টাইফয়েড আমাদের দেশে খুবই পরিচিত রোগ। সালমোনেলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়া দিয়ে রোগটি হয়। একই গোত্রের আরেকটি রোগ আছে। তার নাম প্যারাটাইফয়েড। সালমোনেলা প্যারাটাইফি ব্যাকটেরিয়া এর জন্য দায়ী। প্যারাটাইফয়েডের থেকে টাইফয়েডের জটিলতা বেশি।
সাধারণত যথাযথ চিকিৎসা করালেই টাইফয়েড ভালো হয়ে যায়। তবে টাইফয়েড ভালো হয়ে যাবার পরেও ১ থেকে ৫ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে জীবাণু শরীরে থেকে যেতে পারে। এদেরকে ক্যারিয়ার বলা হয়। ক্যারিয়ার মানে বহনকারী। টাইফয়েড-এর ক্যারিয়ার নিজে রোগে কষ্ট পায় না। কোন ধরনের উপসর্গও ক্যারিয়ারদের মধ্যে দেখা যায়না। সমস্যা হচ্ছে ক্যারিয়ারের মাধ্যমে রোগ অন্য কারো শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
টাইফয়েডের সঠিক ও যথাযথ চিকিৎসার পরেও যে কেউ টাইফয়েডের ক্যারিয়ার হতে পারে। টাইফয়েডের জীবাণু সালমোনেলা টাইফি ক্যারিয়ারদের শরীরের গলব্লডার বা পিত্তথলিতে অবস্থান করে। সেখান থেকে মলের মাধ্যমে দেহের বাইরে বেরিয়ে আসে। এরপর তা সুস্থ মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে।
রোগীর সিরামে অ্যান্টিবডি দেখে টাইফয়েড ক্যারিয়ার ডায়াগনসিস বা নির্ণয় করা যায়। টাইফয়েডের চিকিৎসায় বিভিন্ন ধরনের অ্যন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। টাইফয়েড ক্যারিয়ারদেরকেও কয়েক সপ্তাহ অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে রোগমুক্ত করা যায়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বর্তমানে অনেক অ্যান্টিবায়োটিকই তেমন কাজ করেনা। এজন্য পরীক্ষাগারে জীবাণু কালচার করে কোন অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করবে তা নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। সে অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া লাগবে। প্রয়োজন হলে, কখনো কখনো পিত্তথলি অপসারণ করারও দরকার হতে পারে।