সুশাসন সম্পর্কিত বিবিধ তথ্যাবলী
• সুশাসনের ইংরেজি প্রতিশব্দ : Good Governance।
• সুশাসনের ধারণার উদ্ভাবক : বিশ্বব্যাংক।
• সুশাসনের ধারণা উদ্ভাবিত হয় : ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে।
• সুশাসনের অর্থ : নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী শাসন।
• সুশাসনের ধারণা হল : বহুমাত্রিক।
• বর্তমান সময়ের প্রায় সব রাষ্ট্রই : কল্যাণকর রাষ্ট্র।
• সুশাসন কখনো ঘটে না : আকস্মিকভাবে।
• সুশাসন প্রতিষ্ঠার সমস্যা : ২২টি।
• আমলাদের নিজেদের মৌলিক শর্ত : তিনটি।
• দেশে অরাজকতা দেখা যায় : সরকারের অদক্ষতা, অব্যবস্থাপনা ও ভুল সিদ্ধান্তের কারণে।
• আইনের শাসনের জন্য প্রয়োজন : ন্যায়পরায়ণ আচরণ, নিপীড়নমুক্ত স্বাধীন পরিবেশ ও নিরপেক্ষ ও স্বাধীন বিচার বিভাগ।
• যথার্থ নীতি প্রণয়নে সরকারের দক্ষতা, সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং তা শক্ত হাতে কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন, সমান সেবা বিতরণ, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন।
• আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তৎপর হওয়া, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদান করা হল : দক্ষ সরকারের বৈশিষ্ট্য।
• সুশাসনের বড় অন্তরায় : দুর্নীতি।
• রাষ্ট্রের প্রাণশক্তিতে নিঃশেষ করছে : দুর্নীতির রাহুগ্রাস।
• সম্পদের অপচয় হয়, বণ্টনে অসমতা সৃষ্টি এবং আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে : দুর্নীতির কারণে।
• রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করে : দুর্নীতি।
• উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের অধিকাংশ দলে নেই : গণতান্ত্রিক চর্চা।
• অধস্তন নেতারা মেনে নিতে বাধ্য : নেতাদের কথা।
• উন্নয়নশীল দেশের রাজনৈতিক রাজনৈতিক দলের বৈশিষ্ট্য : ব্যক্তিপূজা।
• নেতারা হন : স্বেচ্ছাচারী মনোভাবের।
• রাজনীতিতে সামরিক হস্তক্ষেপ দেখা দেয় : এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকায়।
• গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলা হয় : সামরিক শাসনে।
• নিয়োগ, বদলি, পদায়ন, সুযোগ-সুবিধা বণ্টন, স্থান, পদবি, খেতাব প্রদানে দেখা যায় : স্বজনপ্রীতি।
• স্বজনপ্রীতির আশ্রয় গ্রহণ করে সরকার বা গোষ্ঠী।
• দক্ষ, যোগ্য ও মেধাবী ব্যক্তিদের সেবা থেকে রাষ্ট্র বঞ্চিত হয় : স্বজনপ্রীতির কারণে।
• সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সহায়ক : স্বাধীন বিচার বিভাগ।
• বিচার বিভাগে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বৃদ্ধি পায় : স্বাধীন বিচার বিভাগ না থাকলে।
• আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার সুযোগ বিনষ্ট হয় : বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অভাবে।
• সুশাসন প্রতিষ্ঠার ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার সুযোগ বিনষ্ট হয় : বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অভাবে।
• সুশাসন প্রতিষ্ঠার শেষ সুযোগও হাতছাড়া হয় : বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অভাবে।
• প্রশাসনে জনগণের অংশগ্রহণ বা মতামত প্রদানের সুযোগের অভাব, জনগণের সাথে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষের সম্পর্কের অভাব গণমুখী প্রশাসন গড়ে তোলার অভাব, স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী ও কার্যকর না করার কারণে সংকীর্ণ হয় : সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথ।
• সংসদীয় গণতন্ত্রে অপরিসীম গুরুত্ব : আইনসভার।
• দেশের প্রশাসনিক কাজ কর্ম পরিচালিত হয় : আইনসভা প্রণীত আইনের আলোকে।
• জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি : আইনসভার সদস্যগণ।
• জাতীয় সংসদ অকার্যকর হওয়ার কারণ : সংসদ সদস্যদের সংসদ বর্জন।
• সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথে বড় বাধা : দারিদ্র্য।
• দারিদ্র ও অশিক্ষিত জনগণের মধ্যে দেখা যায় : সচেতনতার অভাব।
• দরিদ্র ও অসচেতন জন গণ সুশাসন প্রতিষ্ঠার উপায় সম্পর্কে : অজ্ঞ ও উদাসীন।
• সুশাসন প্রতিষ্ঠার অন্যতম শর্ত : শক্তিশালী, দক্ষ ও কার্যকর স্থানীয় সরকার।
• রাজনীতিতে জনগণের অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয় ও নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে : কার্যকর স্থানীয় সরকার দ্বারা।
• সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রগুলোতে স্থানীয় সরকার কাঠামো : খুবই দুর্বল ও অকার্যকর।
• গণতন্ত্রের সফলতার মূল শক্তি : জনগণের সচেতনতা।
• নাগরিক অধিকারের সর্বশ্রেষ্ঠ রক্ষাকবচ : জনগণের সজাগ দৃষ্টি।
• সুশাসনের চাবিকাঠি : সচেতনতা।
• সরকার প্রশাসন যন্ত্র স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠে। : জনগণ সচেতনতা না হলে।
• এক বিভাগ কর্তৃক অন্য বিভাগের ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে রক্ষা করা যায় : ক্ষমতার ভারসাম্য।