প্রোটিন লুজিং এন্টারোপ্যাথি খুব পরিচিত কোন অসুখ নয়। এই অসুখে মূলত শরীর থেকে প্রোটিন বের হয়ে যায়। আমাদের দেহে প্রোটিন সরাসরি রক্তে শোষণ হয় না। তার বদলে ক্ষুদ্রান্ত্রে শোষণ হয়। প্রোটিন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণু এমাইনো এসিড দিয়ে তৈরি হয়। এমাইনো এসিড অন্ত্রের মিউকোসা পার হয়ে রক্তে চলে যায়। প্রোটিন লুসিং এন্টারোপ্যাথি বলতে মূলত অন্ত্র বা খা্দ্যনালীর সমস্যার কারনে শরীর থেকে প্রোটিন বের হয়ে যাওয়াকে বুঝায়।
রোগের কারন:
প্রোটিন লুজিং এন্টারোপ্যাথির বিভিন্ন কারণ আছে। যেমন:
১। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ
২। পরজীবীর সংক্রমণ
৩। সিলিয়াক স্প্রু রোগ
৪। ক্রনস ডিজিজ
৫। লিম্ফোমা
৬। HIV ভাইরাসের সংক্রমণ ইত্যাদি।
লক্ষণ বা উপসর্গ:
প্রোটিন লুজিং এন্টারোপ্যাথিতে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। এছাড়া যেসব রোগের কারণে প্রোটিন লুজিং এন্টারোপ্যাথি হয় সেসব অসুখের উপসর্গও সাথে থাকতে পারে। লক্ষণগুলো হচ্ছে-
১। ডায়রিয়া
২। শরীর ফুলে যাওয়া
৩। পেট ব্যথা
৪। জ্বর
৫। বিভিন্ন ভিটামিনের অভাব জনিত উপসর্গ
৬। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া ইত্যাদি।
রোগ নির্ণয়:
বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে প্রোটিন লুজিং এন্টারোপ্যাথি নির্ণয় করা যায়।
১। শিরায় বিশেষ ধরনের অ্যালবুমিন দিয়ে মলে পরীক্ষা করলে নিশ্চিত ভাবে রোগটি ধরা যায়। তবে এটি ব্যয়বহুল। সব জায়গায় হয়ও না। তাছাড়া বিকিরণের ঝুঁকি থাকে।
২। মলে আলফা ওয়ান এন্টিট্রিপসিন মেপেও ডায়াগসিস করা যায়।
৩। এন্ডোস্কোপি করে বায়োপথি নিয়েও ডায়াগনসিস সম্ভব। আরো কিছু পরীক্ষা করা হয় অন্য অসুখ আছে কিনা তা জানার জন্য।
চিকিৎসা:
যে কারণে প্রোটিন লুজিং এন্টারোপ্যাথি হচ্ছে তা দূর করলে রোগটি ভাল হয়। তবে চিকিৎসা সহজ নয়। লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।