চোখ ভালো রাখার ৫টি উপায়

চোখ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। চোখের মাধ্যমেই আমরা দেখছি সুন্দর এই পৃথিবীকে। তাই চোখের সুস্থতা অতীব জরুরি। অবস্থানগত কারনেই চোখ সব সময় সুরক্ষিত থাকে। বাইরে থেকে যেটুকু দেখা যায়, সেটুকুও চোখের পাতা দিয়ে ঢাকা থাকে। এছাড়া আইলেশ ও আইভ্রু চোখকে ধুলো-ময়লা থেকে রক্ষা করে। চোখের পানি সাধারণত ধূলা-বালি ও রোগজীবাণু ধুয়ে ও ধ্বংস করে চোখকে সুস্থ রাখে। চোখ ভালো রাখার কয়েকটি সহজ উপায় হচ্ছে-
১. আলোর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে

চোখ যেকোনো আলোই কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রহণ করে নিতে পারে। কিন্তু চোখ ভালো রাখার জন্য কম আলো বা তীব্র আলোতে লেখাপড়া ও অন্যান্য কাজকর্ম করা উচিত নয়। দিনের বেলা সূর্যের আলো সরাসরি চোখে না পড়াই ভালো। রাতে টিউব লাইটের আলো চোখের জন্য আরামদায়ক। টেবিল ল্যাম্পের আলোতে লেখাপড়ার সময় ল্যাম্পটি দেয়ালের দিকে রেখে প্রতিফলিত আলোতে পড়া ভালো।
২. নিয়ম মেনে টিভি দেখতে হবে

টিভি দেখার সময় টিভির পেছনের দিকের দেয়ালে একটি টিউব লাইট বা শেড-যুক্ত ৪০ বা ৬০ ওয়াটের বাল্ব জ্বালিয়ে টিভি দেখা উচিত। সম্পূর্ণ অন্ধকার কক্ষে টিভি দেখা ঠিক নয়। দিনের বেলা যে দরজা বা জানালার আলো টিভি স্ক্রিনে প্রতিফলিত হয়, সেগুলো বন্ধ রাখাই ভালো। সাধারণত ১০ ফুট দূর থেকে টিভি দেখা উচিত। তবে ছয় ফুটের কম দূরত্ব থেকে টিভি দেখা উচিত নয়। বড়-ছোট বিভিন্ন সাইজের টিভি দেখার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন দূরত্ব বজায় রাখতে হয়। ঝিরঝির করা, কাঁপা কাঁপা ছবি ও ভৌতিক ছায়াযুক্ত ছবি না দেখাই ভালো। রঙিন টিভিতে রং, উজ্জ্বলতা ও কন্ট্রাস্ট ঠিক রেখে টিভি দেখতে হবে। একটানা অনেকক্ষণ টিভি দেখা উচিত নয়, মাঝেমধ্যে দর্শন বিরতি দিয়ে টিভি দেখা চোখের জন্য ভালো।

৩. প্রসাধনীর ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে

প্রসাধনী চোখের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত প্রসাধনী চোখে ব্যবহার করলে অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস, ব্লেফারাইটিস, স্টাই ইত্যাদি রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। মাথায় খুশকি থাকলে সপ্তাহে দুবার খুশকিনাশক শ্যাম্পু ব্যবহার করে মাথা খুশকিমুক্ত রাখতে হবে। নইলে মাথার খুশকি থেকে চোখ আক্রান্ত হয়ে চোখে ব্লেফারাইটিস দেখা দিতে পারে।

৪. চশমা ব্যবহারে সচেতন হতে হবে

যাঁদের চোখে চশমা প্রয়োজন, তাঁদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শমত দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা করে চশমা পরা উচিত। স্বাভাবিকভাবেই ৪০ বছরের কাছাকাছি বয়স থেকে কাছের জিনিস দেখতে অসুবিধা হতে পারে। এ সময়ে অনেকেই নিজের মনমতো দৃষ্টিশক্তির চশমা ব্যবহার করেন। এটা চোখের জন্য ক্ষতিকর। আবার অনেকে মনে করেন, একবার চশমা ব্যবহার করলে সারা জীবন চশমা ব্যবহার করতে হবে। তাই চশমা ব্যবহার করেন না। অথচ চশমা ব্যবহার করলেই চোখ ভালো থাকে। নতুবা পড়াশোনা বা কাছের জিনিস দেখতে চোখের উপর চাপ পড়ে। এই চাপ চোখের স্থায়ী ক্ষতি করতে থাকে। চোখের সুস্থতায় চশমা সব সময় পরিষ্কার রাখা উচিত। অস্বচ্ছ ও ফাটা লেন্স ব্যবহার করা উচিত নয়।

৫. হঠাৎ চোখে কিছু পড়লে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে:

মূলত ধুলোকণা, কীটপতঙ্গ, ছোট ইটপাথর বা কাঠের টুকরা থেকে শুরু করে ছোট খেলার বল নানা কিছু আছে হঠাৎ চোখে পড়তে পারে। এসবের কারণে চোখে প্রথমে খচখচে ভাব হয়। এরপর চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়ে, তাকালে চোখ জ্বালা করে এবং চোখ বন্ধ করে রাখলে আরামবোধ হয়। ধীরে ধীরে চোখ লাল হয়ে যায়। দ্রুত বের করে নেওয়া না হলে সেই ময়লা চোখের কর্নিয়ায় ঘষা লেগে চোখের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। এমনকি একারনে এক পর্যায়ে চোখ অন্ধ হয়ে যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়। এমন অনুভূতি হলে সবাই, বিশেষ করে বাচ্চারা খুব ঘন ঘন চোখ কচলাতে বা চুলকাতে থাকে। এই কাজটিও একেবারেই করা যাবে না। খালি চোখে দেখা যায় এমন কিছু পড়লে কটন বাডস বা তুলো একটু পেঁচিয়ে অন্যের সাহায্য নিয়ে আলতো করে বের করে আনার চেষ্টা করতে হবে।

InfotakeBD

View posts by InfotakeBD
InfotakeBD is a information sharing blog, We share information for you. Please visit us and if you want to contribute for this blog please email us infotakebd@gmail.com. Thank you

Leave a Reply

Scroll to top