার ফলে মাথার ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। খুশকি থেকে বাঁচতে হলে মাথার ত্বকে গরম পানি লাগানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

২. প্রসাধনী ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। শ্যাম্পু কিংবা তেলের উপাদানে এ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তা সাথে সাথে ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে।

৩. শ্যাম্পুর অধিক ব্যবহার যেমন ক্ষতিকর তেমনি স্বল্প ব্যবহারও ভালো নয়। অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহারে মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। আবার শ্যাম্পু স্বল্প ব্যবহার করলে মাথায় ময়লা জমতে পারে। খুশকি প্রতিরোধে মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখা খুব জরুরি।

৪. মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে তেলের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তেল ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে ভালো ভূমিকা পালন করে। বহু পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ক্যাস্টর অয়েল মাথায় ব্যবহার করা যেতে পারে। এটা একই সাথে খুশকি দূল করে, চুল পড়া প্রতিরোধ করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। ক্যাস্টর অয়েল ভারী বিধায় সাধারণ তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।

৫. বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান (যেমন: মেথি, নিমপাতা, লেবুর রস, মেহেদি, পেঁয়াজের রস ইত্যাদি) থেকে তৈরি বিভিন্ন ধরনের হেয়ার প্যাক ব্যবহারেও খুশকি দূর হয়।

প্রতিকার:

খুশকি প্রতিরোধে বাজারে বেশ কিছু খুশকিনাশক শ্যাম্পু পাওয়া যায়। এসব শ্যাম্পুর প্রধান উপাদান ২% কিটোকোনাজল। এসব শ্যাম্পু ব্যবহার করে উপকার পাওয়া যায়। তবে সপ্তাহে দুই-তিনদিনের বেশি এসব শ্যাম্পু ব্যবহার করা ঠিক নয়। সমস্যঅ জটিল হলে খুশকিনাশক শ্যাম্পু ব্যবহারে তেমন কোন উপকার নাও পাওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ কিংবা অভিজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

InfotakeBD

View posts by InfotakeBD
InfotakeBD is a information sharing blog, We share information for you. Please visit us and if you want to contribute for this blog please email us infotakebd@gmail.com. Thank you

Leave a Reply

Scroll to top