ওভারি বা ডিম্বাশয়ের সিস্টের ৫টি কারন ও প্রতিকার

ওভারি বা ডিম্বাশয়ের সিস্টের ৫টি কারন ও প্রতিকার

ওভারি বা ডিম্বাশয়ের সিস্ট মেয়েদের খুবই পরিচিত রোগ। আমাদের দেশ অনেক নারীই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। সিস্ট ও ক্যান্সার এক নয়। তবে অনেকেই সিস্ট হলে ক্যান্সার ভেবে ভয়ে পেয়ে যান। যদিও ওভারির সিস্ট থেকে ক্যান্সার হতে পারে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে প্রায় ৯৫ ভাগ ওভারিয়ান সিস্ট ক্যান্সার রোগ করে না। অধিকাংশ সিস্টই স্বাভাবিক মাসকের সময় বা রজঃচক্রে তৈরি হয়। এরা স্বাভাবিক ভাবেই দুই বা তিন রজঃচক্রের মধ্যে ভালো হয়ে যায়।

কারণঃ

১. ডিম্বাশয় থেকে ডিম না ফুটলে অথবা ডিম ফোটার পরও ফলিকলগুলো চুপসে না গেলে সিস্ট হতে পারে।

২. বংশগত কারণে ওভারিতে সিস্ট হতে পারে।

৩. দেহে হরমোন জনিত ভারসাম্যহীনতা থাকলে।

৪. শরীরের ওজন বেশি হলে।

৫. বন্ধ্যাত্ব রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ সেবনেও সিস্ট হতে পারে।

লক্ষন

১. মাসিকের কিছুদিন আগে থেকে তলপেটে ব্যথা।

২. মাসিকের সময়ে তলপেটে অতিরিক্ত ব্যথা।

৩. মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত কিংবা বার বার মাসিক হওয়া।

৪. মাসিকের সময় বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৫. মাসিকের সময় ওজন বেড়ে যাওয়া।

৬. দীর্ঘদিন যাবত সন্তান না হওয়া।

রোগ নির্ণয়

ওভারি বা ডিম্বাশয়ের সিস্ট নির্ণয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়। এ ছাড়া সিটি স্ক্যান, এমআরআই, হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করা এবং ল্যাপারোস্কোপি পরীক্ষাও করা হয়। বেশি বয়সী মহিলাদের ক্ষেত্রে টিউমার মার্কার ( সিএ ১২৫) পরীক্ষা করতে হয়।

চিকিৎসা

১. অধিকাংশ ওভারিয়ান সিস্ট এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। তেমন কোন চিকিৎসার দরকার হয় না।

২. মাসিক বন্ধ হয়ে যাবার পরে মহিলাদের এই সমস্যা হলে তা গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। কেননা সেক্ষেত্রে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি থাকে। রজঃনিবৃত্তির পরে এই ধরনের সমস্যা হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

৩. যেসব মহিলার হরমোনের কারনে বিশেষ করে থাইরয়েড হরমোনের স্বল্পতা রয়েছে তাদের হরমোন থেরাপি দিতে হবে।

৪. সাধারন ব্যাথায় প্যারাসিটামল বা ক্লোফেনাক জাতীয় ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ঘন ঘন এই সমস্যা হলে অথবা সিস্ট বড় হয়ে গেলে সার্জারির দরকার হবে।

প্রতিকার

১. ওজন যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রনে রাখা।

২. নিজ উদ্যোগে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো।

৩. যদি বংশে কারও থাকে তাহলে ঝুঁকি বেশি থাকে। সেক্ষেত্রে নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে।

৪. সন্তান গ্রহণের সময়ে যথাসম্ভব সতর্ক থাকতে হবে।

InfotakeBD

View posts by InfotakeBD
InfotakeBD is a information sharing blog, We share information for you. Please visit us and if you want to contribute for this blog please email us infotakebd@gmail.com. Thank you

Leave a Reply

Scroll to top