সেরাম ক্রিয়েটিনিন খুবই পরিচিত রক্ত পরীক্ষা। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ডাক্তাররা প্রায়ই এই পরীক্ষাটি করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিডনির কার্যকারিতা দেখার জন্য পরীক্ষাটি করা হয়। ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে কিডনি ঠিকমত কাজ করছে না। ক্রিয়েটিনিন কমানোর কোনো ওষুধ নাই। মূলত কিছু বিশেষ রোগ হলে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। যেসব রোগের কারনে ক্রিয়েটিনিন বাড়ে সেসব রোগের চিকিৎসা করালেই ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এজন্য ক্রিয়েটিনিন বেড়ে গেলে আগে সংশ্লিষ্ট রোগের চিকিৎসা করাতে হবে। যেমন:
১. ডায়াবেটিস থেকে ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি রোগ হয়। এতে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
২. ব্লাডপ্রেসার বা রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় না থাকলে কিডনি রোগ হতে পারে। সেক্ষেত্রে ব্লাডপ্রেসার বা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৩. কিডনিতে সংক্রমণের দরুন গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস রোগ হতে পারে। এই রোগের কারনে থেকে ক্রনিক কিডনি ডিজিস (CKD) হতে পারে। সেক্ষত্রে গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস রোগের চিকিৎসা করাতে হবে।
ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে গেলে করণীয়:
১. ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা নিতে হবে। চিকিৎসা যত দ্রুত নেয়া হবে তত ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব হবে।
২. তরুণ-তরুণীরা যদি কিডনি রোগী রোগে আক্রান্ত হয় এবং তাদের ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেশি থাকে তবে কিডনি প্রতিস্থাপন (ট্রান্সপ্লান্ট) করাটাই তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা।
৩.বয়স্ক এবং একাধিক রোগে আক্রান্তদের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কন্টিনিউয়াস অ্যামবুলেটরি পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস (CAPD) করাটাই উত্তম।
৪.মাঝ বয়সী এবং কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করাতে অক্ষম রোগীদের ক্ষেত্রেও ডায়ালাইসিস-ই ভালো চিকিৎসা।