ব্রণ কম বেশী সবারই হয়। বিশেষ করে টিনেজারদের এ সমস্যায় বেশি ভুগতে হয়। ব্রণ সমস্যায় আক্রান্তদের নিম্নোক্ত কয়েকটি বিষয় মেনে চলা উচিত।
১. ব্রণ খুঁটা যাবে না, চুলকানো যাবে না। এতে শুধু কষ্টই বাড়াবে না, ব্রণও বাড়বে।
২. ব্রণ হলে শুধুমাত্র ডাক্তারের দেয়া ওষুধই ব্যবহার করবেন। অন্য কোন ওষুধ, সাবান বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন না।
৩. সাধারণত কোন খাবার থেকে ব্রণ হয় না। তাই ব্রণ হলে কোন খাবারই বন্ধ করার দরকার নাই। তবে ফাস্টফুড জাতীয় খাবার এড়িয়ে ফল ও শাক-সবজি বেশী করে খাওয়া উচিত।
৪. ব্রণের ওষুধ মুখমন্ডলে লাগানোর আগে প্রথম রাতে হাতের অল্প একটু স্থানে লাগিয়ে পরীক্ষা করে নেয়া উচিত। যদি পরের দিন সকালে হাতের ওষুধ লাগানো স্থান লাল হয়ে যায়, ফুলে যায় অথবা চুলকায় তবে মুখমণ্ডলে লাগানো উচিত নয়।
৫. ব্রণ বাড়ায় না এমন ওষুধ ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু তৈলাক্ত কিছু ব্যবহার করা যাবে না।
৬. শুধুমাত্র ব্রণের মাথায়ই নয়, ব্রণ আক্রান্ত পুরো অঞ্চলেই ওষুধ লাগাতে হবে।
৭. মুখে খাওয়ার ওষুধ ও আক্রান্ত স্থানে লাগানোর ওষুধ প্রতিদিন নিয়ম মেনে খেতে হবে ও লাগাতে হবে। কারন এগুলো ব্রণ উঠতে বাধা দেয়।
৮. ওষুধের কার্যকারিতা বোঝার জন্য কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ সপ্তাহ ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।
৯. ব্রণ প্রতিরোধের জন্য ব্যবহারের ওষুধ দীর্ঘদিন ব্যবহার করা লাগতে পারে।
১০. ওষুধ রাতে লাগানোর নির্দেশ থাকলে রাতেই লাগাতে হবে। সেক্ষেত্রে সকালে সাবান দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে পারেন।